পঞ্চতত্ত্ব : পঞ্চতত্ত্ব কাকে বলে? পঞ্চতত্ত্বের পরিচয় - ধ্যান ও মন্ত্র।


পঞ্চতত্ত্ব : 

পঞ্চতত্ত্ব কাকে বলে? পঞ্চতত্ত্বের পরিচয় - ধ্যান ও মন্ত্র।


গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মমতে, পঞ্চদশ শতকে এই পৃথিবীতে ঈশ্বর স্বয়ং ( কৃষ্ণ ) পাঁচটি অবতারে প্রকাশ হয়েছিলেন তাকেই বলা হয় পঞ্চতত্ত্ব। এরা হলেন চৈতন্য মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ,অদ্বৈত আচার্য , গদাধর পণ্ডিত ও শ্রীনিবাস ঠাকুর ।

পঞ্চতত্ত্ব পরিচয়

পঞ্চতত্ত্ব


পঞ্চতত্ত্বাত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপস্বরূপকম্।
ভক্তিবতারং ভক্তাখ্যং নমামি ভক্তশক্তিকম্।।


(১) ভক্তরূপে - স্বয়ং শ্রীগৌরাঙ্গ। (২) ভক্তস্বরূপ -  শ্রী নিত্যানন্দ। (৩) ভক্তাবতার - শ্রী অদ্বৈত আচার্য। (৪) ভক্তশক্তি - শ্রীগদাধর। (৫) ভক্তাখ্য বা শুদ্ধভক্ত - শ্রীবাসাদি।

শ্রীগৌরাঙ্গ প্রথম তত্ত্ব বুঝিতেই হয়।
নিত্যানন্দ তাঁর পরে সদা মনে রয়।।
তৃতীয়তে শ্রীঅদ্বৈত তত্ত্ব বুঝ সবে।
গদাধর পণ্ডিতেরে চতুর্থ ধরিবে।।
শ্রীবাস পঞ্চতত্ত্ব নাহি কেহ আর।
কেশবের পঞ্চতত্ত্ব ইহা জেন সার।।

                        গৌরতত্ত্ব

রাধা স্বরূপতঃ কৃষ্ণপ্রেমই,তিনি  শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনীশক্তি। রাধা ও কৃষ্ণের সত্তা ভিন্ন নহে, কিন্তু লীলার জন্যই তারা ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হইয়াছিলেন। এখানে আবার তাহারা শ্রীচৈতন্যের মধ্যে এক হইয়াছেন। শ্রীচৈতন্য রূপে প্রকট হইয়াছেন। রাধার গৌরকান্তি ও কৃষ্ণপ্রেম লইয়া সমুদ্র হইতে চন্দ্রের ন্যায় শচীনন্দন হইয়া শ্রীচৈতন্যচন্দ্র উদিত হয়েছেন। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই শ্রীরাধার ভাবযুক্ত হইয়া চৈতন্যরূপে জন্ম নিয়েছেন তিনটি সাধ পূরণের জন্য - প্রথম সাধ - রাধা প্রেমের মহিমা কত পরিমান তা তিনি জানিবেন। দ্বিতীয় সাধ - সেই প্রেমের আলোকপাতে শ্রীকৃষ্ণের মাধুর্যের চমৎকারীতা কত পরিমান তাহা তিনি জানিবেন । তৃতীয় সাধ -সেই  চমৎকারিতা অনুভব করিয়া রাখার আনন্দ কত পরিমান তহাও তিনি জানাবেন। উপনিষদের যিনি  অদ্বৈত ব্রম্ভ  তিনি ইহারই অঙ্গকান্তি। যোগশাস্ত্রে যিনি  অন্তর্যামী আত্মা তিনি ইহারই আংশিক বিভূতি।এমনকি ষড়ৈশ্বর্যময় ভগবান যিনি, তিনিও ইহারই  স্বরূপ। স্বর্ণপুঞ্জের ন্যায় উজ্জ্বল দেহকান্তিশালী শ্রীকৃষ্ণস্বরূপ চৈতন্য হইতে পরমতত্ত্ব আর কিছু নাই।

                   নিত্যানন্দ তত্ত্ব

সর্ব অবতারী কৃষ্ণ - স্বয়ং ভগবান্।
তাহার দ্বিতীয় দেহ - শ্রী বলরাম।।
একই স্বরূপ দোঁহে ভিন্ন মাত্রা কায়।
আদ্য কায়ব্যৃহ - কৃষ্ণলীলা সহায়।।
সেই কৃষ্ণ নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্যচন্দ্র।
সেই বলরাম সঙ্গে নিত্যানন্দ।।
শ্রী বলরাম গোঁসাইঞ্চি মূল সঙ্কর্ষণ।
পঞ্চরূপ ধরি করেন কৃষ্ণের সেবন।।
আপনে করেন কৃষ্ণ লীলার সহায়।
সৃষ্টিলীলা কার্য্য করে ধরি চার কায়।।
সর্ব্বরূপে আস্বাদয়ে কৃষ্ণ-সেবানন্দ।
সেই রাম শ্রীচৈতন্য সঙ্গে নিত্যানন্দ।।

কৃকৃষ্ণ বিগ্রহ যৈছে বিভূতাদি গুণবান।
সেই পরমব্রহ্মে নারায়ণের চারিপাশে।
দ্বারকা চতুর্বূহ দ্বিতীয় প্রকাশে।।
বাসুদেব সংকর্ষণ প্রদ্যুম্ন অনিরুদ্ধ।
দ্বিতীয় চতুব্যুহের এই তুরীয় বিশুদ্ধ।।
তাহা যে রামের রুপ মহাসঙ্কর্ষণ।
চিচ্ছক্তিআশ্রয় তিহোঁ কারণের কারণ।।
চিচ্ছক্তি বিলাসএক শুদ্ধ সত্ত্ব নাম।
শুদ্ধ সত্ত্বময় যত  বৈকুন্ঠাদি ধাম।।
ষড়বিধ ঐশ্বর্য তাহা - সকল চিন্ময়।
সঙ্কর্ষণের বিভূতি সব জানিহ নিশ্চয়।।
জীব নাম তটস্হাখ এক শক্তি হয়।
মহাসঙ্কর্ষণ সর্ব জীবের আশ্রয়।।
যাহা হইতে রাষ্টবিশ্বোৎপতি যাহাতে প্রলয়।
সেই পুরুষের সসঙ্কর্ষণ সমাশ্রয়।।
সর্ব্বাশ্র সর্ব্বোদ্ভুত ঐশ্বর্য অপার।
অনন্ত কহিতে নারে মহিমা যাহার।।
তুরীয় বিশুদ্ধ সত্ত্ব সংকর্ষণ নাম।
তিহোঁ যার অংশ সেই নিত্যানন্দ রাম।।

শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর পরিচয় :

নিতাই,নিত্যানন্দ, অবধূত। বীরভূম জেলার অন্তর্গত একচক্রাগ্রামে মহাপ্রভুর আবির্ভাবের প্রায় দ্বাদশ বৎসর পূর্বে তাঁহার আবির্ভাব। পিতা - হাড়াই পন্ডিত বা হাড়াই ওঝা,   মাতা  - পদ্মাবতী দেবী। দুই স্ত্রী জাহ্নবীদেবী ও বসুধা দেবী।

                  শ্রীঅদ্বৈততত্ত্ব

অদ্বৈত আচার্য গোঁসাঞি সাক্ষাৎ ঈশ্বর।
যাহার মহিমা নহে জীবের গোচর।।
মহাবিষ্ণু সৃষ্টি করেন জগদাদি কার্য্য।
তাঁর অবতার সাক্ষাৎ অদ্বৈত-আচার্য।।
যে পুরুষ সৃষ্টি স্থিতি করেন মায়ায়।
অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেন লীলায়।।
ইচ্ছায় অনন্তমূর্তি করেন প্রকাশে।
এক এক মূর্ত্তো করেন ব্রহ্মাণ্ড প্রবেশে
চোরের অভেদ হইতে অদ্বৈত পূর্ণ নাম ।।
সে পুরুষ অংশ অদ্বৈত নাহি কিছু ভেদ।
শরীর বিশেষ তাঁর নাহিক বিচ্ছেদ।।
আপনে পুরুষ বিশ্বের নিমিত্ত কারণ।
অদ্বৈত রূপে উপাদান হয় নারায়ন।।
মহাবিষ্ণুর অংশ অদ্বৈত গুণধাম।
ঈশ্বরের অভেদ হইতে অদ্বৈত পূর্ণনাম।।
যাঁহার তুলসী জলে যাঁহার হুংকারে।
স্বগণ সহিতে চৈতন্যের অবতারে।।
যাঁর দ্বারা কৈল প্রভু কীর্তন প্রচার।
যাঁর দ্বারি কৈল প্রভু জগত-নিস্তার।।

অদ্বৈতাচার্যের পরিচয় :

ভক্তি কল্পতরুর প্রধান স্কন্ধস্বরূপ। শ্রীহট্টের লাউড় গ্রামে বারেন্দ্র ব্রাহ্মণকুলে আবির্ভাব। পিতা -  কুবের পন্ডিত; মাতা - লাভা দেবী। দুই স্ত্রী - সীতা দেবী ও শ্রীদেবী। মহাপ্রভুর আবির্ভাবের বহু পূর্বে তাঁহার আবির্ভাব। তাহার প্রেম হুংকারেই মহাপ্রভুর আবির্ভাব।

                   শ্রীগদাধরতত্ত্ব

শ্রী গদাধর পণ্ডিত গোস্বামী হইলেন পঞ্চতত্ত্বের শক্তিতত্ত্ব। ব্রজলীলায় ছিলেন শ্যামসুন্দরবল্লভা বৃন্দাবনলক্ষ্মী ( শ্রীরাধিকা ), ললিতাও তাঁহাতে সন্নিবিষ্টা। গদাধরে রুক্মিণীদেবীরও প্রভাব পরিলক্ষিত। গদাধর আদি প্রভুর শক্তি অবতার। অন্তরঙ্গ ভক্ত করি গমণ যাঁহার।। যাঁহা সভা লৈয়া প্রভুর নিত্য বিহার। যাহা সভা লৈয়া প্রভুর কীর্ত্তন প্রচার।। যাঁহা সভা লৈয়া করেন প্রেম আস্বাদন। যাঁহা সভা লৈয়া দান করেন প্রমধন।।

শ্রীগদাধরের পরিচয় :

চট্টগ্রামের বেলেটিগ্রামে আবির্ভাব। পিতা - শ্রী মাধব মিশ্র; মাতা -  রত্নাবতী।

শ্রীবাস পন্ডিত তত্ত্ব

পূর্বের পরম ভাগবত নারদ। বৈষ্ণবীয় বিখ্যাত ছয় চক্রবর্তীর অন্যতম। অপর পাঁচ চক্রবর্তী যথা - শ্রীদাস,শ্যামদাস,গোকুলানন্দ,গোবিন্দ ও  রামচরণ। "শ্রীবাসাদি যত কোটি কোটি ভক্তগণ। শুদ্ধ-ভক্ত-তত্ত্ব মধ্যে সবার গণন।।

শ্রীবাস এর পরিচয় :

 শ্রীহট্টে ব্রাহ্মণকূলে আবির্ভাব। ইহারা ছিলেন চারি ভ্রাতা - শ্রীবাস, শ্রীরাম,শ্রীপতি,শ্রীনিধি। "চৈতন্যের অবশেষ পাত্র"  নারায়নী দেবী ছিলেন শ্রীবাসের ভ্রাতুস্পুত্রী। শ্রীবাসের স্ত্রী মলিনা দেবী ছিলেন ব্রজের স্তন্যদাত্রী ধাত্রী অম্বিকা।

পঞ্চতত্ত্ব ধ্যান ও  মন্ত্র :


শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য

ধ্যান  -  শ্রীগৌরাঙ্গমহং বন্দে রাধাকৃষ্ণস্বরূপকম্।অন্তঃকৃষ্ণং বহিগৌর্র দ্বিভুর্জ করুণামম্।
তপ্তকাঞ্চনপুঞ্জাভং রক্তবস্ত্রং সুনাসিকম্।।

মন্ত্র - ক্লীঁ শ্রীঁ হ্রীঁ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচন্দ্রায় স্বাহা।

গায়ত্রী - ক্লীঁ গৌরাঙ্গায় বিদ্মহে বিশ্বম্ভরায় ধীমহি তন্নো গৌর প্রচোদয়াৎ।

প্রণাম  - বিশ্বম্ভরায় গৌরায় চৈতন্যায় মহাত্মনে।শচীনন্দনায় মিত্রায় লক্ষীশায় নমো নমঃ।

শ্রী নিত্যানন্দ

ধ্যান - বিদ্দ্যামমদাভির্ম্মনরুচি বিস্তীর্ণবক্ষঃস্থলম্। প্রেমৌদঘূর্ণিতলোচনাঞ্চললসৎস্মেরাভিরম্যানম।নানাভূষণভূষিতং সুমনুরং বিভ্র গ্লন্তস্বরম্। নিত্যানন্দবরংভজামি সততং সর্ব্বপ্রির্য় পন্ডিতং।

মন্ত্র - ক্লীঁ নিত্যানন্দচন্দ্রায় স্বাহা।

গায়ত্রী - ক্লীঁ নিত্যানন্দায় বিদ্মহে সঙ্কর্ষণায় ধীমহি তন্মো নিত্যানন্দৌ প্রচোদয়াৎ।

প্রণাম -নিত্যানন্দ নমস্তভ্যং প্রানন্দ প্রদায়িনে। কলৌকল্মষনাশায় জাহ্নবীপতয়ে নমঃ।

শ্রীঅদ্বৈত আচার্য

ধ্যান - স্মরামি শ্রীমদদ্বৈতং শুদ্ধস্বর্ণরুচিং প্রভুম্। শুক্লাম্বরধরং গৌরং ভক্তিলম্পটমানসম।।
মন্ত্র - ক্লীঁ শ্রীমদদ্বৈতাচার্য্যায় স্বাহা।

গায়ত্রী - ক্লীঁ অদ্বৈতায় বিদ্মহে মহাবিষ্ণবে  ধীমহি তন্মো অদ্বৈতঃ প্রচোদয়াৎ।

প্রণাম - শ্রী অদ্বৈত নমস্ত্তভ্যং কলিজন কৃপানিধে। গৌরপ্রেম প্রদানায় শ্রীসীতাপতয়ে নমঃ।

শ্রীগদাধর পন্ডিত

ধ্যান - বিদ্যুৎপুঞ্জ বিড়ম্বি সুন্দরতনূ হেমাব্জ দিব্যাননং।
মন্ত্র - শ্রীঁ হ্রীঁ গদাধরায় স্বাহা।

গায়ত্রী - শ্রীঁ হ্রীঁ গদাধরায় বিদ্মহে রাধিকায়ৈ ধীমহি তন্নো অনঙ্গি প্রচোদয়াৎ।

প্রণাম - গদাধরমহং বন্দে মাধবাচার্য্য নন্দনম্। মহাভাব স্বরূপং শ্রীচৈতন্যাভিন্নরূপিণং।।

শ্রীবাস পন্ডিত

ধ্যান  - আশ্রযামি শ্রীশ্রীবাসনং তমাদং পন্ডিতাদ্ভূতম্।  শুক্লাম্বরধরং গৌর্র  গৌরিভক্তি প্রদায়কম্।

মন্ত্র - ক্লীঁ শ্রীবাসায় স্বাহা।

গায়ত্রী  - শ্রীঁ শ্রীবাসয় বিদ্মহে নারদায় ধীমহি তন্নো শ্রীবাস প্রচোদয়াৎ।

প্রণাম - শ্রীবাস কীর্তনানন্দ ভক্ত গোষ্ঠোক বল্লভ। ত্বং নমামি  মহাযোগীন্ ভক্তরূপোহসি নারদ।।


শ্রীগৌরগণ - পরিচিতি

ছয় চক্রবর্তী

(১) শ্রীবাস (২) গোকুলানন্দ (৩) শ্যামদাস (৪) শ্রীদাম (৫) গোবিন্দ (৬) রামচরণ।

ছয় গোস্বামী

(১) রূপ (২) সনাতন (৩) রঘুনাথভট্ট (৪) শ্রীজীব (৫) গোপালভট্ট (৬) রঘুনাথ দাস।

অষ্ট কবিরাজ

(১) রামচন্দ্র (২) গোবিন্দ (৩) কর্ণপুর (৪) নৃসিংহ (৫) ভগবান (৬) বল্লভদাস (৭)গোকুল (৮) গোপীরমণ।

দ্বাদশ গোপাল

(১) অভিরাম (২) সুন্দরানন্দ (৩) ধনঞ্জয় (৪) গৌরদাস (৫) কমলা কর (৬) উদ্ধারণ (৭) মহেশ (৮) পুরুষোত্তম (৯) নাগর পুরুষোত্তম (১০)  পরমেশ্বর (১১) কালীকৃষ্ণ (১২) শ্রীধর।

স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধার ভাব-ক্রান্তিসহ নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্যরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যে সকল প্রিয় গোপ - গোপী এবং দেবগন তাঁহার পার্ষদরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাঁদের সকলের পরিচয় :

লরাম  - শ্রী নিত্যাননন্দ 

মহাবিষ্ণু বা সদাশিব  -  শ্রী অদ্বৈত আচার্য।

নন্দ  - জগন্নাথ মিশ্র ( মহাপ্রভুর পিতা )।

যশোদা - শচীদেবী ( মহাপ্রভুর মাতা )।

শ্রীরাধার ভাবময় বিগ্রহ - গদাধর (পঞ্চতত্ত্ব )।

নারদ - শ্রীবাস ( পঞ্চতত্ত্ব )।

হূনমান - মুরারি গুপ্ত ( মহাপ্রভুর সমগ্র নবদ্বীপ লীলার সঙ্গী ও প্রত্যক্ষদর্শী )।

অক্রুর - কেশব ভারতী ( মহাপ্রভুর সন্ন্যাসাশ্রমের গুরু )।

বৃহস্পতি - বাসুদেব সার্বভৌম ( মহাপ্রভুর শিক্ষক )।

শুকদেব - কৃষ্ণদাস কবিরাজ ( মহাপ্রভুর পার্ষদ ও জীবনীকার )।

বৃষভানু  - পুন্ডরীক বিদ্যানিধি ( মহাপ্রভুর গুরুভ্রাতা ও বৈষ্ণব ভক্ত )।

গর্গাচার্য - নীলাম্বর চক্রবর্তী (শচী দেবীর পিতা )।

বেদব্যাস - বৃন্দাবন দাসে ( নিত্যানন্দের সর্বশেষ শিষ্য ও চৈতন্য জীবনীকার )।

দুর্বাসা - গঙ্গাদাস পণ্ডিত ( মহাপ্রভুর ব্যাকরন শিক্ষক ও ভক্ত )।

বাসুদেব - হাড়াই পন্ডিত ( শ্রীনিত্যানন্দপ্রভুর পিতা )।

ব্রহ্মা - গোপীনাথ আচার্য ( মহাপ্রভুর অন্যতম একনিষ্ঠ ভক্ত )।

উদ্ভব - পরমানন্দপুরী ( মহাপ্রভুর সন্ন্যাসী গুরুভ্রাতা ও ভক্ত )।

ললিতা - স্বরুপদামোদর (আবাল্য মহাপ্রভুর ভক্ত )।

বিশাখা - রামানন্দ রায় (রাজমহেন্দ্রীয় শাসনকর্তা ও প্রভুর ভক্ত )।

চিত্রা বা বীরদূতী - শিবানন্দ সেন ( প্রভুর অন্তরঙ্গ পার্ষদ )।

চম্পকলতা বা কলকন্ঠী -  বসু রামানন্দ ( মহাপ্রভুর ভক্ত ও বৈষ্ণব কবি )।

তুঙ্গবিদ্যা বা রসোল্লাস - মাধব ঘোষ ( মহাপ্রভুর ভক্ত ও কীর্তন গায়ক )।

ইন্দুরেখা - গোবিন্দানন্দ ঠাকুর ( মহাপ্রভুর ভক্ত )।

রঙ্গদেবী বা কলাবতী - গোবিন্দ ঘোষ ( মহাপ্রভুর ভক্ত ও কীর্তনীয়া )।

সুদেবী বা গুণতুঙ্গা - বাসুদেব ঘোষ ( মহাপ্রভুর ভক্ত ও কীর্তনীয়া )।

শ্রীদাম - রামদাস অভিরাম (  মহাপ্রভুর নাম- প্রেম প্রচারক ভক্ত )।

সুদাম - সুন্দরানন্দ ঠাকুর ( নিত্যানন্দস্বরূপের পার্ষদ- প্রধান )।

বসুদাম -  ধনঞ্জয় পন্ডিত (নিত্যানন্দশাখা )।

সুবল - গৌরী দাস পন্ডিত ( নিত্যানন্দ শিষ্য সখ্যভাবের উপাসক )।

মধুমঙ্গল - শ্রীধর পন্ডিত ( অন্যতম মহাভক্ত,খোলাবেচা শ্রীধর নামে খ্যাত )।

সুবাহ - উদ্ধারণ দত্ত ( নিত্যানন্দ শিষ্য ও অন্তরঙ্গ পার্ষদ )।

চন্দ্রাবলী - সদাশিব কবিরাজ ( নিত্যানন্দশাখা -ভুক্ত গৌড়পার্ষদ )।

ঋচিক মুনিপুত্র - হরিদাস ঠাকুর (যবনকুলে জাত, মহাপ্রভুর প্রিয় ভক্ত )।

বৃন্দা দেবী - মুকুন্দ দাস ( শ্রীখন্ডে বৈদ্যকূলে জাত,ভক্ত )।

রূক্মিণী - লক্ষী দেবী ( মহাপ্রভুর প্রথমা সহধর্মিনী )।

সত্যভামা - জগদানন্দ পন্ডিত ( মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ পার্ষদ )।

যোগমায়া - সীতা দেবী ( অদ্বৈতাচার্যের পত্নী)।

ইন্দ্রদ্যুম্ন - প্রতাপরুদ্র ( উড়িষ্যা, জগন্নাথ সেবক ও মহাপ্রভুর ভক্ত )।

রোহিণী - পদ্মাবতী ( শ্রী নিত্যানন্দের জননী)।

বশিষ্ট - সুদর্শন পন্ডিত ( মহাপ্রভুর বিদ্যাগুরু)।

বারুণী - বসুধা ( শ্রী শ্রী নিত্যানন্দের পত্নী )।

রেবতী - জাহ্ন ( শ্রী শ্রী নিত্যানন্দের পত্নী)।

সুদামা - বনমালী ভিক্ষুক ( মহাপুরুষ ভক্ত )।

মহাবল -  কমলাকর পিপ্পলাই ( মহাপ্রভুর ভক্ত )।

মহাবাহু - মহেশ পন্ডিত ( নবদ্বীপে ও নীলাচলে প্রভুর সেবক )।

স্তোককৃষ্ণ - পুরুষোত্তম ঠাকুর ( শ্রী নিত্যানন্দের মহাভৃত্য মর্ম্ম )।

দাম - পুরুষোত্তম দাস ( শ্রী নিত্যানন্দ সেবক )।

অর্জুন - পরমেশ্বর দাস ( শ্রী নিত্যানন্দ- সেবক )।

লবঙ্গ - কৃষ্ণদাস বা কানাই ঠাকুর (নিত্যানন্দ শাখা, প্রভুর দক্ষিণ যাত্রার সঙ্গী)।

কাত্যায়নী - শ্রীকান্ত সেন ( নীলাচলে প্রভুসঙ্গী )।

পঞ্চপান্ডব - গোপীনাথ ( রামানন্দের ভ্রাতা,  প্রভুভক্ত )।

গরুড় - গরুড় পন্ডিত ( চৈতন্যশাখা )।

জয় - জগাই ( নিত্যানন্দের করুণায় উদ্ধারপ্রাপ্ত পাপী )।

বিজয় - মাধাই ( নিত্যানন্দের করুণায় উদ্ধারপ্রাপ্ত পাপী )।

রূপমঞ্জুরি - শ্রীরূপ ( মহাপ্রভুর বিখ্যাত ভক্ত)।

লবঙ্গমঞ্জরী - সনাতন ( মহাপ্রভু বিখ্যাত ভক্ত )।

রাগমঞ্জুরী - রঘুনাথ ( মহাপ্রভুর বিখ্যাত ভক্ত )।

বিলাস মঞ্জুরি - শ্রীজীব ( মহাপ্রভুর বিখ্যাত অনুগামী )।

রতিমঞ্জরী - রঘুনাথ দাস (হরিদাসের কৃপাধন্য পরম বৈষ্ণব )।

অনঙ্গমঞ্জুরী - গোপাল ভট্ট ( দাক্ষিণাত্যে মহাপ্রভুর সেবক )।

লীলামঞ্জুরী - লোকনাথ গোস্বামী ( মহাপ্রভুর বৃন্দাবনবাসী সেবক )।

প্রেমামঞ্জরী -  ভূগর্ভ গোস্বামী ( মহাপ্রভুর ভক্ত )।

শ্বেতমঞ্জুরী - রঘুনাথ ভাগবত আচার্য ( গদাধর পন্ডিতের শিষ্য ও বরানগরবাসী মহাবৈষ্ণব )।

সুগ্রীব - গোবিন্দানন্দ ( নীলাচলে প্রভুর অঙ্গসেবক )।

অঙ্গদ - পুরন্দর পন্ডিত ( নিত্যানন্দশাখা, পানিহাটিতে প্রভুর সেবক )।

পান্ডু - ভবানন্দ রায় ( নীলাচলবাসী, রায় রামানন্দের পিতা, প্রভুভক্ত)।


দশতত্ত্ব বার্ত্তা

আদি বা এক বা মূল তত্ত্ব  :

আদ্যবীজ - ওঁ 
আদিপুরুষ  - শ্রীকৃষ্ণ।
আদিগুরু  - শ্রী চৈতন্য

দ্বিতত্ত্ব :

রাধা-কৃষ্ণ, আদি - অনাদি, পুরুষ - প্রকৃতি, গুরু - বৈষ্ণব,শুক্ল - কৃষ্ণ, কাম - প্রেম,।

ত্রিতত্ত্ব :

ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর ( ত্রিদেব ),স্বর্গ-মর্ত- পাতাল ( ত্রিভুবন ), মহা প্রভু-নিত্যানন্দ- অদ্বৈত আচার্য ( ত্রিপ্রভু ), গোলক-বৈকুণ্ঠ- ব্রহ্মাণ্ড ( ত্রিধাম ), ওঁ-তৎ-সৎ ( ত্রিব্রহ্ম ), 
গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব ( ত্রিমোহন্ত ), সত্ত্ব-রজঃ-তম ( ত্রিগুণ ), বায়ু-পিত্ত-কফ( ত্রিদোষ ),ঈড়া-পিঙ্গলা-সুষুম্না ( থ্রিনিড়ী ), ভূত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ ( ত্রিকাল ), গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী ( ত্রিনদী ), ব্রহ্ম-আত্মা-ভগবান ( ত্রিপ্রকাশ ),রাধিকা-কুব্জা-রুক্মিণী ( ত্রিনায়িকা ), শুঁঠ- পিপুল-মরিচ  (ত্রিকটু ), প্রাতঃ-মধ্যাহ্ন-সায়াহ্ন ( ত্রিসময় ), পিতৃ-মাতৃ-শ্বশুর ( ত্রিকুল ), ধর্ম-অর্থ-কাম ( ত্রিগণ ), জৈত্রী-এলাচ-তেজপত্র (ত্রিজাতক ), আধ্যাত্মিক-আধিভৌতিক-আধিদৈবিক ( ত্রিতাপ ), হরীতকী-আমলকী-বয়ড়া ( ত্রিফল ), ঘৃত-চিনি-মধু ( ত্রিমধু ), পুং-স্ত্রী-ক্লীব ( ত্রিলিঙ্গ ), 
বসন্ত-বর্ষা-শরৎ ( ত্রিযুগ ), স্বর্ণ-রৌপ্য-লৌহ ( ত্রিধাতু )।

চতুর্তত্ত্ব :

রামনাথ-বৈদ্যনাথ-জগন্নাথ-দ্বারকা (চতুর্ধাম ), হস্তী-অশ্ব-রথ-পদাতি ( চতুরঙ্গ ), উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম ( চতুর্দিক ),কৃষ্ণ-বলরাম-প্রদ্যুম্ন-অনিরুদ্ধ ( চর্তুব্যূহ ),
 ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্য-শূদ্র ( চতুর্ব্বর্ণ ), শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম ( চতুর্ভুজ ), ঋক-সাম-যজুঃ-অথর্ব ( চতুর্বেদ ), সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি ( চুতুর্যুগ ), ধর্ম-অর্থ-মোক্ষ-কাম ( চতুর্বর্গ ), ঈশ্বর-হরি-রাম-কৃষ্ণ ( চতুর্দেব ), মন-বুদ্ধি-চিত্র-অংকার (চতুর মন ), স্থুল-প্রবর্ত্ত- সাধক-সিদ্ধি ( চতুর্দ্দেশ ),।



পঞ্চতত্ত্ব :

উত্তরের বদ্রীনাথ-দক্ষিণের রঙ্গনাথ-পশ্চিমের দ্বারকানাথ-পুরীর জগন্নাথ ( পঞ্চনাথ ), জীবাত্মা -ভুতাত্মা- পরমাত্মা-আত্মারাম-আত্মারামেশ্বর ( পঞ্চাত্মা ), গৌরাঙ্গ-নিত্যানন্দ-অদ্বৈত- গদাধর-শ্রীনিবাস ( পঞ্চতত্ত্ব ), প্রাণ-অপান-ব্যান-সমান-উদান (পঞ্চপ্রাণ ), শান্ত-দাস্য-সখ্য-বাৎসল্য-মধুর ( পঞ্চ রস ), জয়দেব-বিল্বমঙ্গল-বিদ্যাপতি-চন্ডীদাস-রায় রামানন্দ ( পঞ্চরসিক ), দধি-দুগ্ধ-ঘৃত-গোময়-গোচনা ( পঞ্চগব্য ), ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম ( পঞ্চভূত ), ধান-তিল-যব-মাষকলাই-সরিষা ( পঞ্চশস্য ), রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ-স্পর্শ  (পঞ্চগুণ ), নাম-মন্ত্র-ভাব-প্রেম-রস ( পঞ্চাশ্রয় ), লোভ-মারুব্র- রুচি-আসক্তি-ভাব ( পঞ্চলোভ ), মদন-মাদন-পোষণ-স্তম্ভন-মোহন ( পঞ্চবান ), অন্ন-প্রাণ-মন-বিজ্ঞান-আনন্দ ( পঞ্চকোষ ), ভাগীরথী-গৌতমি-কৃষ্ণবেণী-পিনাকিণী-
কাবেরী ( পঞ্চগঙ্গা ),সূর্য-গণেশ-দূর্গা-শিব-বিষ্ণু  (পঞ্চদেবতা ), শতদ্রু-বিপাশা-ইরাবতী-চন্দ্রভাগা-বিতস্তা (পঞ্চ নদ ), প্রদীপ গাজন হীরক মুক্তা হীরক-মুক্তা-পদ্মরাগ-স্বর্ণ-বিদ্রুম ( পঞ্চরত্ন ),

ষড়্তত্ত্ব  :

অম্ল-মধুর-তিক্ত-কষায়-লবণ (ষড়রস ), কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মাৎসর্য্য ( ষড়রিপু ), শ্রীরূপ-সনাতন-রঘুনাথ-শ্রীজীব-গোস্বামী-রঘুনাথ (ষড়গোস্বামী ), ঐশ্বর্য-বীর্য্য-যশ-শ্রী-জ্ঞান-বৈরাগ্য ( ষড়শ্বর্য্য ),যজন-যাজন-অধ্যায়ন-অধ্যাপন-দান-প্রতিগ্রহ ( ষড়কর্ম ), পূর্ব্বমীমাংসা-বেদান্ত-ন্যায়-সংখ্যা-পাতঞ্জলবৈশেষিক ( ষড়দর্শন )।

সপ্ততত্ত্ব :

ভূঃ-ভুব-স্বঃ-মহঃ-জন-তপঃ-সত্য ( সপ্তলোক ), অতল-বিতল-সুতল-তলাতল-রসাতল- পাতাল-মহাতল ( সপ্তপাতাল ), লবণ -ইক্ষু সুরা-সর্পি দধি-দুগ্ধ-জল ( সপ্তসাগর ), মরিচী-অত্রি-অঙ্গিরার-পুলস্ত্য-পুলহ-ক্রতু ( সপ্তর্ষি ), ষড়জ-ঋষভ-গান্ধার-মধ্যম-পঞ্চম-ধৈবত-নিষাদ (সপ্তসুর ), হাস্য-অদ্ভুত-বীর-করুণ- রৌদ্র-ভয়ানক-বীভৎস ( সপ্তরস )।

অষ্টতত্ত্ব :

স্বর্ণ-রৌপ্য-তাম্র-সীসা-কান্তিক-রাঙ-লৌহ  (অষ্টধাতু ), ঐরাবত-পুন্ডরিক-বামন-কুমুদ- অঞ্জন-পুষ্পদন্ড-সার্বভৌম-সুপ্রতীক ( অষ্টদিগগজ ), অনন্ত-বাসুকি-পদ্ম-মহাপদ্ম-কুলীর-কর্কট-
শঙ্খ- ( অষ্টনাগ ),মঙ্গলা-বিজয়-ভদ্রা-জয়ন্তী-অপরাজিতা-নন্দিনী-নারসিংহী-কৌমারী ( অষ্টনায়িকা ), আপ-ধ্রুব-সোম-অনল-অনিল-ধর-প্রত্যুষ-প্রভাত (অষ্ট বসু ), যম-নিয়ম-আসন-প্রাণায়াম-প্রত্যাহার-ধ্যান-ধারণা-সমাধি ( অষ্টযোগ ), ললিতা-বিশাখা-সুচিত্রা-চম্পকলতা-রঙ্গদেবী-সুদেবী-তুঙ্গবিদ্যা-ইন্দুরেখা ( অষ্টসখী )।

নবতত্ত্ব :

কদলী-দাড়িমী-ধ্যান্য-হরিদ্রা-মান-কচু-বিল্ব-অশোক-জয়ন্তী ( নবপত্রিকা ), ধন্বন্তরি-ক্ষপণক-অমরসিংহ-শঙ্কু-বেতালভট্ট-কালিদাস-ঘটকপর (নবরত্ন ), রবি-মঙ্গল-বুধ-বৃহস্পতি-শুক্র-শনি-পৃথিবী-রাহু-কেতু (নবগ্রহ ), শ্রবণ-কীর্তন-স্মরণ -অর্চন-বন্দন-পাদসেবন-দাস্য-সখ্য-আত্মনিবেদন ( নববিধা ভকতি ), দুই চক্ষু-দুইকর্ণ-নাসিকা-মুখ-গুহ্য-লিঙ্গ (নবদ্বার )।

দশতত্ত্ব :

চিন্তা-জাগরণ-উদ্বেগ- তান্ডব-মলিনতা-প্রলাপ-ব্যাধি-উন্মাদ-মোহ-মৃত্যু ( দশ দশা ), চক্ষু -কর্ণ-নাসিকা-জিহ্বা-চর্ম-বাক্-পাণি-পাদ-পায়ু-উপস্থ (দশেন্দ্রিয় ), পূর্ব-পশ্চিম -উত্তর-দক্ষিণ-ঈশান-নৈঋত-বায়ু-অগ্নি-ঊর্দ্ধ-অধঃ ( দশদিক ), মৎস্য-কূর্ম্ম-বরাহ-নৃসিংহ-পরশুরাম-বামন- রাম-কৃষ্ণ-বুদ্ধ-কল্কি (দশাবতার ), পাদ্য-অর্ঘ-আচমনীয়-মধুপর্ক-পুনরাচমনীয়-গন্ধ-পুষ্প-ধুপ-দীপ-নৈবেদ্য ( দশপূজাপচার ), কালী-তারা-ষোড়শী-ভুবনেশ্বরী-ভৈরবী-ছিন্নমস্তা-ধূমাবতী-বগলা-মাতঙ্গী-কমলা ( দশ মহাবিদ্যা )।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ