ভারতীয় সভ্যতা ও অষ্টাদশ পুরাণ-ভারতীয় পুরাণের প্রকৃত অর্থ, সংখ্যা,লক্ষণ, বৈশিষ্ট, ঐতিহাসিক গুরুত্ব (INDIAN MYTHOLOGY )

ভারতীয় সভ্যতা ও অষ্টদশ পুরাণ-ভারতীয় পুরাণের প্রকৃত অর্থ, সংখ্যা,লক্ষণ, বৈশিষ্ট,ঐতিহাসিক গুরুত্ব :

( INDIAN MYTHOLOGY )

ভারতীয় অষ্টাদশ পুরাণ
ভারতীয় অষ্টাদশ পুরাণ


ভারতীয় অষ্টাদশ পুরাণের প্রধান বিষয়গুলী নীচে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হল -


বিষয় তালিকা :


  • ভারতীয় সভ্যতা ও অষ্টদশ পুরাণ।
  • ভারতীয় পুরাণের প্রকৃত অর্থ কি?
  • ভারতীয় পুরাণ কয়ভাগে বিভক্ত ও কি কি?
  • ভারতীয় পুরাণের সংখ্যা ও তার বিস্তারিত বর্ণনা।
  • ভারতীয় পুরাণের লক্ষণ গুলি কি কি?
  • ভারতীয় পুরাণের বৈশিষ্ট কি?
  • ভারতীয় পুরাণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কি?
  • উপসংহার


পুরান শব্দের প্রকৃত অর্থ - বাংলা পুরাণ শব্দটি সৃষ্টি  হয়েছে পুরা+ন যোগে। ‘পুরা’ অর্থ পূর্বে বা প্রাচীনকালে এবং ‘ন’ অর্থ সংঘটিত অর্থাৎ পূর্বে সংঘটিত বা সৃষ্টি হয়েছে এমন কিছু ঘটনা বা বিষয়কে পুরাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে অভিধানে।

তাই পুরাণ শব্দের প্রকৃত অর্থ হল প্রাচীন ঘটনাবলী। পুরাকালের সৃষ্টি, ধর্ম, আচার,আচরণ, বংশ প্রভৃতি সম্পর্কে রচিত ধর্মগ্রন্থকে সাধারন ভাষায় পুরাণ বলে। 


ভারতীয় পুরাণকে কয়টিভাগে ভাগে ভাগ করা হয়েছে ও কি কি ?


ভারতীয় পুরাণ- কে মোট দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে -


১) মহাপুরাণ   ২) উপপুরাণ


কিন্তু এখনকার পুরাণ গ্রন্থে প্রধান পুরাণ বলতে কেবল মহাপুরাণকেই বোঝানো হয়।


মহাপুরাণের সংখ্যা :


যথা -১) ব্রহ্ম  ২)পদ্ম  ৩) বিষ্ণু  ৪) শিব  ৫) ভাগবত  ৬) নারদীয় ৭) মার্কন্ডেয় ৮) অগ্নি  ৯) ভবিষ্য  ১০) ব্রহ্মবৈবর্ত  ১১) লিঙ্গ  ১২) বরাহ  ১৩) স্কন্দ  ১৪) বামন ১৫) কূর্ম  ১৬) মৎস্য  ১৭) গরুড় এবং  ১৮) ব্রহ্মান্ড।


ভারতীয় জনপ্রিয় মহাকাব্য মহাভারতের স্বর্গারোহন খন্ডে এবং হরিবংশে এই ১৮ টি পুরাণের উল্লেখ পাওয়া যায়।


এই ভারতীয় মহাপুরাণ গুলিকে তাদের নিজস্ব গুনাবলী অনুযায়ী  আবার তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে।


যথা-


১. সাত্ত্বিক পুরাণ


২. রাজসিক পুরাণ


৩. তামসিক পুরাণ


সাত্ত্বিক পুরাণ


এই পুরাণগুলিতে সত্ত্ব গুণ প্রাধাণ্য পেয়েছে। এই পুরাণ গুলির প্রধাণ দেবতা বিষ্ণু। ভাগবত, নারদীয়, গরুর , পদ্ম, বরাহ, এবং বিষ্ণু- প্রভৃতি  পুরাণগুলি সাত্ত্বিক পুরাণের অন্তর্গত।


রাজসিক পুরাণ


সমস্ত রাজসিক গুনগুলি এই পুরাণে প্রাধাণ্য পেয়েছে। এই পুরাণের প্রধাণ দেবতা ব্রহ্মা। ব্রহ্ম, ব্রহ্মান্ড, ব্রহ্মবৈবর্ত, মার্কন্ডেয়, ভবিষ্য, এবং বামন প্রভৃতি পুরাণগুলি রাজসিক পুরাণের অন্তর্গত।


 তামসিক পুরাণ


তম: গুন সম্পন্ন এই পুরাণগুলিতে ভগবান  শিবের দেবত্ব প্রাধাণ্য পেয়েছে। শিব, লিঙ্গ, স্কন্দ, অগ্নি, মৎস, এবং কূর্ম – প্রভৃতি পুরাণগুলি তামসিক পুরাণের  অন্তর্গত।


আরো পড়ুন - হনুমান চালিশা বাংলায়


ভারতীয় পুরাণ ও তার প্রকৃত বিষয় :

নারদ পুরাণ অনুসারে, প্রাচীনকালে একটি মাত্র পুরাণ ছিল, যার বিস্তৃতি ছিল ১০০ কোটি শ্লোকে, যা এখনও দেবলোকে বর্তমান। বিভিন্ন যুগ অনুসারে পৃথিবীতে পুরাণ ঠিকমত ব্যবহৃত ও পঠিত হচ্ছে না দেখে ভগবান বিষ্ণু ব্রহ্মবেত্তা মহাত্মা ব্যাস রূপে আবির্ভূত হয়ে সমগ্র বিশ্বের কল্যাণে চার লক্ষ শ্লোকের পুরাণ সংগ্রহ করে ১৮টি খণ্ডে বিভক্ত করে ১৮টি পুরাণ রচনা করেন। এই ১৮ টি পুরাণের নাম নিম্নে দেওয়া হল।

পাঠকদের অবগতির জন্য এখানে ১৮টি পুরাণের একটি বিস্তারিত  তালিকা দেওয়া হল।  নারদ পুরাণ অনুসারে, ব্রহ্মাজি তাঁর পুত্র ঋষি মারিচীকে উপদেশ দেওয়ার সময় বলেছিলেন -

যে ব্যক্তি ১৮টি পুরাণের নাম এবং তাদের বিষয় পাঠ করেন বা শোনেন, তাহার সমস্ত পুরাণ পাঠ বা শোনার ফল লাভ হবে।


ভারতীয় অষ্টাদশ পুরাণের তালিকা ও প্রতিটি পুরাণের বিষয়বস্তু বিস্তারিত ভাবে উল্ল্যেখ করা হল :


 ১৮ টি পুরাণের নাম  :  তালিকা


 ১. ব্রহ্ম পুরাণ ২. ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ ৩. পদ্ম পুরাণ ৪. লিঙ্গ পুরাণ ৫. বিষ্ণু পুরাণ ৬. বরাহ পুরাণ ৭. বায়ু পুরাণ ৮ স্কন্দ পুরাণ ৯. ভাগবত পুরাণ ১০.  বামন পুরাণ ১১. নারদ পুরাণ ১২.  কূর্ম পুরাণ ১৩. মার্কণ্ডেয় পুরাণ ১৪. মৎস্য পুরাণ ১৫.  অগ্নি পুরাণ ১৬. গরুড় পুরাণ ১৭ ভবিষ্য পুরাণ ১৮. ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ।


 ব্রহ্ম পুরাণ


সমস্ত পুরাণের মধ্যে ব্রহ্ম পুরাণই প্রথম।  বেদব্যাস  প্রথম দুটি অংশ নিয়ে ব্রহ্ম পুরাণ রচনা করেন।


 শ্লোক সংখ্যা - ১০ হাজার


 বিষয় :


পূর্বাংশ - দেবতা, অসুর ও প্রজাপতিদের সৃষ্টির কাহিনী, ভগবান সূর্য বংশের বর্ণনা, ভগবান শ্রী রাম অবতারের কাহিনী, চন্দ্রবংশের বর্ণনা এবং ভগবান শ্রী কৃষ্ণের চরিত্র,

পৃথিবীর সমস্ত দ্বীপ, পাতাল ও স্বর্গলোকের বর্ণনা, নরকের বর্ণনা, পার্বতীর জন্ম ও বিবাহের গল্প, দক্ষ প্রজাপতির গল্প।


 উত্তরাংশ -   যমলোকের বর্ণনা এবং পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধের পদ্ধতি, যোগ ও সাংখ্য নীতির প্রতিদান।



 পদ্ম পুরাণ


 পদ্মপুরাণ পাঁচটি ধারা নিয়ে গঠিত।


 শ্লোক সংখ্যা- ৫৫ হাজার

 

বিষয় :


সৃষ্টি খন্ড –  


বিশ্বজগতের উৎপত্তি ও ইতিহাসের শিক্ষা, পুষ্কর তীর্থযাত্রার মাহাত্ম্য, ব্রহ্ম যজ্ঞের পদ্ধতি, বিভিন্ন প্রকার দান ও উপবাস,

পার্বতীর বিবাহ, তারকাসুরের কাহিনী, গৌমাতার মাহাত্ম্য, , গ্রহ পূজা ও দান পদ্ধতি।


ভূমি খণ্ড – 


শিবশর্মার প্রাচীন কাহিনী,  বৃত্রাসুর বধের কাহিনী,  নহুষের কাহিনী, যযাতি চরিত্র, রাজা ও জৈমিনীর সংলাপ,

অশোক সুন্দরীর গল্প, হুন্ড দৈত্য বধ, বিহুন্দ দৈত্য বধ, মহাত্মা চ্যবন ও কুঞ্জল সংলাপ।


 স্বর্গ খন্ড - 


পৃথিবী সহ সমস্ত জগতের অবস্থা এবং তীর্থস্থানের বর্ণনা, নর্মদাজীর উৎপত্তির কাহিনী এবং তাদের তীর্থস্থানের বর্ণনা, কালিন্দীর কাহিনী, কাশী, গয়া ও প্রয়াগের মাহাত্ম্য,

বর্ণাশ্রমের উপযোগী কাজের প্রতিনিধিত্ব, ব্যাস-যামিনীর সংলাপ, সমুদ্র মন্থনের গল্প, ভীষ্মপঞ্চকের মহিমা।


পটল খন্ড - 


শ্রী রামের রাজ্যাভিষেক, পুলস্ত্য রাজবংশের বর্ণনা, অশ্বমেধের শিক্ষা, জগন্নাথজির মহিমা, বৃন্দাবনের মহিমা, 

বৈশাখ স্নানের মহিমা, ভূমি বরাহ সংলাপ, দধিচির গল্প, শিব মাহাত্ম্য, গৌতম ঋষির গল্প।


 উত্তর খন্ড - 


ভগবান শিবের গল্প , জলন্ধরের গল্প, অন্নদানের মাহাত্ম্য, চব্বিশ একাদশীর মাহাত্ম্য,

বিষ্ণুর সহস্রনামের বর্ণনা, কার্তিক ব্রতের মাহাত্ম্য, ভগবান নরসিংহের উৎপত্তি কাহিনী, গীতার মাহাত্ম্য, শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য, মৎস্য প্রভৃতি অবতারদের পুণ্য কাহিনী ইত্যাদি।

ইন্দ্রপ্রস্থের মহিমা, মহর্ষি ভৃগু কর্তৃক ভগবান বিষ্ণুর পরীক্ষা।



 বিষ্ণু পুরাণ


বিষ্ণুপুরাণে সমস্ত শাস্ত্রের মূলনীতি সংগ্রহ করা হয়েছে।  এতে ঋষি বেদব্যাস বরাহকল্পের গল্প বলেছেন।


 শ্লোক সংখ্যা- ২৩ হাজার

 বিষয় :


পূর্ব অংশ – দেবতাদের উৎপত্তি, সমুদ্র মন্থনের গল্প, প্রজাপতি দক্ষের বংশের বর্ণনা, ধ্রুব ও পৃথুর চরিত্র, প্রহ্লাদের গল্প,  দেবতাদের গল্প,

মানব শ্রেণীর প্রধানকে বিভিন্ন অধিকার প্রদানের বর্ণনা, পৃথিবী ও নরকের বর্ণনা,

ভারতচরিত্র, নিদাঘ ও রিভু সংলাপ, মন্বন্তরসের বর্ণনা, বেদ ব্যাসের অবতার, নরক থেকে পরিত্রাণের উপায়, সাগর ও অর্ব সংলাপ, শ্রাদ্ধকল্প ও বর্ণাশ্রম ধর্ম, পুণ্যের উপস্থাপনা,

মায়ামোহের গল্প, সূর্যবংশের গল্প, চন্দ্রবংশের বর্ণনা, গোকুলের গল্প, শ্রীকৃষ্ণের পুতনা বধ ইত্যাদি, অঘাসুর বধ, কংস বধ, মথুরাপুরীর লীলা, দ্বারকা লীলা,

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিবাহের কাহিনী, অষ্টবক্রজীর উপাখ্যান, কলিযুগের চরিত্র, চার প্রকার বিপর্যয়ের বর্ণনা, কেশীধ্বজের মাধ্যমে জনককে ব্রহ্মজ্ঞান প্রচার।


উত্তর অংশ- যম নিয়ম, ধর্মশাস্ত্র, অর্থনীতি, বেদান্ত, জ্যোতিষ, স্তোত্র, মন্ত্র ইত্যাদি বিদ্যার বর্ণনা, বরাহকল্পের কাহিনী


 বায়ু পুরাণ


বায়ু পুরাণে বায়ুদেব স্বেতকল্পের প্রেক্ষাপট থেকে ধর্ম প্রচার করেছেন, তাই একে বায়ু পুরাণ বলা হয়।

যেহেতু বায়ু পুরাণ বিশেষভাবে ভগবান শিবের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে তাই এটিকে শিব পুরাণও বলা হয়।  এটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত।


শ্লোক সংখ্যা- ২৪ হাজার


 বিষয় :


পূর্বাংশ – বিভিন্ন মন্বন্তরে রাজাদের বংশের বর্ণনা, গয়াসুর বধের কাহিনী, বিভিন্ন মাসের মাহাত্ম্য, দান ও রাজধর্মের বর্ণনা, পৃথিবীতে, আকাশে, পাতালে বিচরণকারী জীবের বর্ণনা।


উত্তর:- শিবসংহিতা, নর্মদাজীর মাহাত্ম্য এবং তাঁর তীর্থযাত্রার বিবরণ, ভগবান শিবের চরিত্র ও লীলা



 ভাগবত পুরাণ


ভাগবত পুরাণ (শ্রীমদ ভাগবত পুরাণ) বারোটি স্কন্ধ নিয়ে গঠিত।  এতে কেবল সর্বজনীন ঈশ্বরের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।


বিভিন্ন মত অনুসারে, শ্রীমদ ভাগবত পুরাণ ১৮ টি পুরাণের মধ্যে পঞ্চম পুরাণ হিসাবে বিবেচিত।


শ্লোক সংখ্যা- ১৮ হাজার

 

বিষয় : 


প্রথম স্কন্ধ - মহর্ষি ব্যাসদেব এবং পাণ্ডবদের কথা, পরীক্ষিতের জন্মের গল্প।


দ্বিতীয় স্কন্ধ - পরীক্ষিত শুকের সংলাপ, ব্রহ্ম নারদ সংলাপ, পুরাণের বৈশিষ্ট্য।


তৃতীয় স্কন্ধ - বিদুরের চরিত্র, মৈত্রেয় বিদুরের সংলাপ, মহর্ষি কপিলের সাংখ্য দর্শন


চতুর্থ স্কন্ধ - সতীর চরিত্র, ধ্রুবের চরিত্র, রাজা পৃথুর গল্প, 


পঞ্চম স্কন্ধ - রাজা প্রিয়ব্রত এবং তার পুত্রদের চরিত্র, মহাবিশ্বের বিভিন্ন জগতের বর্ণনা এবং নরকের অবস্থান।


ষষ্ঠ স্কন্ধ – অজমীলের চরিত্র, দক্ষ প্রজাপতির সৃষ্টির বর্ণনা, বৃত্রাসুরের গল্প, 


সপ্তম স্কন্ধ - প্রহ্লাদের চরিত্র, বর্ণাশ্রম ধর্মের প্রতিনিধিত্ব।


অষ্টম স্কন্ধ - গজেন্দ্রমোক্ষের গল্প, সমুদ্র মন্থন, রাজা বালির প্রসঙ্গ, মৎস্যাবতার প্রসঙ্গ।


নবম স্কন্ধ - সূর্য রাজবংশ এবং চন্দ্র রাজবংশের বর্ণনা।


দশম স্কন্ধ - শ্রী কৃষ্ণের শিশু লীলা, ব্রজে বাসস্থান, দ্বারকায় বাসস্থান।


একাদশ স্কন্ধ – নারদ বাসুদেব কথোপকথন, যদু দত্তাত্রেয় সংলাপ, শ্রী কৃষ্ণ উদ্ধব সংলাপ, পারস্পরিক কলহ দ্বারা যাদবদের ধ্বংস।


দ্বাদশ স্কন্ধ - ভবিষ্যতের রাজাদের বর্ণনা, কালীধর্মের নির্দেশ, রাজা পরীক্ষিতের পরিত্রাণের প্রেক্ষাপট, বেদের শাখার বিভাজন, মার্কণ্ডেয়ের তপস্যা, সূর্যদেবের মহিমার বর্ণনা।



 নারদ পুরাণ


নারদ পুরাণে মহর্ষি বেদব্যাস বৃহৎকল্প কাহিনীর আশ্রয় নিয়েছেন।


শ্লোক সংখ্যা - ২৫ হাজার


বিষয় :


পূর্ব অংশ - সুত সৈনক সংলাপ, সৃষ্টির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, পরিত্রাণের পদ্ধতির বর্ণনা, বেদের বর্ণনা, 

নারদের কাছে সানন্দনের শিক্ষা, সনৎকুমার মুনির নারদের কাছে পশুপাশ্বমোক্ষের শিক্ষা,

গণেশ, সূর্য, বিষ্ণু, শিব মন্ত্রের পরিমার্জন, দীক্ষা, জপ, উপাসনা, পরীক্ষা,  সহস্রনাম ও স্তোত্র, সনাতন মুনি কর্তৃক নারদের কাছে পুরাণের বৈশিষ্ট্য।


উত্তর:- মহর্ষি বশিষ্ঠ রাজা মান্ধাতাকে একাদশীর উপবাসের কথা, রাজা রুকমাঙ্গদের গল্প, মোহিনীর উৎপত্তি, গঙ্গার গল্প, গয়া ভ্রমণের বিবরণ, কাশী মাহাত্ম্য।

কুরুক্ষেত্র ও হরিদ্বারের মাহাত্ম্য, কামোদার কাহিনী, বদ্রীতীর্থের মাহাত্ম্য, প্রভাসক্ষেত্রের মহিমা।

পুষ্কর অঞ্চলের মাহাত্ম্য, গৌতম মুনির গল্প, গোকর্ণ অঞ্চলের মাহাত্ম্য, লক্ষ্মণজির গল্প, সেতুর মাহাত্ম্য, নর্মদার তীর্থস্থানের বর্ণনা, মথুরা বৃন্দাবনের মহিমা, অবন্তীপুরীর মহিমা,মোহিনীর তীর্থযাত্রা।



মার্কন্ডেয় পুরাণ


এই পুরানের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দেবী চন্ডী মাহাত্ম্য।


 শ্লোক সংখ্যা- ৯ হাজার

 

 বিষয় : 


চন্ডীর উপাখ্যান, মার্কণ্ডেয় মুনির কাছে জৈমিনীর প্রশ্নের বর্ণনা, বলভদ্রের তীর্থযাত্রা, দ্রৌপদীর পাঁচ ছেলের গল্প, হরিশচন্দ্রের গল্প, 

পিতা-পুত্রের উপাখ্যান, দত্তাত্রেয়জীর গল্প,  আলরকা চরিত্র, মাদালসার গল্প, নয় প্রকার সৃষ্টির বর্ণনা, যক্ষের সৃষ্টি, রুদ্রের সৃষ্টি ইত্যাদি, মনুষের গল্প,

দেবী দুর্গার গল্প, তিন বেদের তেজ থেকে প্রণবের উৎপত্তি, সূর্য দেবতার জন্মের গল্প,

বৈবশ্বত মনুর বংশের বর্ণনা, বৎসপ্রী চরিত্র, মহাত্মা খনিত্রের গল্প,

রাজা অভিক্ষিতের চরিত্র, কিমিছি ব্রতের বর্ণনা, নারিষ্যন্ত চরিত্র, ইক্ষ্বাকু চরিত্র, নল চরিত্র, শ্রী রামচন্দ্রের গল্প, কুরু রাজবংশের বর্ণনা, সোমবংশের বর্ণনা, পুরুরবের গল্প,

নহুষ চরিত্র, যযাতি চরিত্র, যদুবংশের বর্ণনা, শ্রী কৃষ্ণের বলীলা এবং তার মথুরা ও দ্বারকার বিনোদন, সমস্ত অবতারের কাহিনী, সাংখ্যমতের বর্ণনা, মার্কন্ডেয়ের চরিত্র, পুরাণ শ্রবণের ফল।



 অগ্নি পুরাণ


অগ্নি পুরাণে অগ্নিদেব মহর্ষি বশিষ্ঠের কাছ থেকে ঈশান কল্প বর্ণনা করেছেন।


 শ্লোক সংখ্যা - ১৫ হাজার


বিষয় :


পুরাণ থেকে প্রশ্ন, অবতারের কাহিনী, সৃষ্টির পর্ব, বিষ্ণু পূজার বর্ণনা, শালগ্রামের পূজা ইত্যাদি এবং মূর্তির বিভিন্ন লক্ষণের বর্ণনা, বিভিন্ন প্রকার দীক্ষার পদ্ধতি,

 সর্বদেব প্রতিপত্তি, মহাবিশ্বের বর্ণনা, গঙ্গা প্রভৃতি তীর্থস্থানের মাহাত্ম্য, উচ্চ ও নিম্ন জগতের সৃষ্টি, শতকর্ম, মন্ত্র, উপাসনা। 

ছয় প্রকার আস্থা, বিভিন্ন আশ্রমের ধর্ম, শ্রাদ্ধকল্প পদ্ধতি, গ্রহযজ্ঞ, প্রায়শ্চিত্তের বর্ণনা, তিথি উপবাসের বর্ণনা ইত্যাদি, উপবাসের বর্ণনা, নক্ষত্র উপবাস পদ্ধতি, মাসিক উপবাস, প্রদীপ দান পদ্ধতি,

 সন্ধ্যা পদ্ধতি, গায়ত্রীর অর্থের নির্দেশ, লিঙ্গ স্তোত্র, রাজ্যাভিষেকের মন্ত্রের প্রতিদান, রাজাদের ধর্ম, 

শকুন ইত্যাদির উপস্থাপনা, রামোক্ত নীতির বর্ণনা, রত্নগুলির বৈশিষ্ট্য, ধনুর্বিদ্যা, আচরণ দর্শন, দেবসুর যুদ্ধের কাহিনী, আয়ুর্বেদ উপস্থাপনা, গজার চিকিৎসা ইত্যাদি, গরুর চিকিৎসা,

মানুষের চিকিৎসা, বহু প্রকার উপাসনা, শ্লোক, শাস্ত্র, সাহিত্য, ব্যাকরণ, বিপর্যয়ের লক্ষণ, বেদান্তের বর্ণনা, নরকের বর্ণনা, যোগশাস্ত্র, ব্রহ্মজ্ঞান, পুরাণ শ্রবণের ফল


 ভবিষ্য পুরাণ


ভবিষ্য পুরাণ পাঁচটি অংশ নিয়ে গঠিত।  এর মধ্যে রয়েছে অঘোরকল্পের গল্প যেখানে বিভিন্ন আশ্চর্য কাহিনী রয়েছে।


 শ্লোক সংখ্যা- ১৪ হাজার

 

বিষয় :


ব্রহ্মপর্ব- ব্রহ্মার মহিমা, সুত শৌনক কথোপকথনে পুরাণ থেকে প্রশ্ন, সূর্যদেবের চরিত্র, গ্রন্থের চরিত্র, রচয়িতা ও লেখনী, সকল প্রকার আচার-অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য, পক্ষ ইত্যাদি সাত তিথির সাতটি কল্প।


বৈষ্ণব পর্ব - ভগবান বিষ্ণুর মহিমা, অষ্টমীর তিথির আটটি কল্প ইত্যাদি।


 শৈবপর্ব - ভগবান শিবের মহিমা


 সৌরপর্ব - সূর্য দেবতার মহিমা


প্রতিসর্গ পর্ব - পুরাণের উপাখ্যানের বর্ণনা, ভবিষ্যতের গল্প



ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ


ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ চারটি ধারা নিয়ে গঠিত।  এই পুরাণে দেবর্ষি নারদের অনুরোধে ভগবান সাবর্ণী সমগ্র পুরানোক্ত বিষয় প্রচার করেছিলেন।

ভগবান শিব এবং বিষ্ণু এর পাঠ এবং শ্রবণের প্রেমে পড়েন।  উভয়েই এই উত্তম ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ সিদ্ধির জন্য প্রচারিত হয়েছে।


শ্লোক সংখ্যা- ১৮ হাজার

 

বিষয় :


ব্রহ্মখণ্ড – সৃষ্টির বর্ণনা, নারদ মুনি ও ব্রহ্মাজির মধ্যে বিবাদ, নারদ মুনিকে শিবের শিক্ষা।


প্রকৃতিখণ্ড – নারদ-সাবর্ণী সংলাপ, শ্রী কৃষ্ণের মহিমা, প্রকৃতির অপরিহার্য শিল্পের মহিমা ও পূজা।


গণেশখণ্ড - পার্বতী কর্তৃক পুণ্যক নামক মহাব্রতের আচার, কার্তিকেয় ও গণেশের উৎপত্তি, কার্তবীর্য অর্জুন ও পরশুরামের চরিত্র, গণেশ-পরশুরাম বিবাদ।


শ্রী কৃষ্ণ খন্ড - শ্রী কৃষ্ণের জন্মের কাহিনী, তার গোকুলে গমন এবং পুতনা হত্যা ইত্যাদির কাহিনী, শ্রী কৃষ্ণের শৈশব ও বয়স কালের লীলা বর্ণনা।

শ্রী কৃষ্ণের রাসলীলার বর্ণনা, অক্রুর সাথে মথুরায় গমন এবং কংস বধ, সন্দীপনি মুনির কাছ থেকে শেখার গল্প, শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকায় যাত্রা, নরকাসুর বধের কাহিনী।



লিঙ্গ পুরাণ


অগ্নিলিঙ্গে অবস্থান করে অগ্নিকল্পের কাহিনীর আশ্রয় নিয়ে ভগবান শঙ্কর ব্রহ্মাজীকে ধর্ম ইত্যাদি সিদ্ধির জন্য যে শিক্ষা দিয়েছিলেন তা ভাগ করে বেদ ব্যাস  লিঙ্গ পুরাণ রচনা করেন।


শ্লোক সংখ্যা- ১১ হাজার

 

বিষয় :


পূর্বাংশ - সৃষ্টির বর্ণনা, যোগাখ্যান ও কল্পাখ্যানের বর্ণনা, লিঙ্গের উৎপত্তি ও উপাসনার পদ্ধতি, সনৎকুমার ও শৈলের কথোপকথন, দধীচী চরিত্র, ত্রিপুরার গল্প,  ভগবান শিবের ব্রত, পুণ্যের উপস্থাপনা, প্রায়শ্চিত্ত, কাশী ও শ্রীশৈলের বর্ণনা, অন্ধকাসুরের গল্প, বরাহ চরিত্র, নরসিংহ চরিত্র।

জলন্ধর বধের গল্প, শিব সহস্রনাম, দক্ষিণ যজ্ঞের বিনাশ, মদনদহন, পার্বতীর দত্তক নেওয়ার গল্প, বিনায়কের গল্প, ভগবান শিবের তাণ্ডব নৃত্যের গল্প, উপমন্যুর গল্প।


উত্তর:- ভগবান বিষ্ণুর মাহাত্ম্য, অম্বরীশের কাহিনী, সনৎকুমার ও নন্দীশ্বরের কথোপকথন, শিবের মাহাত্ম্যের বর্ণনা, স্নান, যোগ ইত্যাদি, সূর্য পূজার পদ্ধতি।

মুক্তিদায়িনী শিব পূজার বর্ণনা, বহু প্রকার দানের বর্ণনা, শ্রাদ্ধ পর্ব ও প্রতিষ্টাতন্ত্রের বর্ণনা, অঘোর কীর্তন, ব্রজেশ্বরী মহাবিদ্যা, গায়ত্রী মহিমা, ত্র্যম্বক মাহাত্ম্য, পুরাণ।



বরাহ পুরাণ


বরাহ পুরাণ দুটি অংশ নিয়ে গঠিত।  পণ্ডিতদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহর্ষি বেদ ব্যাস  এই পুরাণে অতীতে ব্রহ্মার দ্বারা সৃষ্ট মানব চক্রের প্রসঙ্গে লিখেছেন।


শ্লোক সংখ্যা- ২৪ হাজার


বিষয় :


পূর্ব অংশ – ঈশ্বর পৃথিবী ও বরাহের সংলাপ, দুর্জয়ের চরিত্র, মহাতপের বর্ণনা, গৌরীর উৎপত্তি।

দেবী, ধনদ ও বৃষের গল্প, সত্যাপারের উপবাসের গল্প, অগস্ত্য গীতা, রুদ্র গীতা, মহিষাসুর ধ্বংসে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও রুদ্রের শক্তির মাহাত্ম্য।

উপবাস ও তীর্থযাত্রার কাহিনী, বত্রিশটি অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত, সমস্ত তীর্থের মহিমা, মথুরার মহিমা, শ্রাদ্ধের পদ্ধতি, যমলোকের বর্ণনা, গোকর্ণের মাহাত্ম্য।


উত্তর:- পুলস্ত্য ও পুরুষরাজের সংলাপ, সকল ধর্মের ব্যাখ্যা, পুষ্কর নামক পুণ্য উৎসবের বর্ণনা।



স্কন্দ পুরাণ


ব্যাসদেবের স্কন্দ পুরাণে শিব মহিমার সারমর্ম বর্ণনা করেছেন, যা ব্রহ্মা শতকোটি পুরাণে বর্ণনা করেছেন।  স্কন্দপুরাণ সাতটি ধারা নিয়ে গঠিত।


শ্লোক সংখ্যা- ৮১ হাজার


বিষয় :


মহেশ্বরখণ্ড – কেদার মাহাত্ম্য, দক্ষিণ যজ্ঞের গল্প, শিবলিঙ্গ পূজার ফল, সমুদ্র মন্থনের গল্প, দেবরাজ ইন্দ্রের চরিত্র, পার্বতীর বিয়ে।

পশুপতের উপাখ্যান, চাঁদের গল্প, রাজা ধর্মবর্মার গল্প, নদী ও সাগরের বর্ণনা, ইন্দ্রদ্যুম্ন ও নদীজঙ্গের গল্প, মাহদির আবির্ভাব, দমনকের গল্প,

মহিসাগর সঙ্গম ও কুমারেশের গল্প, তারাকাসুর বধ, পঞ্চলিঙ্গ প্রতিষ্ঠার গল্প, দ্বীপপুঞ্জের বর্ণনা, উচ্চতর জগতের অবস্থা, মহাবিশ্বের অবস্থা, মহাকালের আবির্ভাব।

বাসুদেবের মাহাত্ম্য, পাণ্ডবদের কাহিনী, বর্বরিকের সাহায্যে শিক্ষার উপায়, অরুণাচলের মাহাত্ম্য, সনক ও ব্রহ্মার কথোপকথন, গৌরীর তপস্যার বর্ণনা।

মহিষাসুর বধের গল্প, দ্রোণাচল পর্বতে ভগবান শিবের চিরস্থায়ী বাসস্থান।


বৈষ্ণবখণ্ড - ভূমি-বরাহ কথোপকথন, ভেঙ্কটাচলের মহিমা, কমলার পবিত্র গল্প, শ্রীনিবাসের মর্যাদা, কুমোরের গল্প, সুবর্ণমুখী নদীর মাহাত্ম্য, ভরদ্বাজের গল্প।

মাতঙ্গ ও অঞ্জনের কথোপকথন, পুরুষোত্তম ক্ষেত্রের মাহাত্ম্য, মার্কণ্ডেয়ের গল্প, রাজা অম্বরীশের গল্প, বিদ্যাপতির গল্প, জৈমিনী ও নারদ সংলাপ, নীলকণ্ঠ ও নরসিংহের বর্ণনা।

অশ্বমেধ যজ্ঞের কাহিনী, জপ ও স্নান পদ্ধতি, দক্ষিণামূর্তি উপাখ্যান, গুন্ডিচা কাহিনী, ঈশ্বরের শয়ন উৎসবের বর্ণনা, রাজা শ্বেতের উপাখ্যান।

দোলোৎসব ও সম্বাত্সারিক ব্রতের বর্ণনা, ভগবান বিষ্ণুর নিঃস্বার্থ উপাসনা, যোগসূত্র প্রণয়ন, দশাবতার কাহিনী, বদ্রিকাশ্রমের মাহাত্ম্য, গরুড় শীলের মহিমা, কপালমোচন তীর্থ।

পঞ্চধারা তীর্থ, মেরুসংস্থানের গল্প, কার্তিক মাসের মাহাত্ম্য, মদনালসের মাহাত্ম্য,

ধূম্রকেশের উপাখ্যান, ভীষ্মপঞ্চকের উপবাস, মার্গশীর্ষ স্নানের মহিমা।

ভগবান বিষ্ণুর পূজা ও তুলসীদাসের মাহাত্ম্য, একাদশীর উপবাস, মাহাত্ম্য, নামকীর্তন মাহাত্ম্য, মথুরা তীর্থের মাহাত্ম্য, শ্রীমদ্ভাগবত মাহাত্ম্য, বজ্রনাভ ও শাণ্ডিল্য সংলাপ।

মাঘ মাসের স্নান, দান ও জপের মাহাত্ম্য, বৈশাখের মাহাত্ম্য, শুকদেব চরিত্র, শিকারীর কাহিনী, অক্ষয় তৃতীয়ার বর্ণনা, অযোধ্যার মহিমা, বহু তীর্থযাত্রার বর্ণনা।


ব্রহ্মখণ্ড - সেতু মাহাত্ম্য, গালভের তপস্যা ও অসুরের কাহিনী, ধনুষ্কোটি মাহাত্ম্য, রামেশ্বরের মহিমা, সেতু যাত্রার বর্ণনা, ধর্মারণ্যের মাহাত্ম্য।

ভগবান শিবের স্কন্দকে উপাদানের শিক্ষা, বকুলাদিত্যের গল্প, লোহাসুরের গল্প, শ্রী রামচন্দ্র জির চরিত্র, বৈষ্ণব ধর্মের বর্ণনা, চাতুর্মাস্যের মাহাত্ম্য।

দান, উপবাস, তপস্যা ও পূজার মহিমা বর্ণনা, শালগ্রামের মহিমা, তারাকাসুর বধের উপায়, গরুড় পূজার মহিমা, শিবের নৃত্য, শিবলিঙ্গ পতনের কাহিনী।

পৈজবন শূদ্রের কাহিনী, পার্বতীর জন্ম ও চরিত্র, তারাকাসুর বধ, প্রণবের ঐশ্বর্যের বর্ণনা, দ্বাদশাক্ষর মন্ত্রের প্রণয়ন, জ্ঞান যোগের বর্ণনা, দ্বাদশ সূর্যের মহিমা।

ভগবান শিবের মহিমা, পঞ্চাক্ষর মন্ত্রের মাহাত্ম্য, গোকর্ণের মহিমা, শিবরাত্রির মহিমা, প্রদোষ উপবাস ও সোমবার উপবাসের মহিমা, সিমন্তিনীর গল্প, ভাদ্রায়ুর উৎপত্তি ও মহিমা।

শিবকবচের শিক্ষা, উমা মহেশ্বর ব্রতের মহিমা, রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য।


কাশীখণ্ড - বিন্ধ্য পর্বত ও নারদ সংলাপ, সত্যলোকের প্রভাব, গুণী চরিত্র, সপ্তপুরীর বর্ণনা, শিবের কাছে সূর্য, ইন্দ্র ও অগ্নির প্রাপ্তি, আগুনের উৎপত্তি।

বরুণের উৎপত্তি, গন্ধবতী, অলকাপুরী ও ঈশানপুরীর উৎপত্তি, চন্দ্র, সূর্য, বুধ, মঙ্গল ও বৃহস্পতির গ্রহ, ব্রহ্মলোক, বিষ্ণুলোক, ধ্রুবলোক ও তপোলোকের বর্ণনা।

স্কন্দ অগস্ত্য সংলাপ, মণিকর্ণিকার উৎপত্তি, গঙ্গাজীর আবির্ভাব, গঙ্গা সহস্রনাম, কাশীপুরীর প্রশংসা, ভৈরবের আবির্ভাব, দণ্ডপানি ও জ্ঞানবাপের উৎপত্তি, কালবতীর গল্প।

নারীর বৈশিষ্ট্য, গৃহস্থ যোগীর ধর্ম, দিভোদাসের গল্প, পঞ্চনদতীর্থের উৎপত্তি, বিন্দুমাধবের আবির্ভাব, কাশীতে শূলধারী শঙ্কর জির আগমন, ওমকারেশ্বরের বর্ণনা।


অবন্তীখণ্ড – মহাকালবনের কাহিনী, ব্রহ্মার মস্তক ভেদ করা, আগুনের উৎপত্তি, শিবস্তোত্র, কপালমোচনের কাহিনী, মহাকালেশ্বর, কেদারেশ্বর, রামেশ্বর প্রভৃতি তীর্থস্থানের বর্ণনা।

অন্ধকাসুর দ্বারা শিবের স্তুতি, শিপ্রা স্নানের ফল, সর্প দ্বারা ভগবান শিবের স্তুতি,

হিরণ্যক্ষ বধ, নাগ পঞ্চমীর মহিমা, বিষ্ণু সহস্রনাম, নর্মদা নদীর মাহাত্ম্য।

যুধিষ্ঠির মার্কণ্ডেয় সংলাপ, কালরাত্রির গল্প, গৌরীব্রতের বর্ণনা, শচী হারণের গল্প, অ্যাসবেস্টস বধ, ধৃষ্টপের গল্প, চিত্রসেনের গল্প, দেবশীলার গল্প, শবরী তীর্থ, ধুন্ধুমারের উপাখ্যান।


নাগরখণ্ড – লিঙ্গোত্তির বর্ণনা, হরিশচন্দ্রের গল্প, বিশ্বামিত্রের মহিমা, ত্রিশঙ্কুর স্বর্গে যাত্রা, বৃত্রাসুর বধ, জমদগ্নির বধের গল্প,

পরশুরামের ক্ষত্রিয় হত্যার গল্প, দময়ন্তী পুত্র ত্রিজাতের গল্প, ধর্মরাজের গল্প, জাভালি চরিত্রের গল্প, মকরেশের গল্প, ব্রহ্মার আত্মত্যাগ, সাবিত্রীর গল্প,

সম্বাদিত্যের মহিমা, যুধিষ্ঠিরের কথোপকথন, শিবরাত্রির মাহাত্ম্য, নিম্বেশ্বর ও শাকম্ভরীর কাহিনী, এগারো রুদ্রের আবির্ভাবের বর্ণনা।


প্রভাসখণ্ড – সোমনাথ, বিশ্বনাথ, অর্কস্থল ও সিদ্ধেশ্বরের বর্ণনা, নারায়ণের রূপের উপস্থাপনা, তপ্তকুণ্ডের মহিমা, চতুর্মুখ গণেশ ও কলম্বেশ্বরের গল্প,

মার্কন্ডেয় জির উৎপত্তি কাহিনী, শ্রী দেবমাতার উৎপত্তি, ব্যাস ও গৌতম তীর্থের কাহিনী, উমা মহেশ্বরের মাহাত্ম্য, জম্বুতীর্থের গুরুত্ব, গঙ্গাধর ও মিশ্রের কাহিনী,

চন্দ্রশর্মার কাহিনী, একাদশী উপবাসের তাৎপর্য, প্রহ্লাদ ও ঋষিদের সাক্ষাৎ।



বামন পুরাণ


বামন পুরাণ দুটি অংশ নিয়ে গঠিত।  এতে কূর্ম কল্পের কাহিনী এবং ত্রিবর্ণের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।


শ্লোক সংখ্যা - ১০হাজার

    

বিষয় :


পূর্ব অংশ- ব্রহ্মার মাথার গল্প, কপালমোচনের গল্প, দক্ষিণ যজ্ঞের বিনাশ, প্রহ্লাদ নারায়ণের যুদ্ধ, দেবসুর সংগ্রাম, সুকেশী ও সূর্যের গল্প,  কুরুক্ষেত্রের বর্ণনা,

পার্বতীর জন্মের গল্প, কুমার চরিত্র, অন্ধক বধের গল্প, জাভালি চরিত্র, অর্জার গল্প, মরুদগানের জন্মের গল্প, রাজা বলির চরিত্র, লক্ষ্মী চরিত্র, ধুন্ধু চরিত্র,

নক্ষত্র পুরুষের গল্প, শ্রীদামার চরিত্র, ত্রিবিক্রম চরিত্র, প্রহ্লাদ বালির সংলাপ।

উত্তর: শ্রী কৃষ্ণ ও তাঁর ভক্তদের বর্ণনা, জগদম্বা অবতারের কাহিনী, সূর্যের মহিমা, ভগবান শিব ও গণেশের চরিত্রের বর্ণনা।



কূর্ম পুরাণ


কূর্ম পুরাণ চারটি সংহিতায় বিভক্ত।  এতে লক্ষ্মী কল্পের কাহিনী রয়েছে।

এই পুরাণে কূর্ম রূপে থাকা শ্রী হরি ইন্দ্রদ্যুম্নের প্রসঙ্গ থেকে মহর্ষিদের কাছে ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের বিভিন্ন তাৎপর্য বর্ণনা করেছেন।


শ্লোক সংখ্যা - ১৭ হাজার

   

 বিষয় :


ব্রাহ্মী সংহিতা - লক্ষ্মী ইন্দ্রদ্যুম্ন কথোপকথন, কূর্ম ও মহর্ষিদের আলোচনা, বর্ণাশ্রম সম্পর্কিত নীতিশাস্ত্র, জগতের উৎপত্তির বর্ণনা, সময়ের সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব, সর্বনাশের শেষে ঈশ্বরের প্রশংসা,

শঙ্করের চরিত্র, পার্বতী সহস্রনাম, যোগ প্রতিনিধিত্ব, ভৃগুবংশের বর্ণনা, স্বয়ম্ভু মনু এবং দেবতাদের উৎপত্তি, দক্ষিণ যজ্ঞের বিনাশ, দক্ষিণ সৃষ্টি, কাশ্যপের বংশের বর্ণনা,

অত্রিবংশের ভূমিকা, শ্রী কৃষ্ণের চরিত্র, মার্কণ্ডেয় শ্রী কৃষ্ণের সংলাপ, ব্যাস পাণ্ডবের সংলাপ, ব্যাস জৈমিনীর গল্প, কাশী ও প্রয়াগের মাহাত্ম্য, তিন জগতের বর্ণনা, ব্যাস গীতা, ঈশ্বরীয় গীতা।


ভগবতী সংহিতা - চারটি বর্ণের বিভিন্ন মনোভাব এবং কর্তব্যের প্রতিনিধিত্ব।


সৌরি সংহিতা- ছয় প্রকার শতকর্ম সিদ্ধি।


বৈষ্ণবী সংহিতা – দুই বর্ণের জন্য শিক্ষা।



মৎস্য পুরাণ


মৎস্য পুরাণে বেদবেতা ব্যাসদেবের এই পৃথিবীর সাতটি কল্পের বিবরণ দিয়েছেন।


শ্লোক সংখ্যা- ১৪ হাজার

    

বিষয় :


মনু মৎস্য কথোপকথন, মহাবিশ্বের বর্ণনা, ব্রহ্মা, দেবতা ও অসুরদের উৎপত্তি, মরুদগানের আবির্ভাব, মদনদ্বাদশী, লোকপাল পূজা, মন্বন্তর বর্ণনা, 

সূর্য ও বৈবশ্বত মনুর উৎপত্তি, পিতৃবংশের বর্ণনা, সোমের উৎপত্তি ও সোমবংশের বর্ণনা, রাজা যযাতির চরিত্র, কার্তবীর্য অর্জুনের চরিত্র, ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার,

পুরবংশের বর্ণনা, হুতাশন রাজবংশের বর্ণনা, প্রয়াগ মাহাত্ম্য, ধ্রুবের গৌরব, পূর্বপুরুষের গৌরব, চার যুগের উৎপত্তি, বজরঙ্গের উৎপত্তি, তারকাসুরের উৎপত্তি, পার্বতীর আবির্ভাব,

শিবকে খুশি করতে পার্বতীর তপস্যা, শিব-পার্বতীর বিয়ে, কুমার কার্তিকেয়ের জন্ম, কার্তিকেয়ের হাতে তারকাসুর বধ, নরসিংহের গল্প, অন্ধকাসুর বধ,

বারাণসীর মাহাত্ম্য, নর্মদা মাহাত্ম্য, সাবিত্রীর গল্প, রাজধর্মের বর্ণনা, ব্রাহ্মণ ও বরাহের মাহাত্ম্য, সমুদ্র মন্থন, কালকূটের শান্তি, বাস্তু বিদ্যা, মূর্তি বৈশিষ্ট্য, দেব মন্দির নির্মাণ, ভবিষ্যত রাজাদের বর্ণনা।



গরুড় পুরাণ


গরুড়ের অনুরোধে, ভগবান বিষ্ণু তাঁকে তর্ক্যকল্পের গল্প সম্বলিত গরুড় পুরাণ বর্ণনা করেন।  গরুড় পুরাণ দুটি ধারা নিয়ে গঠিত।


শ্লোক সংখ্যা- ১৯ হাজার


বিষয় :


প্রাক-বিভাগ - সূর্য উপাসনার পদ্ধতি, দীক্ষা পদ্ধতি, শ্রাদ্ধ পূজা, নবব্যূহ পূজা, বিষ্ণু সহস্রনাম কীর্তন, অষ্টাঙ্গ যোগ, প্রায়শ্চিত্ত পদ্ধতি, দানধর্ম, নরকের বর্ণনা, জ্যোতিষশাস্ত্র, সমুদ্রবিদ্যা,

গয়ার মাহাত্ম্য, পূর্বপুরুষের উপাখ্যান, বর্ণধর্ম, শ্রাদ্ধ কর্ম, গ্রহযজ্ঞ, জন্মশৌচ, প্রেতাশুদ্ধি,

নীতিশাস্ত্র, বিষ্ণু কবচ, গরুড় কবচ, গীত, তর্পণ, বলিবৈশ্বদেব, নিত্যশ্রাদ্ধ,

বিষ্ণু মহিমা, নরসিংহ স্তোত্র, বেদান্ত এবং সাংখ্যের মতবাদ।

উত্তরঃ ধর্মের তাৎপর্য, যমলোকের পথের বর্ণনা, ষোড়শ শ্রাদ্ধের ফল, যমলোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়, ধর্মরাজের মহিমা, ভূতের যন্ত্রণার বর্ণনা, ভূতের উপাধি,

দানব অর্জনের কারণ ও মুক্তির উপায়, মোক্ষলাভকারী দান, অসুরকে আনন্দ দেয় এমন কর্মের বর্ণনা, যমলোকের বর্ণনা, মৃত্যুর পূর্বে কর্তব্যের বর্ণনা, মৃত্যুর পর কর্মের বর্ণনা,

স্বর্গে নিয়ে যাওয়া কর্ম, সূতকের দিন সংখ্যা, অকালমৃত্যু উপলক্ষ্যে করণীয় কর্ম, পরিত্রাণের জন্য কর্তব্য ও অ-কর্তব্যের ধারণা, ভূমির বর্ণনা,

নিম্ন সপ্তম এবং উপরের পাঁচটি জগতের বর্ণনা, ব্রহ্মা ও আত্মার প্রতিনিধিত্ব, চূড়ান্ত বিপর্যয়ের বর্ণনা।



ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ


ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে চারটি পা রয়েছে।  এই পুরাণ ভবিষ্যৎ কল্পের গল্পে পরিপূর্ণ।


শ্লোক সংখ্যা - ১২ হাজার

    

বিষয় :


প্রকায়পদ - কর্তব্য শিক্ষা, নৈমিশের বর্ণনা, হিরণ্যগর্ভের উৎপত্তি ও লোক রচনা।

অনুশংপদ - কল্প ও মন্বন্তরের বর্ণনা, মানুষী সৃষ্টির বর্ণনা, রুদ্র সৃষ্টির বর্ণনা, প্রিয়ব্রত রাজবংশের পরিচয়, ভারতবর্ষের বর্ণনা, জম্বুর মতো সাতটি দ্বীপের পরিচয় ইত্যাদি।

নিম্ন ও ঊর্ধ্ব জগতের বর্ণনা, গ্রহের গতি বিশ্লেষণ, ভগবান শিবের নাম নীলকন্ঠ রাখার কারণ, মহাদেবজির মহিমা, অমাবস্যার বর্ণনা।

যুগ অনুসারে বিষয়ের বৈশিষ্ট্য, স্বয়ম্ভু মন্বন্তর ও অবশিষ্ট মন্বন্তরের উপস্থাপনা, পৃথিবীর শোষণ

উপোদঘাটপাদ- সপ্তর্ষিদের বর্ণনা, প্রজাপতি রাজবংশের বর্ণনা, মরুদগণের উৎপত্তি, কশ্যপের সন্তানদের বর্ণনা, বৈবস্বত মনুর উৎপত্তি, মনুর পুত্রদের বংশ, ইক্ষ্বাকু রাজবংশের বর্ণনা।


মহাত্মা অত্রির বংশের বর্ণনা, যয়াতি চরিত্র, যদু বংশের বর্ণনা, পরশুরাম চরিত, সাগরের উৎপত্তি, ভার্গবের চরিত্র, কার্তবীর্য বধের গল্প, কৃষ্ণাবতারের বর্ণনা।

শুক্রাচার্যের ইন্দ্রের পবিত্র স্তোত্র, বিষ্ণুর মাহাত্ম্য, কলিযুগে রাজাদের চরিত্র।

উপসমহারপদ – বৈবশ্বত মন্বন্তরের গল্প, ভবিষ্যৎ মনুষের চরিত্র, চৌদ্দ ভুবনের বর্ণনা, প্রাকৃত প্রলয়ের বর্ণনা, শিবলোকের বর্ণনা, পরব্রহ্ম পরমাত্মার রূপের বর্ণনা।

    


ভারতীয় পুরাণের প্রধান লক্ষণগুলী কি কি?


  ভারতীয় পুরাণের প্রধান পাঁচটি লক্ষণ হল:-


“সর্গশ্চ প্রতি সর্গশ্চ বংশো মন্বন্তরানি চ

বংশানুচরিতঞ্চৈব পুরাণং পঞ্চলক্ষণম্।।”


অর্থাৎ -

 ১) সর্গ – প্রথম সৃষ্টি।


২) প্রতিসর্গ – সৃষ্টির পর আবার সৃষ্টি।


৩) বংশ – দেবতা ও ঋষিদের বংশপরিচয়।


৪) মন্বন্তর – মনুদের রাজত্বকাল।


৫) বংশানুচরিত – বিভিন্ন প্রাচীন রাজাদের বংশাবলীর পরিচয়।


ভারতীয় পুরানের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?


ভারতীয় পুরানগুলি সৃষ্টি, ধ্বংসের পর পুনরায় সৃষ্টি,ঋষি ও দেবগনের বংশাবলী, মনুদের রাজত্বকাল এবং প্রাচীন রাজবংশাবলীর ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছিল। এছাড়াও দান,ধর্ম,বিধি, শ্রাদ্ধকল্প, বর্ণাশ্রমবিভাগ, ইষ্টাপূর্ত ও দেবপ্রতিষ্টা প্রভৃতি বিষয়গুলির কথাও পুরাণগুলিতে যথেষ্ট আলোচিত হয়েছে। 

ভূগোল, পদার্থবিদ্যা, জ্যোতিষ, শারীরবিদ্যা, ব্যাকরণ, চিকিৎসাশাস্ত্র, অস্ত্রবিদ্যা প্রভৃতি বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনাও পুরাণগুলিতে স্থান পেয়েছে। পুরাণগুলিতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর-এই তিনজন  দেবতার উপসনাই প্রাধান্য পেয়েছে। ভারতীয় পুরানগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- এক একটি পুরাণে একটি একটি বিশেষ দেবতার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কোনো কোনো পুরাণে দর্শন, অলংকার, ব্যাকরণ, ছন্দ ও ধর্মশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।


ভারতীয় পুরাণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব :


ভারতীয় পুরাণগুলির ঐতিহাসিক মূল্য অবিস্মরণীয়। প্রাচীনকাল থেকে অযোধ্যার রাজা পরীক্ষিতের রাজ্যাভিষেক পর্যন্ত সময়ের ইতিহাস জানতে হলে পুরানগুলিই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। পুরাণগুলি থেকে প্রাচীন ভারতবর্ষের যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় অন্য কোথাও তার সন্ধান মেলে না। 

দেবতা, ঋষি ও মহান রাজাদের বংশপরিচয় ও তাদের কর্ম সম্বন্ধে সঠিক বিবরন সংরক্ষণ করে রাখাই ছিল পুরাণ সাহিত্যের উদ্দেশ্য। প্রাচীন রাজাদের মধ্যে শিশুনাগ, নন্দ, মৌর্য, শুঙ্গ ও গুপ্তযুগের বিভিন্ন কাহিনী পুরাণগুলিতে পরিলক্ষিত হয়।  এছাড়াও বিম্বিসার, অজাতশত্রু, চন্দ্রগুপ্ত প্রভৃতি রাজাদের ইতিহাসেও পুরাণ সাহিত্যে স্থান পেয়েছে।সুতরাং ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনায় পুরাণগুলির অবদান অনস্বীকার্য ।


উপসংহার:-


মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক  জীবনে পুরাণগুলি যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে। শাক্ত এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রধান  গ্রন্থ হল পুরাণ। “মার্কণ্ডেয়” পুরাণের অন্তর্গত  “চণ্ডী” নামক দেবীমাহাত্ম্য হিন্দুধর্মের অতি পরিচিত ধর্মগ্রন্থ। পরিশেষে বলা যায়, এই পুরাণগুলি থেকেই যুগ যুগ ধরে মূল্যবান উপাদান সংগ্রহ করে ভারতীয় ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি মহান অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে।


ধন্যবাদ  :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ