জগন্নাথ রথযাত্রা পুরী 2020 : রথ উৎসবের ইতিহাস এবং তাৎপর্য


জগন্নাথ রথযাত্রা পুরী 2020 : রথ উৎসবের ইতিহাস এবং তাৎপর্য - ( Jagannath Rathyatra Puri 2020: History and Significance of Rath Festival )

রথযাত্রা পুরি

জগন্নাথ রথযাত্রা 

জগন্নাথ রথযাত্রা 2020 :
এই বছর কোভিড - ১৯ মহামারীর কারণে, ভগবান জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা এবং তার সাথে যুক্ত সমস্ত অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না, কারণ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে "আমরা রথযাত্রাকে অনুমতি দিলে ভগবান জগন্নাথ আমাদের ক্ষমা করবেন না"। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট আরো বলেছে যে "মহামারীর সময় এই রকম বিপুল জন-সমাবেশ বা জমায়েত অনুষ্ঠিত হতে পারে না"। কারণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হবে এবং জনাকীর্ণ পরিবেশে রোগের ঝুঁকি বাড়বে। হাজার হাজার মানুষ হয়ত এই মহামারিতে আক্রান্ত হতে পারে।

জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব ভগবান জগন্নাথ (ভগবান কৃষ্ণ), তাঁর বোন দেবী সুভদ্রা এবং তাঁর বড় ভাই বলভদ্র বা বলরামকে উৎসর্গ করা হয়। জগন্নাথদেবের রথযাত্রা প্রতিবছর ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয় এবং এই রথযাত্রা ভারতের অন্যতম বৃহত্তম উৎসব,যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন হয় এবং রথযাত্রার মিছিলগুলিতে অংশ নেন এবং ভগবান জগন্নাথের আশীর্বাদ চান।


জগন্নাথদেবের রথযাত্রা প্রতিবছর কেন পালিত হয়?  এবং তার ইতিহাস :


ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বছর ভগবান জগন্নাথ তাঁর জন্মস্থান পরিদর্শন করতে চান।  এই উৎসবটির সাথে বিভিন্ন গল্প জড়িত রয়েছে যার কয়েকটি নিম্নরূপ:

মথুরার রাজা কংস,ভগবান কৃষ্ণ ও বলরামকে হত্যা করার জন্য মথুরায় আমন্ত্রণ করেছিলেন।  কংস আক্রুরকে রথ নিয়ে গোকুলে প্রেরণ করেছিলেন। তখন শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম রথের উপরে বসে মথুরার উদ্দেশ্যে রওনা হন।  ভক্তরা ভগবানের এই গোকুল থেকে মথুরায় প্রস্থানের দিনটিকে রথযাত্রা হিসাবে উদযাপন করেন।

আর একটি গল্প হল যে রথযাত্রা উৎসব দ্বারকায় শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম এবং সুভদ্রার সাথে জড়িত।  একসময় শ্রীকৃষ্ণের আট স্ত্রী, মা রোহিনীর কাছ থেকে শ্রীকৃষ্ণ এবং গোপীর সাথে সম্পর্কিত কিছু ঐশ্বরিক কাহিনী শুনতে চেয়েছিলেন। তবে মা গল্পটি বলতে রাজি ছিলেন না।  দীর্ঘ অনুরোধের পরে, তিনি রাজি হয়েছিলেন তবে এই শর্তে যে সুভদ্রা দরজায় পাহারা দেবেন যাতে এই কাহিনী কেউ শুনতে না পায়।  গল্পগুলি মা রোহিনী  বর্ণনা করার সময়, সুভদ্রা এতটাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে এর মধ্যে কখন যে ভগবান কৃষ্ণ এবং বলরাম দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছিলেন তা খেয়াল করেন নি।এবং তখন সুভদ্রা তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে দু'পাশে হাত রেখে তাদের থামিয়ে দিয়েছিলেন।  এই সময়  নারদ ঋষি সেখানে উপস্থিত হন ও তিন ভাইবোনকে এক সাথে দেখতে পেলেন এবং এই তিনজনকে চিরকাল এইভাবে তাদের দোয়া করার জন্য প্রার্থনা করলেন।  ভগবান নারদের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন এবং তাই শ্রীকৃষ্ণ, সুভদ্রা এবং বলরাম চিরকাল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে থেকে যান।
দ্বারকায়, ভক্তরা সেই দিনটি উদযাপন করেছিলেন, যখন বলরামের সাথে ভগবান কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রাকে শহরের সৌন্দর্য দেখানোর জন্য রথে চড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
মহাভারতের ১৮ তম দিনের যুদ্ধের সময়, শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের রথের সারথী হয়েছিলেন।


আরো পড়ুন - একাদশী ব্রত কথা 

জগন্নাথ রথযাত্রা: শোভাযাত্রা


প্রতিমা তিনটি জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মূর্তিগুলি সজ্জিত রথগুলিতে স্থাপন করা হয় এবং তার সাথে মন্ত্র এবং শঙ্খ বাজানো হয় যা চারদিকে শোনা যায়।
রথযাত্রার আগে প্রতিমাগুলিকে ১০৯ বালতি জলে স্নান করানো হয়,যা স্নানা পূর্ণিমা নামে পরিচিত।

শোভাযাত্রার দিন পর্যন্ত, তারা অসুস্থ বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এগুলি আলাদা করে রাখা হয়।এই অনুষ্ঠানটি আনসারা নামে পরিচিত।

শোভাযাত্রা দিবসে, পবিত্র অনুষ্ঠানটি চেরা ফেরা নামে পরিচিত। ওড়িশার রাজা উত্তরাধিকার সূত্রে এটা পরিচালনা করেন।  বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য ভক্তগণ মন্দিরে এসে উপস্থিত হন।

চেরা ফেরা রীতিতে রাজা মন্দির থেকে দেবতাদের নিয়ে আসেন এবং রথের উপরে উপবিষ্ট করান।তাদের স্থাপনের আগে, রাজা নিজেই সোনার রথটি পরিষ্কার করেন।  পরে তিনি রথকে ফুল দিয়ে ভালোকরে সাজান। যে পথ দিয়ে রথটি চলাচল করবে তাও রাজা নিজ হাতে পরিষ্কার করেন।  তারপরে চন্দন ছিটানো হয়।
 এই আচারটির মাধ্যমে এটাই বোঝানো হয় যে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সকলেই সমান।

তিনটি দেবদেবীকে মাসির বাড়ী অর্থাৎ  গুন্ডিচা মন্দিরে নয় দিনের জন্য রাখা হয়।  পরে, তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তিনটি দেবদেবীর প্রত্যাবর্তন যাত্রাকে 'বাহুদা যাত্রা' বলা হয়।
সন্ধ্যায় ভক্তরা দেবদেবীকে জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছে মন্দিরের বাইরে অপেক্ষা করেন।
পরের দিন, দেবদেবীগুলিকে বাচ্চাদের মতো নতুন পোশাক পরিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সজ্জিত করা হয় এবং এই অনুষ্ঠানটি সুনা বেশা নামে পরিচিত।
এর পরের দিন জগন্নাথদেবের রথযাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে দেবদেবীদেরকে আবার গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়।

জগন্নাথ রথযাত্রা: তাৎপর্য -

জগন্নাথ শব্দটি দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত যা জগ যার অর্থ জগৎ এবং নাথ মানে প্রভু যে ‘বিশ্বজগতের প্রভু’।  প্রকৃতপক্ষে, ভগবান জগন্নাথকে ভগবান বিষ্ণুর অবতারের পুনর্জন্ম হিসাবে হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  প্রতি বছরই রথযাত্রা পালিত হয় অসংখ্য ভক্তদের দ্বারা।  প্রতিমাগুলিকে তিনটি বিশাল রথে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রথ তিনটিকে অসংখ্য ভক্তরা কয়েক কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচা মন্দিরে টেনে নিয়ে যান। একটি বিশ্বাস আছে যে মিছিল চলাকালীন রথগুলি টানাই ভক্তদের শুদ্ধ ভক্তি জড়িত করার একটি উপায় এবং এটি সেই পাপকেও ধ্বংস করে দেয় যা জ্ঞাত বা অজান্তে সংঘটিত হতে পারে।

 জগন্নাথ রথযাত্রা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ভক্তের দ্বারা পালন করা হয়, তারা ঈশ্বরের আশীর্বাদ কামনা করে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে আসে।  রথযাত্রার সময় পরিবেশটি এতটাই শুদ্ধ ও সুন্দর যে রথের সাথে ভক্তরা ভগবানের  গান, মন্ত্র গাইতে থাকেন।  জগন্নাথ রথযাত্রা গুন্ডিচা যাত্রা, রথ উৎসব, দশাবতার এবং নবদিনা যাত্রা হিসাবেও বিখ্যাত।


জগন্নাথ দেবের বেশ মাহাত্ম্য -

সকালে - মঙ্গলারতি বেশ। অপরাহ্ণে - প্রহর বেশ। বিশেষ কার্য না থাকিলে - আমার বেশ। সন্ধ্যার পর - বড় শৃঙ্গার বেশ। এতদ্ব্যতীত বৃদ্ধ বেশ, দামোদর বেশ, পদারবিন্দ বেশ, গনেশ বেশ হয়।

 জগন্নাথ দেবের উৎসব -

১। চন্দন যাত্রা - অক্ষয় তৃতীয়ায় আরম্ভ হইয়া ২২ দিন থাকে। মদনমোহনকে চন্দনে লিপ্ত করিয়া নরেন্দ্র সরোবরে নৌকায় ভ্রমণ করানো হয়।

২। রুক্মিণী হরণ একাদশী - এ দিন মদনমোহন গুন্ডিচা উদ্যানে রুক্মিণীকে হরণ করিয়া অক্ষয় বটমূলে বিবাহ করেন।

৩। স্নান যাত্রা -জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমাতে স্নান বেদীর উপর বিগ্রহ সকলকে রোহিণী কুন্ডের জল দ্বারা স্নান করানো হয়।লক্ষীদেবী তখন চাহনি মণ্ডপ থেকে এই দৃশ্য দর্শন করতে থাকেন।তৎপরে ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে পক্ষকাল অবস্থান করেন।এই সময় দেবতার জ্বর  হওয়ায় এক পক্ষকাল দরজা ও পাকশালা বন্ধ থাকে।

৪। রথযাত্রা।

৫।শয়ন একাদশী - আষাঢ় মাসের শুক্ল একাদশী তিথিতে হয়।

৬। ঝুলন যাত্রা - শ্রাবণ মাসের শুক্ল একাদশী হইতে পূর্ণিমা পর্যন্ত এই উৎসব হয়।

৭। জন্মাষ্টমী - ভাদ্র মাসের কৃষ্ণঅষ্টমীতে হয়।

৮। পার্শ্ব পরিবর্তন একাদশী - ভাদ্র শুক্ল একাদশীতে হয়।

৯।বামন জন্ম - ভাদ্র একাদশীতে হরিবাসর হয়।

১০।কোজাগরী পূর্ণিমা - কার্তিক পূর্ণিমাতে হয়।ইহা রাসযাত্রা।

১১। উত্থান একাদশী - কার্ত্তিক শুক্ল একাদশীতে হয়।

১২। ঘর লাগি -  অগ্রহায়ন মাসের অরুণ ষষ্ঠির দিনে হয়।
১৩। অভিষেক - পৌষ পূর্ণিমাতে উত্তম শৃঙ্গারবেশ হয়।

১৪। মকর সংক্রান্তি - নতূন দ্রব্যের ভোগ প্রস্তুত হয়।

১৫। দোলযাত্রা - ফাল্গুন পূর্ণিমাতে হয়।এই সময়ে বহু লোকের সমাগম হইয়া থাকে।

১৬। শ্রীরাম নবমী - উক্ত দিন রাম বেশে রাম পূজা করা হয়।

১৭। দমন - ভঞ্জিকা যাত্রা : জগন্নাথবল্লভে হয়।




শ্রী মন্দির মাহাত্ম্য : 

শ্রীমন্দির সমুদ্র হইতে এক মাইল দূরত্বে নীলাচলে অবস্থিত।মন্দিরের চারটি দ্বার। পূর্বে : প্রধান বা সিংহদ্বার। উত্তরে - হস্তিদ্বার।পশ্চিমে - খাজদ্বার। দক্ষিণে - অশ্বদ্বার।

 মন্দিরের চতুদিগস্ত প্রাচীরকে মেঘনাদ বলে। এই মেঘনাদের প্রস্থ ১৪ ফুট। ইহার উত্তর-দক্ষিণে ৬৬৬ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ৫৮৭ ফুট। মন্দির চার ভাগে বিভক্ত যথা মূল মন্দির, নাট্য মন্দির, ভোগ মন্দির, জগমোহন।

ইহার দুটি প্রাঙ্গন - অর্ন্তপ্রাঙ্গন ও বহিঃপ্রাঙ্গণ।

বর্হিপ্রাঙ্গণে নিম্নলিখিত দ্রষ্টব্য আছে।

পশ্চিম দিকে - ১। নতুন রন্ধনশালা। ২। ভান্ডার গৃহ। ৩। একাদশী গৃহ।৪। গঙ্গা-যমুনা কূপদ্বয় ৫। ময়দার কল। ৬। ভোগ মন্ডপ।
৭। কৃষ্ণ।

 উত্তর দিকে : মহাদেব, লোকনাথ,শীতলা বৈকন্ঠপুরী,কূপ।

পূর্ব দিকে : শিব।

দক্ষিণ দিকে : আনন্দ বাজার, স্নানবেদী, চাহনি মন্ডপ।

অর্ন্তপ্রাঙ্গণে নিম্নলিখিত দ্রষ্টব্য আছে - 

পশ্চিম দিকে -লক্ষী, সরস্বতী,মাখন চোর, গোপীনাথ, বড় গণেশ,রথযাত্রা আসবাব গৃহ, রাধাকৃষ্ণ।

উত্তর দিকে - কৃষ্ণ, জগন্নাথ, সূর্যনারায়ণ,রাধাকৃষ্ণ।

পূর্বদিকে - চৈতন্য, রাধাশ্যাম,পুরাতন জগন্নাথ।

দক্ষিণ দিকে -  রোহিণী কুন্ড,বিমলা,ভুষন্ডি কাক,গণেশ, নৃসিংহ ,ক্ষেত্রপাল, বটেশ্বর,  মার্কেন্ডেয়,মঙ্গলা, বটবৃক্ষ।

জগন্নাথ দেবের মন্দিরের মাহাত্ম্য:

এখানে ১২০টি মন্দির আছে। জগন্নাথের প্রধান মন্দিরের গুরু ভাগ ১৬২ ফুট উঁচু ও বিষ্ণুচক্র দ্বারা সুশোভিত। উৎকলের রাজা গজপতি অনঙ্গ ভীমদেবের অধিকারকার কালে ১১১৬ শকাব্দে জগন্নাথদেবের প্রধান মন্দিরর নির্মিত হয়। মন্দির নির্মাণ কালে ৩০-৪০ লক্ষ মুদ্রা ব্যয় হয়।মন্দিরের নির্মাণ কৌশল দেবদাসী -দিগের স্থাপত্য বিদ্যার পরাকাষ্ঠার পরিচায়ক। পরমহংস রাজজ্ঞেয়ী সেবাকার্যে নিযুক্ত হন।অনঙ্গ ভীমদেব পুরুষোত্তমক্ষেত্রে বহুসংখ্যক মন্দির নির্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরে কোহিনুর হীরা দিয়েছিলেন। ইহার মূল্য ৩,৫০,০০০,০০ তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। এই কোহিনুর এখন বিলাতে রাজার নিকট আছে।ভোগের সময় মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে।

স্বর্গদ্বার :

মন্দিরের সম্মুখ দিয়া যে পথটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে গিয়াছে তাহা দিয়া অল্প দূর যাইলে স্বর্গদ্বারে যাওয়া যায়। 

স্বর্গদ্বারে যাহা দেখিবার আছে নিচে লেখা হইল -

১। নিমাই চৈতন্যের মঠ ২। বিদুরাশ্রম মুকুলদাস বাবাজির মঠ।এখানে খুদের ভাত, শাক ভাজা বিতরিত হয়। ৩। স্বর্গদ্বার সাক্ষী। ৪।কানপাতা হনুমান ৫। সুদামাপুরী ৬।নানক পন্থির মঠ। এই স্থানে পাতালগঙ্গা নামে মঠ আছে।শাশ্রুধারী গুরু নানককে যবন মনে করিয়া মন্দির হইতে বহির্গত করিয়া দেওয়া হইলে তিনি এই স্থানে আসিয়া ভগবানের ধ্যান করেন। ভগবান সন্তুষ্ট হইয়া তাঁহাকে স্বর্ণথালে প্রদাদ আনিয়া দেন এবং পদাঘাতে কূপ খনন করিয়া গঙ্গাদেবীকে আনেন। ইহাকে গুপ্তগঙ্গা বলিয়া যাত্রীগণ এই পবিত্র জলকে স্পর্শ করেন। পাঞ্জাবের রাজা মানসিংহ ইহার কপাট করিয়া দিয়াছেন।৭।কবিরপন্থীমঠে কবীরের কাষ্ঠ পাদুকা ও জপমালা পূজিত ও প্রর্দশিত হয়। এখানে অমানি প্রসাদের ব্যবস্থা আছে।

ধন্যবাদ -

    

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ