শ্রীচৈতন্য কথাটির মানে কি? শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কেন এত বিখ্যাত ছিলেন?
শ্রীচৈতন্য কথাটির মানে হল - 'সুন্দর চেতনাময়'।পরম চেতন পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যার সম্বন্ধ জ্ঞান নেই তাকে অজ্ঞান বা অচৈতন্য বলা হয়।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু |
অচৈতন্য জীবকে কৃষ্ণভাবনামৃত দিয়ে সচেতন করবার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভক্তরূপ ধারণ করে শ্রীচৈতন্য রূপে ধরাধামে আবির্ভূত হলেন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুই পরম আরাধ্য পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। তিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণই। রাধা ভাব অঙ্গীকার করে ভক্তরূপে ভক্তি শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি কলিযুগে অবতীর্ণ হয়েছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভক্তরূপে সাধারণ পাপীতাপীদের মধ্যেও কৃষ্ণভক্তি বিলিয়ে কৃষ্ণধামে নিয়ে যাবার জন্য অবতীর্ণ হয়েছেন।এরকম ঘটনা ব্রহ্মা দিবসে একবার মাত্র ঘটে,এ কথা যারা হৃদয়ঙ্গম করে না, তারা যত বড় সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তি হন না কেন তারা অত্যন্ত হতভাগা।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কেন এত বিখ্যাত ছিলেন?
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এত বিখ্যাত ছিলেন কারণ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৈবস্বত মন্বন্তরের ২৮ সংখ্যক চতুর্যুগের অন্তর্ভুক্ত কলিযুগের প্রথমভাগে পরম উদার স্বভাব শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রূপে আবির্ভূত হন। একটি মন্বন্তর বলতে ৭১ চতুর্যুগ বোঝায়। অর্থাৎ অনন্ত কালচক্রে ৭১ বার সত্য ত্রেতা দ্বাপর ও কলির আবর্তনকাল হলো একটি মন্বন্তর।প্রতি মন্বন্তরের জন্য ভগবানের এক একজন অবতার অবতীর্ণ হন। যেমন বর্তমান মন্বন্তরাবতার শ্রীবামনদেব।কোন মন্বন্তরের সত্য ত্রেতা দ্বাপর কলি যুগে যথাক্রমে শুক্ল,রক্ত,শ্যাম ও কৃষ্ণবর্ণ যুগাবতার রূপে অবতীর্ণ হন।যুগ বিশেষে এর ব্যতিক্রম হয়ে থাকে যেমন, যখন শ্রীকৃষ্ণরূপে বা মহাপ্রভু রূপে স্বয়ং ভগবান অবতীর্ণ হন। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু গোলকের প্রেমধন হরিনাম সংকীর্তন প্রচার করতে একমাত্র এই বিশেষ কলিযুগেই অবতীর্ণ হন।তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এত বিখ্যাত।
হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র নিত্য। তবে এই দিব্যনাম কলিযুগের বদ্ধ জীবদের জন্য নির্ধারিত, যাতে তারা হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করে জড় কলুষ থেকে উদ্ধার পেতে পারে।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এত বিখ্যাত ছিলেন কারণ তিনি পরম দয়ালু ছিলেন। তিনি এই কলি জীবের, যাদের অন্নগত প্রাণ চিত্তচঞ্চল সেইসমস্ত কলি জীবের উদ্ধারের জন্য তিনি সহজ সরল ভাবে কলিযুগের যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন জীবের দ্বারে দ্বারে প্রচার করেছিলেন।
কলিযুগের যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন কি?
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
অনন্ত সঙ্ংহিত শাস্ত্রে বলা হয়েছে -
ষোড়শৈতানি নামানি দ্বাত্রিংশদ্ বর্ণকানি হি ।
কলৌ যুগে মহামন্ত্রঃ সম্মতো জীবতারিণে ।।
"এই ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর সমন্বিত হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কলিযুগের মহামন্ত্র।এই মহামন্ত্র কলিবদ্ধ জীবকে রক্ষা করবে।"
কলিসন্তরন উপনিষদে উল্লেখ রয়েছে -
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলিকল্মষনাশনম্ ।
নাতঃ পরতরোপায় সর্ববেদেষু দৃশ্যতে ।।
" এই ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর সমন্বিত
হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কলিকলুষ নাশকারী। এর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ্য উপায় সমগ্র বেদের মধ্যেও দেখা যায় না।"
অতএব কলিযুগের তারকব্রহ্ম নাম এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র।অন্যান্য যুগের তারকব্রহ্ম নাম ভিন্ন রকমের।
চার যুগের মহামন্ত্র কি কি?
সত্য যুগের মহামন্ত্র হলো -
নারায়ণ পরা বেদা নারায়ণ পরাক্ষরাঃ।
নারায়াণ পরামুক্তি নারায়ণ পরা গতি ।।
ত্রেতা যুগের মহামন্ত্র হলো -
রামনারায়ণানন্ত মুকুন্দ মধুসূদন ।
কৃষ্ণ কেশব কংসারে হরে বৈকুণ্ঠ বামন ।।
দ্বাপর যুগের মহামন্ত্র হলো -
হরে মুরারে মধুকৈটভারে
গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দ শৌরে ।
যজ্ঞেশ নারায়ণ কৃষ্ণ বিষ্ণো
নিরাশ্রয়ং মাং জগদীশ রক্ষ ।।
এবং কলিযুগের মহামন্ত্র হলো -
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।
অবশ্যই পড়ুন - শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন কাব্য
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদেরকে কি শিক্ষা দিয়েছেন?
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু একমাত্র কৃষ্ণভক্তির মাধ্যমে দুঃখময় সংসার-বদ্ধ জীব জন্ম-মৃত্যুর আবর্ত অতিক্রম করে গোলক বৃন্দাবন নামক সর্বোচ্চ ভগবব্ধামে উন্নীত হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।
তিনি ভক্তদের বলেছেন -
যদি আমা প্রতি স্নেহ থাকে সবাকার।
তবে কৃষ্ণব্যাতিরিক্ত না গাইবে আর ।।
কি শয়নে কি ভোজনে কিবা জাগরণে ।
অহর্নিশ চিন্ত কৃষ্ণ বলহ বদনে ।।
সবে গৃহে যাহ গিয়া লহ কৃষ্ণনাম ।
সবার হউক কৃষ্ণচন্দ্র ধন-প্রাণ ।।
ব্রহ্মা শিব শুকাদি যে রসবাঞ্ছা করে ।
হেন রস হউক তোমা সবার শরীরে ।।
(চৈতন্য ভাগবত )
ব্রহ্মা শিব শুকদেব গোস্বামী প্রমূখ মহান মহাজনেরা যে ভক্তিরস লাভের জন্য বহু সহস্র বর্ষ তপস্যা করেন, এই ধন্য কলিযুগে পাপাচ্ছন্ন পৃথিবীর মানুষ অতি সহজেই তার জীবনের মাত্র কয়েকটি বছরের আয়ুষ্কালের মধ্যে কৃষ্ণকথা শ্রবণ,কৃষ্ণনামকীর্তন, কৃষ্ণপাদপদ্ম স্মরণ, কৃষ্ণপ্রসাদ সেবন, কৃষ্ণবিগ্রহ অর্চনাদির মাধ্যমেই সেই পরম ফল লাভ করতে পারবে।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কেন সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন?
গৃহস্থ জীবনে কি ভগবানের নাম মহিমা প্রচার করা যায়না?
প্রতিযুগেই মানুষ সন্ন্যাসীকে সম্মান দিয়েছে।সন্ন্যাসীর কথা শির ধার্য করেছে। কিন্তু কলিযুগে বহু সন্ন্যাসী দেখা যায় যারা মায়াবাদী বা নির্বিশেষ ব্রহ্মবাদী।সেই সমস্ত সন্ন্যাসীরা জানে যে পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ।তারা নিরাকার ব্রহ্মকে, কিংবা সবাইকে, কিংবা নিজেকে, অন্য দেব-দেবীকে পরমেশ্বর ভগবান বলে দাবি করে।
সমাজে সন্ন্যাসীর কাজই হচ্ছে বদ্ধ জনগণকে ভগবদ্ভক্তি শেখানো। সন্ন্যাসত্ব থাকলে তবে কোন ব্যাক্তি গুরু হন। সবার পূজনীয় হন। অথচ অধিকাংশ সন্ন্যাসী ভগবানকেই জানে না।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু জানালেন - 'যেই কৃষ্ণ-তত্ত্ববেত্তা,সেই গুরু হয়।' তাই আদর্শ সন্ন্যাসী কিরূপ হওয়া উচিত তা তিনি সন্ন্যাস লীলা গ্রহণ করে তথাকথিত সমস্ত সন্ন্যাসীদের শিক্ষা দিয়েছিলেন।এবং তাদের সমস্ত সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেছিলেন। তথাকথিত মায়াবাদী ব্রহ্মবাদী প্রকাশানন্দ সরস্বতী প্রমূখ সন্ন্যাসীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভবিষ্যতে যারা সন্ন্যাস গ্রহণ করবেন তাদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রভু দেখিয়ে গিয়েছিলেন - কেমন করে আদর্শ সন্ন্যাসী হয়ে বিশ্বের সর্বত্র কলিযুগের যুগধর্ম হরিনাম প্রচার করা যায়।এটাই মহাপ্রভুর সন্ন্যাস লীলার তাৎপর্য। কিন্তু তার মানে এই নয় যে,গৃহস্থ হলে ভগবানের নাম মহিমা প্রচার করা যায় না।
মহাপ্রভু যতদিন গৃহে ছিলেন, আদর্শ গৃহস্থ হিসেবেই ছিলেন।সংসারের সমস্ত কাজ কর্মে লিপ্ত থেকে কিভাবে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত থাকা যায় তাই তিনি তাঁর আচরণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু,অদ্বৈত আচার্য প্রভু, গদাধর পণ্ডিত, শ্রীবাস ঠাকুর - মহাপ্রভুর এইসব অন্তরঙ্গ পার্ষদ সকলেই ছিলেন আদর্শ গৃহস্থ। সেই ধরনের গৃহস্থ যখন ভগবানের বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তখন ভগবানই তার আশ্রিতদের রক্ষা করেন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু গৃহ ত্যাগ করেছিলেন, নববধূ শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ও বৃদ্ধা মাতা শচীদেবী কে ছেড়ে কৃষ্ণ মহিমা প্রচার করেছিলেন। আমরা জানি বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ও শচীমাতার তাতে কোন অসুবিধা হয়নি। তারা সর্বদা মহাপ্রভুর কথা চিন্তা করেছিলেন এবং কৃষ্ণনাম জপ করেই দিনাতিপাত করেছিলেন।
যারা কৃষ্ণগত প্রাণ তারা গৃহে থাকুন কিংবা বনে থাকুন যেভাবেই থাকুক না কেন অন্তর্যামীর সঙ্গে তাদের যে চিরন্তন সম্পর্ক তা কোনদিনই বিচ্ছিন্ন হয় না। তা কৃষ্ণভক্ত মাত্রই জানেন।আর যারা জানেন না তারাই ভক্তদের ছন্নছাড়া হিসাবে দেখে।বৈষ্ণব মাত্রই জানেন যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।শ্রীম্ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে - জন্ম কর্ম চ দিব্যম্ অর্থাৎ পরমেশ্বর ভগবানের জন্ম ও কার্যকলাপ সমস্তই দিব্য।তার সমস্ত লীলাবিলাস জড়জগতের ঊর্ধ্বে। মহাপ্রভুর ভক্তদের বেশিরভাগই ছিলেন গৃহস্থ। বৈষ্ণব আচার্য শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নির্দেশ দিয়েছেন -
"গৃহে থাকো, বনে থাকো ।
সদা 'হরি' বলে ডাকো ।।"
আমরা যেখানে যে অবস্থায় থাকি না কেন, আমাদের জীবন যাপন করতে হবে কৃষ্ণনাম কীর্তন,কৃষ্ণকথা আলোচনা,কৃষ্ণ আরাধনা, ও কৃষ্ণসেবার ভাব নিয়েই। এবং অন্য সকলে যাতে কৃষ্ণভক্তির পথে থাকে তার জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়াও আমাদের কর্তব্য।
মহাপ্রভুর সন্ন্যাস গ্রহণ করলেও তিনি নিজেকে সন্ন্যাসী মনে করতেন না। তিনি জীবকে শিক্ষা দিয়েছিলেন - আমরা প্রত্যেকেই শ্রীকৃষ্ণের দাসানুদাস। শ্রীকৃষ্ণের দাসত্বই আমাদের প্রকৃত পরিচয়।
শাস্ত্রে এই সম্বন্ধে বলা হয়েছে -
নাহং বর্ণী ন চ গৃহপতির্নো বনোস্থো যর্তিবা
কিন্তু প্রোদ্যন্নিখিল-পরমানন্দ-পূর্ণামৃতাব্ধে-
র্গোপীভূর্তুঃ পদ-কমলয়োর্দাস-দাসানুদাসঃ ।।
অর্থাৎ' আমি ব্রহ্মচারী নই,গৃহস্থ নই, বানপ্রস্থ নই,সন্ন্যাসীও নই।আমি সেই নিখিল পরমানন্দ পূর্ণ-অমৃত-সমুদ্র পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের পাদমপদ্মের দাস-দাসানুদাস মাত্র।' ( পদ্যাবলী ৭/৪ শ্লোক )
আমরা ভগবানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ স্বরূপ দাসানুদাস মাত্র। এই শিক্ষা নিয়ে যে কোন জায়গায় থাকি না কেন,কৃষ্ণভক্তি অনুশীলন ও কৃষ্ণ মহিমা প্রচার করাই মানুষের এই ধরাধামে জন্মগ্রহণের একমাত্র উদ্দেশ্য ও প্রধান কর্তব্য।
ভগবানের সবচেয়ে করুণাময় রূপ কোনটি?
ভগবানের সবচেয়ে করুণাময় রূপ হল যে রূপে কলিযুগের পাপীতাপীকেও সুদুর্লভ ভগবৎ প্রেম প্রদান করে তাঁর সচ্চিদানন্দময় ধামে আকর্ষণ করেছেন,সেই করুণাময় উদার রূপ হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু। সেই জন্য মহা পন্ডিত শ্রীল রূপ গোস্বামী উল্লেখ করেছেন -
নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণপ্রেম প্রদায়তে ।
কৃষ্ণায়কৃষ্ণচৈতন্য নাম্নে গৌরত্বিষে নমো ।।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুকে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করি। যিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ,যিনি সমস্ত অবতার থেকেও উদার, যিনি অত্যন্ত দুর্লভ কৃষ্ণপ্রেম প্রদান করেছেন, তাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করি।
অবশ্যই পড়ুন - ভারতীয় অষ্টাদশ পুরাণ
এই কলিযুগে ভগবানের অবতারগণের নাম ও পরিচয় কি?
বর্তমান কলিযুগ দুই হাজার বছর গত হলে ভগবান গয়া প্রদেশে ধর্মারণ্য গ্রামে আর অন্য গ্রামে অজিনের পুত্ররূপে শ্রী বুদ্ধ অবতারে আবির্ভূত হন।তার অঙ্গকান্তি পালট বর্ণ (রক্ত ও শ্বেত মিশ্রিত ) মুণ্ডিত মস্তক দ্বিভূজ অবতার।
কলিযুগ পাঁচহাজার বছর গত হলে শ্রী মায়াপুরে শ্রী জগন্নাথ মিশ্র ও শ্রীমতী শচীদেবীর পুত্ররূপে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু পাপীতাপী নির্বিশেষে বদ্ধ জীবগণে ভক্তি শিক্ষা দানার্থ আবির্ভূত হন।তিনি তপ্তকাঞ্চন বর্ণ অবতার।
এই কলিযুগের অবসান সময়ে সম্বলপুর গ্রামে বিষ্ণুযশার পুত্ররূপে কল্কি অবতার অবতীর্ণ হয়ে সমগ্র দস্যুকে বিনাশ করে কলির রাজত্বের অবসান করবেন। তারপর সত্য যুগের সূচনা হবে।
ধন্যবাদ -
0 মন্তব্যসমূহ