আমরা সনাতন হিন্দু ধর্মের মানুষ, তাই আমাদের আসল শিক্ষা ও সংস্কৃতি কি হওয়া উচিৎ এবং আমাদের এই দূর্লভ মনুষ্য জনম কি ভাবে অতিবাহিত করব সেই সম্পর্কে কিছু আচার আচরণ, করনীয় কর্তব্য আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করলাম।
আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ---
Our real education and culture
১. ব্যক্তিবিশেষ কে প্রথমে শালীন এবং নম্র স্বভাবের হতে হবে এবং অন্যকে সম্মান করতে শিখতে হবে।
২. নামযশের আশায় কখনোই তিনি নিজেকে ধার্মিক বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবেন না।
৩. কায়,মন, কিংবা বাক্য দ্বারা তিনি কখনো অন্যের উদ্বেগের কারণ হবেনা।
৪. এমনকি অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হলেও তিনি ধৈর্য ধারণ করবেন।
৫. অন্যের সাথে ব্যবহারে তিনি কখনোই কপটতা বা ছলনার আশ্রয় নেবেন না।
৬. তিনি পারমার্থিক শ্রীগুরুর চরণ আশ্রয় গ্রহণ করবেন। গুরুদেব তাকে ক্রমান্বয়ে পারমার্থিক উপলব্ধির স্তরে পৌঁছতে সাহায্য করবেন এবং সেই আচার্যের চরণে নিজেকে নিঃশর্ত সমর্পন করে সেবা ও পারমার্থিক প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের দ্বারা গুরুদেবের প্রীতি সাধন করবেন।
৭. আত্মানুভূতির স্তর লাভের জন্য তিনি শাস্ত্রানুমোদিত বিধিনিষেধগুলি অবশ্যই পালন করবেন।
৮.কায়মনোবাক্যে তিনি অবশ্যই শাস্ত্র সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে চলবেন।
৯.আত্মোপলব্ধির পথে ক্ষতিকর সব রকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
১০. দেহের প্রতিপালনের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেশি কিছু তিনি সঞ্চয় বা গ্রহন করবেন না।
১১.তিনি জড় দেহ ও দেহের সমন্ধযুক্ত আত্মীয় স্বজনের প্রতি মিথ্যা আত্মাভিমান করবেন না।
১২. তিনি সবসময় স্মরণ রাখবেন যে, যতক্ষন তার জড় দেহ থাকবে ততক্ষনই তাকে পুনঃ পুনঃ জন্ম, মৃত্যু, জরা,ব্যাধির সম্মুখীন হতে হবে। এই পার্থিব শরীরের যন্ত্রণা থেকে নিস্তার লাভের জন্য কোন পরিকল্পনাই সফল বা কার্যকরী হবে না। আত্মোপলব্ধিরপথ অন্বেষণই একমাত্র উত্তম পরিকল্পনা।
১৩.ভগবৎ সাধনার পথে উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অন্য কিছুতেই তিনি আসক্ত হবেন না।
১৪. শাস্ত্রের নির্দেশ ছাড়া তিনি স্ত্রী, পুত্র গৃহাদিতে অধিক আসক্ত হবেন না।
১৫. চাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলে বা না হলে তিনি আনন্দিত বা দুঃখিত হবেন না।
১৬. অনন্য ভক্তি-ধারা কায়মনোবাক্যে ঐকান্তিকভাবে তিনি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করবেন।
১৭.পারমার্থিক সাধনার পক্ষে অনুকূল শান্ত পরিবেশে বসবাসের জন্যই এবং অবৈষ্ণব-সমাকীর্ণ স্থান ত্যাগ করবেন।
১৮.আধ্যাত্মবিদ্যা বা পরাবিদ্যা নিত্য কিন্তু জড় দেহের অবসানের সাথে জড়া বিদ্যা বা জড় জ্ঞানের বিনাশ হয়।এই সত্য উপলব্ধি করে তথ্য অনুসন্ধানী- বিজ্ঞানী কিংবা দার্শনিকের মত পরমার্থ বিদ্যার অনুশীলন করবেন।
এই আঠারটি নিয়মই প্রকৃত জ্ঞান বিকাশেরপন্থা,এছাড়া আর সবকিছুই অবিদ্যা বা অজ্ঞানতা মাত্র।
প্রকৃতপক্ষে যে শিক্ষা আমরা গ্রহন করছি তা কি ভুল? তা হলে আমাদের কি করা উচিত?
বর্তমান সমাজে প্রচলিত শিক্ষা ভুল।কারণ তা বেদবিহিত নয়।তাই এরকম বৈদিক শাস্ত্র বিরোধী শিক্ষার পরিবর্তন আবশ্যক।কতগুলি বিষয়বস্তুর দৃষ্টান্ত দেয়া যাক।
বৈদিক শাস্ত্রে বলা হয়েছে পরম নিয়ন্তা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা বলছে হঠাৎ কোন কারনে এই জগতের উত্থান পতন ঘটছে।আপনা আপনি জগত পরিচালিত হচ্ছে। বৈদিক শিক্ষা অনুসারে ভগবানের অংশ স্বরূপ জীব মাত্রই ভগবানের নিত্য দাস। যেহেতু অংশের কাজ সেবা করা কিন্তু আমরা শিখেছি- আমাদের আশেপাশের মানুষ,কুকুর বেড়াল এসবের সেবা করাই কর্তব্য। বৈদিক শাস্ত্রের
নির্দেশ হল মানব জাতির পিতা পরম ভাগবত মহর্ষি মনু।কিন্তু আধুনিক শিক্ষায় আমরা শিখছি মনু নয় অসভ্য হনু অর্থাৎ বানর হল আমাদের পূর্বপুরুষ।
মুনিঋষিগণ বলে গেছেন এমনকি স্বয়ং ভগবানের নির্দেশ হল আমাদের দেহ নষ্ট হলে অর্থাৎ দেহত্যাগের পর আমাদের কর্ম ও কামনা-বাসনা অনুসারে আমরা নতুন একটি দেহ লাভ করব। কিন্তু প্রকৃতির বিধান অগ্রাহ্য করে তথাকথিত আধুনিক শিক্ষিত মানুষ বলছে এই দেহের মৃত্যুর পর সব শেষ। অতএব এই জীবনেই দেহ ও মনের তৃপ্তি যত প্রকারের হয় ভোগ করে যাওয়া ভালো-এইরূপ আসুরিক তত্ত্ব গ্রহণ করেছে। প্রত্যেক মনীষী নির্দেশ দিয়েছেন এই জগত দুঃখময় এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা পূর্ণ কিন্তু আধুনিক শিক্ষার তথাকথিত পণ্ডিত ব্যক্তিরা বলতে শুরু করেছেন,এই সুন্দর ভুবন আমার স্বর্গ। কোন কোন কবি গান গেয়েছেন, ' মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে !'
বৈদিক শিক্ষার নির্দেশ হলো জন্ম-মৃত্যু,জরা ব্যাধিময় ভবচক্র থেকে জীবকে চিরতরে উদ্ধার লাভ করার পন্থা শিক্ষা দেওয়াটাই পরোপকার এবং জীবে দয়া। কিন্তু বর্তমান উদ্ভট শিক্ষা বলছে ক্ষণভঙ্গুর জড় দেহটার সেবা-যত্ন করাটাই হল একমাত্র জীব সেবা।অথচ সেই দেহকে তারা রক্ষা করতেই পারেনা। দুঃখময় জীবনে
পতিত বদ্ধ জীবের সেবা- ঠিক যেমন কসাইখানায় বাধা ছাগলকে একটু কচি ঘাস দেখিয়ে আদর করা-- এটাই নাকি পরম ধর্ম।
আমাদের প্রশ্ন করা উচিত আমি কে? কেন জন্ম-মৃত্যুর অধীনে থাকবো? এই জীবন কি? আমাদের কি করনীয়?
যে সমস্ত প্রশ্ন আমাদের পূর্বসূরীগণ তাদের আচার্যের কাছে জিজ্ঞাসা করতেন। কিন্তু এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না জেনে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা গর্বে ফেটে পড়ছি, অজস্র অনর্থক প্রশ্ন নিয়ে দিনরাত মশগুল হয়েছি -যেমন আমরা প্রশ্ন করা শিখেছি --তুর্কীরা কবে ভারতে পদার্পণ করেন?হরিপদ বাবুর বিয়ে বাড়িতে মাংসের ঝোল কেমন লাগলো? আজ ক্রিকেটে কে কত রান পেয়েছে? এই সমস্ত অনর্থক প্রশ্ন জীবনের পরিহাস মাত্র। বৈদিক শিক্ষা অনুসারে আমাদের লক্ষ্য হল পরম সত্য পরমেশ্বর ভগবানের সঙ্গে নিজেদের প্রকৃত সচ্চিদানন্দময় স্বরূপের পরিচয় পুনঃস্থাপন করা। কিন্তুু বর্তমান শিক্ষা অনুসারে আমাদের লক্ষ্য হয়েছে কোন মতে ডিগ্রী পাশের সার্টিফিকেট নিয়েই চাকুরীতে যোগ দেওয়া।বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত দিগ্বিজয়ী কেশব কাশ্মিরী পণ্ডিতকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন
'দিগ্বিজয় করিব '- বিদ্যার কার্য নহে ।
ঈশ্বরে ভজিলে, সেই বিদ্যা ' সত্য কহে' ।।
সেই সে বিদ্যার ফল জানিহ নিশ্চয় ।
' কৃষ্ণপাদপদ্মে যদি চিত্ত-বিত্ত রয় '।।
শ্রীমৎ ভাগবত এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ উল্লেখ করেছেন --প্রকৃতপক্ষে যে কর্ম মানুষকে কৃষ্ণভক্তির পথে পরিচালিত করে না, তা পাপ কর্ম এবং যে বিদ্যা শ্রীকৃষ্ণকে হৃদয়ঙ্গম করতে সাহায্য করে না, তা ভ্রান্ত। যদি কৃষ্ণভাবনামৃতের অভাব হয় তাহলে বুঝতে হবে যে সেই কর্ম এবং সেই বিদ্যা সম্পূর্ণরূপে নিরর্থক। মানুষের কৃষ্ণভাবনামৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হওয়ায় তার যথার্থ শিক্ষার একমাত্র পরিচয়।
মাঝেমধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে আচ্ছা যাকে দেখা যায়না তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি কি করে? ভগবান আছেন তার প্রমাণ কি? বরং বিজ্ঞান সত্য কারণ বিজ্ঞানের একটা যুক্তি বা প্রমাণ রয়েছে।
নিছক বিশ্বাসের উপর কারো অস্তিত্ব নির্ভর করে না আপনি আমাকে দেখতে পাচ্ছেন না, তাই আপনি যদি বলেন, 'আমার বিশ্বাস যে ওর অস্তিত্ব নেই,যেহেতু দেখতে পাচ্ছি না। তাহলে তো আমি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছি না। তাছাড়া আপনার দেখারও কি মূল্য আছে। কতটুকু আপনি দেখতে পান। আপনার দেখার ক্ষমতা অতি নগন্য। আপনার মাথায় কয়টা চুল আছে দেখতে পান না। শরীরের ভেতর কি আছে দেখতে পান না। পেছনের দিকে কি আছে দেখতে পান না। অন্ধকারে কিছু দেখতে পান না। চোখ রোগগ্রস্ত হলে দেখতে পান না। চোখের পাতাটিকেই দেখতে পান না।চোখের সামনে কোন আবরণী থাকলে তার সামনের বস্তুকে দেখতে পান না। দূরের বস্তুগুলি কি রয়েছে তাও দেখতে পান না। আবার আপনি অনেক উল্টোপাল্টা বস্তুও দেখেন যেগুলি সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যাক্তি দেখেনা।যেমন অন্ধকারে দড়িটাকে সাপ দেখেনন। গাছটাকে ভুত দেখেন।টিনকে পয়সা দেখেন,কাগজকে টাকা দেখেন।যদি দেখেন একটি লোকের অপেক্ষায় রয়েছেন তাই অন্য কেউ যদি এসে পৌঁছায় আপনি হঠাৎ সেই লোক বলেই দেখেন।যার অপেক্ষায় রয়েছেন আপনার সঙ্গে যদি কারো শত্রু ভাব থাকে তবে তার সঙ্গে কোনো কারনে আপনার গায়ে ধাক্কা লাগলে আপনি তখন দেখেন যে সে যেন ইচ্ছে করেই হিংসা করে ধাক্কা দিল। জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে সবুজ গাছপালা ও হলুদ দেখতে পাবেন। এরূপ অনেক উদাহরন রয়েছে। সুতরাং কারো অস্তিত্ব আছে কিনা নেই তাকে দেখেই বিশ্বাস করার কোন যুক্তি হচ্ছে না।কারণ যথার্থভাবে দেখা কর্মটিই সম্পাদিত হচ্ছে না। প্রথমত অল্প নগণ্য কিছু দেখছেন অধিকাংশ বস্তুর দেখার বাইরে থেকে যাচ্ছে। দ্বিতীয়তঃ অনেক ভুল দেখছেন। তৃতীয়তঃ একপ্রকার জিনিস আপনি দেখছেন যার কোনো অস্তিত্বই নেই যেমন আপনি বিছানায় শুয়ে আছেন অবশ্যই আপনার চোখ বন্ধ আছে কিন্তু তবুও আপনি দেখছেন, একটা বিশাল বন ভয়ঙ্কর একটা বাঘ আপনাকে তাড়া করছে, আপনি চিৎকার করে উঠলেন বাঘ বাঘ বলে।লোকও চমকে উঠল।আপনিও ভয়ার্ত হয়ে জেগে উঠলেন। চোখ মেলে দেখলেন -বন নেই,কোন বাঘের অস্তিত্ব নেই। আপনি আপনার ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন মাত্র অর্থাৎ আপনার কাছে বন নেই, বাঘ নেই,আপনার কাছে বাঘের কোন অস্তিত্ব নেই, অথচ আপনি দেখলেন বাঘ আপনাকে তাড়া করছে।এই দেখা কি মূল্য? আপনার দেখার উপরে কারো অস্তিত্ব নির্ভর করছে না। যে বস্তু আপনি দেখেননি সেই বস্তু সম্বন্ধে বই পড়ে, কারো কাছে শুনে সেই বস্তুর অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন।অনুরূপভাবে ভগবানকে আপনি দেখেননি কিন্তু ভগবান সম্বন্ধে শাস্ত্র পড়ে মহাজনের কথা শুনে ভগবানের অস্তিত্ব বিশ্বাস করতেই হয়।
তৃতীয় কথাটি হল - বিজ্ঞানীই ভগবানের অস্তিত্ব স্বীকার করছেন।আইজাক নিউটন, আইনস্টাইন, স্টিফেন ইত্যাদি বহু খ্যাতনামা বিজ্ঞানী পরমেশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। স্যার আইজ্যাক নিউটন তার এক নাস্তিক বন্ধুকে বলেছিলেন, দেখ এই মহাবিশ্বের কত বড় বড় অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তিত হচ্ছে এর পেছনে এক পরম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব রয়েছে নইলে কি করে সম্ভব হয়? কোন কিছু করতে গেলে আমাদের কত রকমের পরিকল্পনা, কত বুদ্ধি খাটাতে হয় কিন্তু মহাবিশ্বের আবহমানকাল ধরে নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হচ্ছে কিভাবে ওসব পরিচালিত হচ্ছে? নিশ্চয়ই কেউ পরিচালক রয়েছেন।বড় ডাক্তার গন বলেছেন- একটি প্রাণীর প্রাণসত্রতা রয়েছে।সব রকম সুবন্দোবস্ত রয়েছে এসব বিধান করেছে আবার সুবন্দোবস্ত রয়েছে, থাকা সত্ত্বেও কি করে প্রাণসত্তা শরীর থেকে নির্গত হয়? কোন অদৃশ্য শক্তি কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায়?নিশ্চয়ই বিধাতার ক্রিয়াকৌশল। তাছাড়া বিজ্ঞানযোগ নামে শ্রীমদ্ভগবদগীতায় সপ্তম অধ্যায় অধ্যয়ন করলে মানুষ বুঝতে পারবে যে, ভগবদ্ভক্তির বিজ্ঞানই চূড়ান্ত ও পরম বিজ্ঞান।
একবার স্বামীজির এক শিষ্য স্বামীজিকে প্রশ্ন করেন - আচ্ছা স্বামীজি আমাদের চোখের দেখাটা কি সব সময় ঠিক ও সত্য?
দুখানা রেললাইন সামন্ত লাল দেখায় যেন এক জায়গায় মিলে গেছে।মরীচিকা,রজ্জুতে সর্পভ্রম প্রভৃতি optical illusion (দৃষ্টিবিভ্রম) সর্বদাই হচ্ছে। Fluorspar নামক পাথরের নিচে একটা রেখাকে double refraction-এ দুটো দেখায়।একটা উড পেন্সিল আধ গ্লাস জলে ডুবিয়ে রাখলে পেন্সিলের জলমগ্ন ভাগটা উপরের ভাগ অপেক্ষা মোটা দেখায়। আবার সকল প্রাণীর চোখ গুলো ভিন্ন-ভিন্ন ক্ষমতা বিশিষ্ট এক একটা লেন্স(lens)মাত্র। আমরা কোন জিনিস যত বড় দেখি, ঘোড়া প্রভৃতি অনেক প্রাণী তাই তদপেক্ষা বড় দেখে।কেননা তাদের চোখের লেন্স ভিন্ন শক্তি বিশিষ্ট। অতএব আমরা যা স্বচক্ষে দেখে,তাই যে সত্য তারও তো প্রমাণ নেই। জন স্টুয়ার্ট মিল বলেছেন, মানুষ 'সত্য সত্য' করে পাগল কিন্তু প্রকৃত সত্য (Absolute Truth) মানুষের বোঝবার ক্ষমতা নেই। কারণ ঘটনাক্রমে প্রকৃত সত্য মানুষের হস্তগত হলে তাই যে বাস্তবিক সত্য, এটি সে বুঝবে কি করে? আমাদের সমস্ত জ্ঞান relative (আপেক্ষিক )Absolute বোঝার ক্ষমতা নেই। অতএব Absolute ভগবান বা জগৎকারণকে মানুষ কখনোই বুঝতে পারবে না।স্বামীজি বললেন তোমরা বা সচরাচর লোকের Absolute জ্ঞান না থাকতে পারে, তা বলে কারো নেই একথাটি কি করে বল? জ্ঞান এবং অজ্ঞান বা মিথ্যা জ্ঞান বলে দু'রকম ভাব বা অবস্থা আছে। এখন তোমরা যাকে জ্ঞান বল,বাস্তবিক তা মিথ্যাজ্ঞান। সত্য জ্ঞানের উদয় হলে তা অন্তর্হিত হয়,তখন সব এক দেখায়।দ্বৈতজ্ঞান অজ্ঞানপ্রসূত।তখন শিষ্যটি বললেন এ তো ভয়ানক কথা। যদি জ্ঞান ও মিথ্যাকে জ্ঞান দুই জিনিস থাকে, তাহলে আপনি যাকে সত্য জ্ঞান ভাবছেন,তাওতো মিথ্যে জ্ঞান হতে পারে, আর আমাদের যে দ্বৈতজ্ঞানকে আপনি মিথ্যা জ্ঞান বলছেন, তাও তো সত্য হতে পারে?স্বামীজি বললেন ঠিক বলেছ,সেইজন্যই বেদে বিশ্বাস করা চাই।পূর্বাকালে আমাদের মুনিঋষিগণ সমস্ত দ্বৈতজ্ঞানের পারে গিয়ে ঐ অদ্বৈত সত্য অনুভব করে যা বলে গেছেন, তাকেই বেদ বলে। স্বপ্ন এবং জাগ্রত অবস্থার মধ্যে কোনটা সত্য কোনটা অসত্য আমাদের বিচার করে বলবার ক্ষমতা নেই। যতক্ষণ না ওই দুই অবস্থার পারে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওই দুই অবস্থাকে পরীক্ষা করে দেখতে পারবে- ততক্ষণ কেমন করে বলব- কোনটা সত্য, কোনটা অসত্য!শুধু দুটো বিভিন্ন অবস্থার অনুভব হচ্ছে এটি বলা যেতে পারে। এক অবস্থায় যখন থাকে তখন অন্যটাকে ভুল মনে হয়।স্বপ্নে হয়তো আপনি কলকাতায় কেনাবেচা করলে,উঠে দেখো বিছানায় শুয়ে আছো।যখন সত্য জ্ঞানের উদয় হবে,তখন এক ভিন্ন দুই দেখবে না এবং পূর্বের দ্বৈতজ্ঞান মিথ্যে বলে বুঝতে পারবে। কিন্তু এসব অনেক দূরের কথা,হাতে খড়ি হতে না হতেই রামায়ণ,মহাভারত পড়বার ইচ্ছা করলে চলবে কেন?ধর্ম অনুভবের জিনিস, বুদ্ধি দিয়ে বোঝবার নয়।হাতেনাতে করতে হবে,তবে এর সত্যাসত্য বুঝতে পারবে।এ কথা তোমাদের পাশ্চাত্য chemistry (রসায়ন) physics (পদার্থবিদ্যা), Geology (ভূতও্ববিদ্যা) প্রভৃতির অনুমোদিত। দু-বোতল হাইড্রোজেন আর এক বোতল অক্সিজেন নিয়ে 'জল কই' বললে কি জল হবে, তাদের একটা শক্ত জায়গায় রেখে তার মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালিয়ে দিলে তাদের সংমিশ্রণে তবে জল দেখতে পাবে।এবং বুঝবে যে জল হাইড্রোজেন অক্সিজেন গ্যাস থেকে উৎপন্ন।অদ্বৈতজ্ঞান উপলব্ধি করতে গেলেও সেইরূপ ধর্মে বিশ্বাস চাই,আগ্রহ চাই, অধ্যাবসায় চাই, প্রাণপন যত্ন চাই তবে যদি হয়।
তাহলে কি জড় বিদ্যার কোন মূল্য নেই?
জড়াবিদ্যা মানুষকে গাধার মতো পশুর স্তরে নামিয়ে নিয়ে আসে। তা আত্ম- চেতনাবিরোধী এবং ভগবতৎ বিরোধী বিদ্যা বললেও চলে। জড়া বিদ্যার উন্নতির জন্যই মানুষ গর্ববোধ করতে পারে কিন্তু তারা যে শাস্ত্রবিরুদ্ধ আচরণ করে পশুপর্যায়ে নেমে এসেছে,তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।তবুও আঠারোটি নিয়মের বিরুদ্ধাচারণ গুলি জড়াবিদ্যায় ভূষিত তথাকথিত উন্নত মানুষের চরিত্রে ধরা পড়ে ,যেমন -
১। তিনি শালীন ও নম্রস্বভাবি নন। অন্যের সঙ্গে উপহাস ও মজা করতে পটু।
২। নাম যশ এর আশায় নিজেকে ধার্মিক বলে প্রতিপন্ন করেন।
৩। অন্যকে উদ্বেগ দেওয়া, হিংসা করা তার কর্ম।
৪। ধর্যগুন তো দূরের কথা ছোটখাটো কথায় তিনি সহ্য করেন না।
৫। সহোদর ভাই,নিজের পরিবার,আত্মীয় বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও তিনি কপটতা করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।
৬। তিনি পারমার্থিক গুরুর সন্ধান করেন না।
৭। তিনি আমিষ ভক্ষণে,নেশাসেবনে,জুয়ার আড্ডায়, অবৈধ সঙ্গের মধ্যে কোন না কোনিতেই যুক্ত থাকেন।
৮। কায়মনোবাক্যে ইন্দ্রিয়তর্পণ ছাড়া তিনি অন্য কিছুতে আগ্রহী নন।
৯। আত্ম উপলব্ধির পক্ষে ক্ষতিকর সব রকমের কাজে প্রয়াসী হতে তিনি আগ্রহী। কিন্তু হরি ভজন করতে সময় নেই বলে মন্তব্য করে বসেন।
১০। শুধু নিজ দেহে নয়, তার আত্মীয় পরিবারের জন্য সারা বছরের যা খাদ্যাদি প্রয়োজন,তার অতিরিক্ত সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে তিনি অন্যদের সঙ্গে প্রতারণাবঞ্চনাকরতেও দ্বিধাবোধ করেন না।
১১। নিজ দেহ এবং দেহের সম্বন্ধিত অর্থাৎ পিতা-মাতা ভাই-বোন স্ত্রী-পুত্র-এরাই আমার একান্ত আপন,এরাই আমার প্রানের প্রাণ এই মনোভাব পোষণ করেন।
১২। তিনি তার জড় দেহকে সুসজ্জিত করা এবং মনকে জড়সুখ দানের জন্য সব রকমের পরিকল্পনা করে চলেন। ফলস্বরূপ তিনি জন্ম-মৃত্যু,জরা ব্যাধিময় ভবসাগর থেকে উদ্ধার পাননা।
১৩। ভগবৎ সাধনার পথে উন্নতির জন্য তিনি আসক্ত নন, অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে তিনি আসক্ত হন।
১৪। অর্থ শাস্ত্র বিধি উলঙ্ঘন করেই তিনি স্ত্রীর পুত্রাদিতে আসক্ত হন।
১৫। প্রিয় জিনিস পেলে তিনি উল্লসিত এবং না পেলে বিক্ষুব্ধ হন।
১৬। শ্রী কৃষ্ণভক্তিকে মনগড়া কোন কিছু বলে মনে করেন।
১৭। জড়জাগতিক উন্নতির পক্ষে যত সুখসুবিধা পাওয়া যায় সেই পরিবেশেই তিনি আকাঙ্ক্ষা করেন।
১৮। জড় দেহ অনিত্য জেনেও জড়া বিদ্যা অর্জনই তার জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। তিনি অনেক সময় বলেন - মরে গেলে এই জীবনের সব শেষ, তাই এই জীবনেই সুখ-
স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য চেষ্টা করা উচিত।
এইভাবে জড়া বিদ্যা গ্রহণ করে মানুষ পশুর মতই আচরণ করে।
তাহলে আমাদের কোন পথে চলা উচিত? এবং কার নির্দেশিত পথ আমাদেরগ্রহণযোগ্য?
আমাদের মহাজন' নির্দেশিত পথই গ্রহণযোগ্য এবং আমাদের মহাজন নির্দশিত পথই অনুসরণ করা উচিৎ।
কিন্তু মহাজন কে ?
শ্রীমদ্ভাগবতে দ্বাদশ মহাজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই হরি ভজনের নির্দেশ দিয়েছেন।সেই দ্বাদশ মহাজন হলেন-
স্বম্ভুর্নারদঃ শম্ভুঃ কুমারঃ কপিলো মনুঃ
প্রহ্লাদো জনকো ভীষ্মো বলির্বৈয়াসকির্বয়ম্।
প্রহ্লাদো জনকো ভীষ্মো বলির্বৈয়াসকির্বয়ম্।
১. শ্রীব্রহ্মা ২. শ্রী নারদ মুনি ৩.পার্বতীপতিশ্রীশিব ৪. ব্রহ্মপুত্র শ্রীসনৎকুমার ৫. দেবহূতিপুত্র শ্রীকপিলদেব ৬. মানব জাতির পিতা শ্রী স্বায়ম্ভুব মনু ৭.প্রহ্লাদ মহারাজ ৮. সীতাদেবীর পিতা রাজর্ষি জনক ৯. গঙ্গাপুত্র ভীষ্মদেব ১০. দৈত্যরাজ বলি ১১.ব্যাস পুত্র শ্রী শুকদেব গোস্বামী এবং ১২. মৃত্যুর দেবতা শ্রীযম রাজা।
মহর্ষি ব্যাসদেব মানব সমাজের জন্য যে অষ্টাদশ পুরাণ রচনা করেছিলেন সে গুলি কি কি?
ব্রাহ্মং পিদ্মং বৈষ্ণবঞ্চ শৈবং লৈঙ্গং সগারুড়ম
নারদীয়ং ভগবতমাগ্নেয়ং স্কান্দ সংজ্ঞিতম্।।
ভবিষ্যং ব্রহ্মবৈবর্তং মার্কন্ডেয়ং সবামনম্।
বারাহং মাৎস্যং কৌর্মঞ্চ ব্রহ্মান্ডিখ্যমিতি ত্রিষট ।।
অর্থাৎ আঠারো টি পুরাণ হলো -
১. ব্রহ্মপুরাণ ২.পদ্মপুরাণ ৩. বিষ্ণু পুরাণ ৪.শিব পুরাণ ৫. লিঙ্গ পুরাণ ৬. গরুড়পুরাণ ৭. নারদীয়পুরাণ ৮.ভাগবত পুরাণ ৯. অগ্নিপুরাণ ১০.স্কন্ধ পুরাণ ১১. ভবিষ্যপুরাণ ১২. ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ১৩. মার্কন্ডেয় পুরাণ ১৪. বামনপুরাণ ১৫. বরাহ পুরাণ ১৬. মৎসপুরাণ ১৭. কূর্মপুরাণ ১৮.ব্রহ্মান্ডপুরাণ।
১. ব্রহ্মপুরাণ ২.পদ্মপুরাণ ৩. বিষ্ণু পুরাণ ৪.শিব পুরাণ ৫. লিঙ্গ পুরাণ ৬. গরুড়পুরাণ ৭. নারদীয়পুরাণ ৮.ভাগবত পুরাণ ৯. অগ্নিপুরাণ ১০.স্কন্ধ পুরাণ ১১. ভবিষ্যপুরাণ ১২. ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ১৩. মার্কন্ডেয় পুরাণ ১৪. বামনপুরাণ ১৫. বরাহ পুরাণ ১৬. মৎসপুরাণ ১৭. কূর্মপুরাণ ১৮.ব্রহ্মান্ডপুরাণ।
মহর্ষি ব্যাসদেব মানবসমাজের সাত্ত্বিক, রাজসিক,তামসিক শ্রেণীর মানুষদের উদ্দেশ্যে এই সকল পুরান লিখেছেন। সেই পুরানো সমূহকে ছয় ছয়টি করে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। সাত্ত্বিক পুরানে ভগবান শ্রী হরির মহিমায় অধিক বর্ণিত হয়েছে। রাজসিক পুরাণে ব্রহ্মার মহিমার আধিক্য এবং তামসিক পুরাণে অগ্নি শিব ও দুর্গা মহিমা অধিক রূপে কীর্তত রয়েছে।ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে-
বৈষ্ণবং নারদীয়ঞ্চতথা ভাগবতং শুভম।
গারুড়ঞ্চ তথা পাদ্মং বারাহং শুভদর্শনে।।
সাও্বিকানি পুরানানি বিজ্ঞেয়ানি মনীষিভিঃ।
মনীষীগণ বিবেচিত ছয়টি সাও্বিক পুরাণ হল - ১. বিষ্ণুপুরাণ ২. নারদীয়পুরাণ ৩.মঙ্গলময় ভাগবতপুরাণ ৪. গরুড় পুরান৫. পদ্মপুরাণ এবং ৬. বরাহপুরাণ।
ব্রহ্মান্ডং ব্রহ্মবৈবরতং মার্কন্ডেয়ং তথৈব চ ।
ভবিষ্যং বামনং ব্রাহ্মাং রাজসানি নিবোধত ।।
ছয়টি রাজসিক পুরাণ হল -
১.ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ২.ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ৩. মার্কন্ডেয় পুরাণ ৪. ভবিষ্যপুরাণ ৫. বামন পুরাণ ও ৬.ব্রহ্ম পুরাণ।
মাৎস্যং কৌর্মং লৈঙ্গং শৈবং স্কান্দং তথৈব চ
আগ্নেয়ঞ্চ ষড়েতানি তামসানি নিবোধত।
ছয়টি তামসিক পুরাণ হল - ১. মৎসপুরাণ ২. কূর্মপুরাণ ৩. লিঙ্গপুরাণ ৪. শিবপুরাণ ৫. স্কন্দপুরাণ ৬. অগ্নিপুরাণ
বৈদিক শিক্ষা ও শাস্ত্র মতে যদি আমরা আমাদের জীবনকে চালিত করতে পারি তাহলে আমাদের জীবন আরো সুন্দর ও মধুময় হয়ে উঠবে। আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি এই রকম হওয়া দরকার যে জীবনে চলার পথে যতই দূঃখ, কষ্ট, যন্ত্রনা আসুক না কেন তা আমাদেরকে কোন ভাবেই বিচলিত করতে পারবে না। সকল বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে আরো আরো উন্নতির পথে জীবনকে নিয়ে যেতে পারব।
ধন্যবাদ -
English Transalation:
We are the people of the traditional Hindu religion, so I presented to you some of the behaviors and duties to be done on what our real education and culture should be and how we should spend this rare human life.
Our education and culture -
What kind of education should a person have? What should his speech be like?
1. The individual must first be polite and humble and learn to respect others.
2. He will never try to prove himself righteous in the hope of fame.
3. He will never cause concern to others by body, mind, or words.
4. He will be patient even if persuaded by others.
5. He will never resort to hypocrisy or deception in dealing with others.
6. He will take refuge at the feet of the spiritual guru. Gurudev will gradually help him to reach the level of spiritual realization and will unconditionally surrender himself at the feet of that Acharya and will please Gurudev through service and spiritual relevant questions.
7. He must observe scriptural restrictions in order to gain a level of self-awareness.
8. He must follow the scriptural decision in his mind.
9. Abstain from all kinds of harmful activities on the way to self-realization.
10. He will not save or take more than the essentials for the maintenance of the body.
11. He should not be falsely arrogant towards his relatives who are related to inanimate body and body.
12. He will always remember that as long as he has an inanimate body, he will have to face rebirth, death, decay, disease. No plan will be successful or effective in relieving the suffering of this earthly body. The only good plan is to explore the path of self-realization.
13. He will not be addicted to anything other than the things necessary for improvement in the path of Bhagavat Sadhana.
14. Without the instruction of scripture, he will not be more addicted to wife, son and household.
15. He will not be happy or sad if the desire is fulfilled or not.
16. He will serve Lord Krishna in a unique devotional manner.
17. To live in a peaceful environment conducive to transcendental pursuits and to leave the non-existent space.
18. Spiritualism or metaphysics is always but the science or inanimate knowledge associated with the end of the inanimate body is destroyed. Realizing this fact, the information seeker will practice paramartha vidya like a scientist or a philosopher.
These eighteen rules are the way to the development of true knowledge, and everything else is just ignorance.
Is the teaching we are actually receiving wrong? What should we do then?
The conventional education in the present society is wrong. Because it is not Vedic. Therefore, it is necessary to change such anti-Vedic teachings. Let us give an example of how many subjects.
In the Vedic scriptures it is said that the supreme control is Lord Krishna. But conventional teaching says that for some reason the rise and fall of this world is happening. You are managing the world. According to the Vedic teachings, the living being as a part of God is the eternal servant of God. Since part of the job is to serve but we have learned - the people around us, dogs and cats have a duty to serve. Of the Vedic scriptures
The instruction is Param Bhagavat Maharshi Manu, the father of the human race. But in modern education we are learning that Manu is not the barbarian Hanu, that is, the monkey is our ancestor.
The sages have said that even the instruction of God Himself is that if our body is destroyed, that is, after leaving the body, we will get a new body according to our deeds and desires. But ignoring the laws of nature, the so-called modern educated people are saying that all is over after the death of this body. Therefore, in this life itself, it is better to enjoy all kinds of body and mind satisfaction - such demonic theories have been adopted. Every wise man has instructed that this world is full of sorrows and anxieties, but the so-called scholars of modern education have begun to say, This beautiful world is my paradise. Some poets have sung, 'I don't want to die in a beautiful world!'
The instruction of Vedic teaching is to teach the way of life and death, the way to save the living being from the eternal cycle of disease forever, is kindness and kindness to the living being. But the present bizarre teaching is that the only care for the ephemeral body is to take care of it. But they cannot protect that body. Sad life
The service of a fallen creature - just like caressing a goat in a slaughterhouse with a little grass - is the absolute religion.
We should ask who am I? Why should I be under birth and death? What is this life? What should we do?
All the questions that our predecessors used to ask their Acharya. But without knowing these important things, being educated in modern education, we are bursting with pride, busy day and night with a lot of useless questions - like we have learned to ask questions - when did the Turks enter India? Who got how many runs in cricket today? All these useless questions are just a joke of life. According to the Vedic teachings, our goal is to re-establish our true sachchidanandamaya form with the Absolute True God. But according to the current education, our goal is to join the job with a degree pass certificate.
Sri Chaitanya Mahaprabhu instructs Keshab Kashmiri Pandit, the Digvijayi blessed by Vidya Devi Saraswati
'I will conquer' - not the work of learning.
If you worship God, that knowledge 'tells the truth
sanskrit :
"Surely I know the result of that knowledge.
'Krishnapadapadme if Chitta-bitta Roy "
In the context of explaining the significance of Srimat Bhagavata, Srila Bhaktivedanta Swami Prabhupada mentions - Actually, the action which does not lead man to the path of devotion to Krishna is sinful action and the knowledge which does not help him to understand Krishna is wrong. If there is a lack of consciousness, then it must be understood that that action and that knowledge are completely useless. Being inspired by the Krishna consciousness of man is the only identity of his true education.
Sometimes many people ask the question, well, how do I believe in the existence of the unseen? What is the proof that God exists? Rather science is true because science has an argument or proof.
The existence of someone does not depend on mere belief that you cannot see me, so if you say, 'I believe that he does not exist, since I cannot see. Then I am not becoming non-existent. Moreover, what is the value of your visit. How much do you see. Your ability to see is negligible. You don't see how many hairs you have on your head. Do not see what is inside the body. Don't see what's in the back. Do not see anything in the dark. Do not see if the eyes are diseased. You cannot see the eyelids. If there is any covering in front of the eyes, you cannot see the object in front of it. You don't even see what distant objects are. Again you see a lot of contradictory objects that a healthy intelligent person does not see. Like a snake does not see the rope in the dark. You see the tree as a ghost. You see the money in the tin, you see the money in the paper. If you see a person waiting, so if someone else arrives, you suddenly see him as the person. You see then that he deliberately pushed violently. If you are suffering from jaundice, you will see green plants and turmeric. There are many such examples. So there is no reason to believe that someone exists or not, because the action is not being performed properly. The first thing you see is a little insignificant, most things are out of sight. Secondly seeing a lot of mistakes. Thirdly, you see a kind of thing that has no existence, like you are lying in bed, of course your eyes are closed, but still you see, a huge forest, a terrible tiger is chasing you, you shouted tiger tiger. People were shocked. You also woke up scared. Got up. He met his eyes and saw that there was no forest and no tiger. You were just sleeping in your house, meaning you don't have a forest, you don't have a tiger, you don't have a tiger, but you saw a tiger chasing you. No one's existence depends on what you see. You read books about things that you have not seen, you believe in the existence of that thing by listening to someone. Similarly, you have not seen God, but you have to believe in the existence of God by reading the scriptures about God.
The third thing is that scientists are acknowledging the existence of God. Many famous scientists like Isaac Newton, Einstein, Stephen, etc. have acknowledged the existence of God. Sir Isaac Newton said to one of his atheist friends, "Look at how many huge planets and stars are floating in the universe, orbiting in a certain orbit. There is a very intelligent person behind this. How is that possible?" What kind of plans do we have to do something, how much intelligence do we have to use, but the rules and regulations of the universe have been observed for a long time, how are they being managed? Surely there is a director. The great doctor Gon said- an animal has vitality. It has all kinds of subordinate provisions. It has subordinated provisions again. How does the living being come out of the body in spite of being there? Where does an invisible force come from and where does it go? Moreover, if one studies the seventh chapter of Srimad-Bhagavatam Gita in the name of Vijnana Yoga, one will understand that the science of Bhagavad-gita is the ultimate and absolute science.
Once a disciple of Swamiji asked Swamiji - Well Swamiji is it always true that we see each other's eyes?
The two railway line looks as if it has merged in one place. Optical illusions like mirage, serpent delusion etc. are always happening. A line under a stone called fluorspar shows two in double refraction. When a wood pencil is dipped in half a glass of water, the submerged part of the pencil looks thicker than the upper part. Again, the eyes of all animals are just one lens with different powers. The bigger the object we see, the bigger the animal looks like, because the lenses of their eyes have different powers. Therefore, there is no proof of what we see with our own eyes. John Stuart Mill says that people are crazy about 'truth' but people do not have the ability to understand the absolute truth. Because if the real truth happens to be in the hands of man, then how can he understand the real truth? We do not have the ability to understand all our knowledge relative Absolute. Therefore, people will never be able to understand Absolute God or the cause of the world. Swamiji said that you or ordinary people may not have Absolute knowledge, how can you say that there is no one to say that? There are two kinds of thoughts or states called knowledge and ignorance or false knowledge. Now what you call knowledge is in fact false knowledge. When true knowledge arises, then it disappears, then everything shows one. Dual knowledge is ignorant. Then the disciple said that this is a terrible thing. If knowledge and falsehood have two things, then what you think to be true knowledge can be false knowledge, and what you call our false knowledge can also be true? Swamiji said you are right, that is why we want to believe in the Vedas. The sages go beyond all duality and realize that duality truth. What has been said is called Veda. We do not have the power to judge which is true and which is false. How can I say which one is true and which one is untrue, until I can go through those two conditions and examine them? How can I say which one is true and which one is false? When you are in one state, the other seems wrong. In a dream, if you trade in Calcutta, get up and see that you are lying in bed. When true knowledge arises, one will not see the other two and the previous duality will be understood as false. But these things are far away, why should you want to read Ramayana, Mahabharata without having chalk in hand? Religion is a matter of feeling, not to be understood with intellect. ), Geology, etc. approved. If you say 'where is the water' with two bottles of hydrogen and one bottle of oxygen, what will be the water? If you keep them in a solid place and keep the electric current flowing in them, you will see water in their combination. And you will understand that water is produced from hydrogen oxygen gas. I want faith in that religion, I want interest, I want perseverance, I want diligent care, but only if it happens.
So there is no value in inertia?
Inferior people give birth to inferior offspring and, thus, propagate their inferiority. It goes without saying that it is anti-self-consciousness and anti-Bhagavad-gita. People can be proud of the advancement of Jara Vidya but they cannot wait to say anew that they have come down to the animal level by behaving against the scriptures.
Yet the eighteen contradictions are caught in the character of the so-called advanced man endowed with inertia, e.g.
1. He is not polite and humble. He is good at making fun of others.
2. The name proves itself righteous in the hope of glory.
3. It is his job to make others angry.
4. He does not tolerate the small talk of patience.
5. He does not hesitate to be hypocritical even with his siblings, his family, relatives and friends.
6. He does not seek the spiritual guru.
7. He is involved in vegetarianism, drug addiction, gambling, illicit association.
8. He is not interested in anything other than sensuality.
9. He is interested in trying to do all kinds of things that are harmful to self-realization. But Hari commented that he did not have time to chant.
10. He does not hesitate to cheat with others in order to save not only his own body, but also the food that his relatives need throughout the year.
11. My own body and related to the body, that is, parents, brothers, sisters, wives, sons, these are my closest friends, these are the souls of my soul.
12. He makes all sorts of plans to equip his inanimate body and give his mind inanimate pleasures. As a result, he could not be saved from the sea of birth and death, the disease of decay.
13. He is not addicted to progress in the path of Bhagavat Sadhana, he is addicted to unnecessary things.
14. He became addicted to his wife's sons by violating the rules of economics.
15. He is happy when he gets his favorite thing and upset when he doesn't get it.
16. Shri Krishnabhakti is considered as a fabrication.
17. He longs for the environment in which all worldly prosperity is available.
18. Even though the inanimate body is impermanent, the goal of his life is to acquire inanimate knowledge. He said many times - death is the end of this life, so happiness in this life -
Should try for comfort.
By behaving in this way, people behave like animals.
So which way should we go? And who guided us
Acceptable in the way directed by our moneylenders?
We should follow the path prescribed by our moneylenders.
But who is the great man?
The names of the twelfth moneylenders are mentioned in Srimad-Bhagavatam. They each instructed Hari Bhajan. The twelfth Mahajan became-
sanskrit;
"Swambhurnaradah Shambhu: Kumar: Kapilo Manu
Prahlado janko bhismo bolirvayaskirbayam."
1. Sri Brahma
2. Shri Narad Muni
3. Parbatipatisrishiva
4. Brahmaputra Sreesanth Kumar 5. Devahutiputra Srikapildeva
6. Father of the human race Sri Swayambhub Manu
7. Prahlad Maharaj
8. Sita Devi's father Rajarshi Janak 9. Gangaputra Bhishmadeva
10. Daityaraja boli
11.Beas son Sri ShukadevGoswami
and
12. Shriyam Raja, the god of death.
Maharshi Byasadeva wrote the eighteenth Purana for human society, who shot?
sanskrit :
'Brahmang Pidmang Vaishnavancha Shaivang Langang Sagaruram
Naradiyong bhagavatamagneyong skanda sanjnitam.
The future is Brahmavaivartang Markandeyang Sabamanam.'
Barahang Matsyang Kaurmancha Brahmandikhyamiti Trishat.
That is eighteen Purana-
1. Brahmapuran
2. Padmapuran
3. Vishnu Purana
4. Shiva Purana
5. Ling Purana
6. Garuda Purana
7. Naradiyapurana
8. Bhagavata Purana
9. Agnipurana
10. Skandha Purana
11. Bhavishyapurana
12. Brahmavaivarta Purana
13. Markandeya Purana
14. Bamanpuran
15. Varaha Purana
16. Matsapurana
17. Kurmapuran
18. Brahmandpuran.
Maharshi Byasadeva has written all these Puranas for the people of Sattvic, Rajasic and Tamasic classes of human society. Those old ones have been divided into three categories, six by six. In the Sattvik Purana, the glory of Lord Sri Hari is described more. In the Rajasic Purana the glory of Brahma is abundant and in the Tamasic Purana the glory of Agni Shiva and Durga is more famous. It is mentioned in the Brahmavaivarta Purana-
Sankrit:
Vaishnavism Naradiyanchatatha Bhagavatang Shubham.
Garurancha or Padmang Barahang Shubhdarshane.
Saovikani Puranani Vijnayani Manishivih.
The six sabvik puranas considered by the sages are -
1. Vishnu Purana
2. Naradiyapurana
3. Mangalamaya Bhagavatapurana 4. Garuda old
5. Padmapuran and
6. Varahapurana.
Sanskrit-
'Brahmandang Brahmavaibaratang Markandeyang Tathaib "
The future Bamnang Brahman Rajsani Nibodhat.'
The six Rajasic Puranas are -
1. Brahmanda Purana 2. Brahmavaivarta Purana 3. Markandeya Purana 4. Bhavishyapurana 5. Dwarf Purana and 6. Brahma Purana.
sanskrit-
'Matsyang kaurmang laingang shaibang skandang tatheib
Agnes fire conspirator Tamsani nibodhata.'
There are six Tamasic Puranas -
1. Matsapurana 2. Kurmapurana 3. Lingapurana 4. Shivapurana 5. Skandapuran 6. Agnipurana
According to Vedic teachings and scriptures, if we can lead our lives, then our life will become more beautiful and honeyed. Our education culture needs to be such that no matter how much sorrow, suffering, pain comes in the way of life, it will not disturb us in any way. I will be able to overcome all obstacles and lead my life on the path of further improvement.
Thanks -
0 মন্তব্যসমূহ