কৃষ্ণ কথা ও ভাগবত কথা আলোচনা -
আমরা সবাই কৃষ্ণ ভক্ত। আমাদের সকলের মনেই কৃষ্ণ বিরাজমান।সে আমরা মানি আর নাই মানি। আমাদের এই জীবন বদলে দিতে পারে শ্রীকৃষ্ণের কিছু কথা। তাই আজ আমরা সেই কৃষ্ণকথা ও ভাগবত কথা প্রসঙ্গে আলোচনা করবো।
ভাগবত কথা আলোচনা |
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই মূল্যবান কথাগুলি হল--
কৃষ্ণকথা ও ভাগবতকথা আলোচনা -
১. গর্ব, অভিমান এবং অহংকার এই তিনটি কে আমরা অনেক সময় একই মনে করি। কিন্তু এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল। কারন এই তিনটের অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। এই তিনটি জিনিসের শুরুই হয় নিজের প্রতি প্রেম থেকে কঠোর পরিশ্রম আমাদের মনে গর্বের জন্ম দেয়, আর সফলতা জন্ম দেয় অভিমানের। আর যখন তা অহংকারে পরিণত হয় তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর জেনে রাখুন অহংকার কখনো মানুষ কে উপরে তুলতে পারে না। বরংঅহংকার আমাদের ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
২. আমাদের জীবনের সব থেকে বড় শত্রু কি জানেন? তা হল রহস্য। আপনার রহস্যই আপনার বিনাশ ঘটাতে পারে সে আপনি যত বড়োই হোন না কেন। তাই নিজের রহস্য কখনো অন্য কাউকে বলবেন না। ওটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত।
৩. আমাদের মানব শরীর পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে তৈরি। যা আমাদের সব জিনিস ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করতে সাহায্য করে। যেমন চোখ দিয়ে আমারা দেখি, নাক দিয়ে শ্বাস - প্রশ্বাস নিই। কিন্তুু কখনো ভেবে দেখেছেন প্রকৃতি আমাদের দুটো নাক, দুটো চোখ, দুটো নাসারন্ধ্র দিল, কিন্তু জিহ্বা কেবলমাত্র একটাই দিল কেন? কারণ প্রকৃতি চায় আমরা কথা বলি কম। কারণ অধিক কথা বার্তা বাচালতাই অনেক সময় বিনাশের কারণ হয়।
৪. মানুষ এমন একরকম বিচিত্র মানুষ যে তার থেকে আর্থিক দিকে ছোটো কাউকে সকল সময় হেয় করার চেষ্টায় থাকে।এবং তাদের কিভাবে উন্নতি হবে সেটার পথ না দেখিয়ে বরং তাদেরকে সবসময় বলে তোমরা জীবনে কিছুই করতে পারবে না, তাদেরকে সবসময় অন্যের কাছে ছোটো করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তুু আমরা এটা ভুলে যাই যে আমাদের চেয়েও অধিক শক্তিশালী কেউ একজন পৃথিবীতে আছে, আর তা হল সময়। আর এই সময় সব কিছুর সঠিক সময়ে জবাব দেয়। তাই জীবনে কখনোই কাউকে নিয়ে উপহাস করা উচিত নয়।বরং সেই উপহাসের ব্যাক্তিটিকে কি করে সমাজের উঁচু তে কিভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব তার চেষ্টা করতে হবে।
কৃষ্ণ কথা ----কৃষ্ণকথা আলোচনা ভগবান কৃষ্ণের ভবিষ্যদ্বাণীটি পাঁচ হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছিল।
ধর্ম, সততা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সহনশীলতা, ক্ষমা, দীর্ঘায়ু, শারীরিক ক্ষমতা এবং স্মৃতি - কালিযুগে কালক্রমে সমস্ত হ্রাস পাবে।
১। কলিযুগে অর্থকে মানুষের একমাত্র শক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হবে। আইন ও ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা আর্থিক ক্ষমতার সাথে যুক্ত হবে।
২। নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ ও যৌনতা প্রাধান্য পাবে। স্ত্রীলিঙ্গতা এবং পুরুষতন্ত্র মানে কেবল যৌন শক্তি। কারও গলায় সাদা সুতোর ঝুলন্ত দ্বারা ব্রাহ্মণ হিসাবে পরিচিতি পাবে।
৩। মানুষের মধ্যে ধর্ম হ্রাস পাবে। পরিবর্তে, ধর্মের বাহ্যিক রীতিটি বাড়বে। জনগণের শিক্ষা আয়ের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। প্রতারণার দ্বারা যে প্রচুর অর্থ উপার্জন করবে তাকেও সমাজের উচ্চমানের ব্যক্তি হিসাবে দেখা যাবে।
৪। এই পৃথিবী দুর্নীতিবাজদের ভিড়ে ভরা হবে। প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতা দেখিয়ে সমাজের যে কোনও স্তরের মানুষ রাজনৈতিক প্রতিপত্তি অর্জন করতে পারেন।
৫। সাধারণ মানুষ খরা ও মহামারীতে জর্জরিত হবে। কখনও কখনও খুব গরম, কখনও কখনও অত্যধিক বৃষ্টিপাত মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তোলে।
৬।কলিযুগে, পুত্র তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দায়িত্ব অস্বীকার করবে।
৭। লোকেরা খুব অল্প পরিমাণ অর্থ বা কোন ছোট কারনে মানুষের জীবন নিতে দ্বিধা করবে না। যদি সামান্য ক্ষতি হয়, পুরানো সমস্ত সম্পর্ক ভুলে লোকেরা তাদের স্বজনদের চরম ক্ষতি করতে প্রস্তুত হবে।
আমাদের চারটি যুগ রয়েছে যথাঃ- সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ ও কলিযুগ। বর্তমান সময় কলিযুগের অর্ন্তভুক্ত । প্রত্যেক যুগে ভগবানকে সন্তুষ্টি বিধানের জন্য আলাদা ভাবে ধর্মানুষ্ঠান করা হত। এ সম্ভন্ধে শ্রীমদ্ভাগবতের (১২/৩/৫২ শ্লোকে) শুকদেব গোস্বামী পরিক্ষিত মহারাজকে বলেন –
“ কৃতে যদ্ধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং ঘজতো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ধরিকীর্তনাৎ ।। ”
অর্থাৎ , সত্যযুগে বিষ্ণুকে ধ্যান করে, ত্রেতাযুগে যজ্ঞের মাধ্যমে যাজন করে এবং দ্বাপর যুগে অর্চন আদি করে যে ফল লাভ হত, কলিযুগে কেবলমাত্র “ হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র” কীর্তনে সেই সকল ফল লাভ হয়।
অর্থাৎ , সত্যযুগে যুগধর্ম ছিল ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করা। ধ্যানের মাধ্যমে ভগবানের সন্তুষ্টি বিধানের প্রয়াস করা হত। বৈদিক শাস্ত্রমতে ধর্মের চারটি স্তম্ভ যথাঃ- সত্য, দয়া, তপ ও শৌচ।
সত্যযুুগে এই চারটি স্তম্ভই বর্তমান ছিল। তখন চারভাগ ধর্ম ছিল এবং মানুষের আয়ুষ্কাল ছিল ১ (এক) লক্ষ বছর। ভগবানকে সন্তুষ্টি করার জন্য হাজার হাজার বছর ধ্যান (তপস্যা) করা হত। ভগবানকে লাভ করা খুবই কষ্ঠসাধ্য ছিল।
ত্রেতাযুগে যুগধর্ম ছিল যজ্ঞের মাধ্যমে ভগবানের সন্তুষ্টি বিধান করা। বিভিন্ন রকমের উপাদান যজ্ঞের অগ্নিতে আহুতির মাধ্যমে ভগবানকে আহবান করা হত। যজ্ঞে বিভিন্ন প্রকার বৈদিক মন্ত্র উচ্চারিত হত। এই যুগে তিন ভাগ ধর্ম ও এক ভাগ অধর্ম ছিল। মানুষের আয়ু ছিল ১০ (দশ) হাজার বছর।
দ্বাপর যুগে যুগধর্ম ছিল অর্চন। এ যুগে দুই ভাগ ধর্ম ও দুই ভাগ অধর্ম ছিল। মানুষের আয়ুস্কাল ছিল ১ (এক) হাজার বছর। মানুষ অর্চনের মাধ্যমে ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা করত।
কলিযুগের যুগধর্ম হচ্ছে নাম সংকীর্তন করা। কলিযুগে তিন ভাগ অধর্ম এবং এক ভাগ ধর্ম। মানুষ অল্প আয়ূ, অল্প মেধা,কলহ প্রিয়, এবং অধার্মিক। কিন্তু কলি যুগে সবচেয়ে বড় আশীবাদ হল খুব অল্পতেই হরিনাম সংকীর্তন করার মাধ্যমে ভগবানকে লাভ করতে পারা যায়। চৈতন্যচরিত্রামৃতে বর্ণনা হয়েছে –
“ কলিকালে নামরূপে কৃষ্ণ অবতার।
নাম হৈতে হয় সর্বজগৎ নিস্তার ।।”
এই কলিযুগে ভগবানের দিব্যনাম “ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র ” হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অবতার। কেবলমাত্র এই দিব্যনাম গ্রহন করার ফলে, যে কোন মানুষ সরাসরিভাবে ভগবানের সঙ্গ লাভ করতে পারেন। যিনি তা করেন তিনি অবশ্যই জড় জগত থেকে উদ্ধার লাভ করেন। এই নামের প্রভাবেই কেবল সমস্ত জগৎ নিস্তার পেতে পারে।
অন্যান্য যুগে অনেক বছর সাধনার ফলে যা লাভ হতো না, কলিযুগে শুধুমাত্র নিরন্তন হরিনামের মাধ্যমে তা অতি সহজেই লাভ হয়।
কিন্তু ভক্তগন সেই হরি নাম করতে হবে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে।
এখন আমাদের জানতে হবে
অবশ্যই পড়ুন - গীতার প্রশ্ন ও উত্তর
ভক্তি কি? ভক্তি কাকে বলে? ভক্তি কত রকমের?
শ্রীনারদ পঞ্চরাতে বলা হয়েছে---
ভক্তির অপর নাম মুক্তি।
আর জীবে মুক্তি হরিনামে।
কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে জীব পড়ে আছে ধরাধামে।
কেবল মুখে বললে হবে না,
অন্তর থেকে কৃষ্ণকে ডাকতে হবে।
সাড়া দিতে হবে প্রভুকে।
আমরা কি সেই ভাবে ডাকতে পারি?
কিন্তু চেষ্টা তো করতে পারি।
সর্বোপাধিবিনিমুক্তং তৎপরত্বেন নির্মলম্ ।
হৃষীকেশ হৃষীকেশসেবনং ভক্তিরুচ্যতে ।।
সর্ব উপাধিমুক্ত অর্থাৎ কৃষ্ণসুখকামনা ব্যতীত ইহজীবনের ও পরজীবনের সমস্ত প্রকার আত্মেন্দ্রিয় সুখ কামনা বর্জন করে কেবল কৃষ্ণপ্রতীর জন্য ইন্দ্রিয়সমূহ দিয়ে ইন্দ্রিয়ের নিয়ামক শ্রীকৃষ্ণের সেবা করাকেই ভক্তি বলে।
ভক্তির নয়টি অঙ্গ শাস্ত্রে রয়েছে----
ভক্তির এই নয়টি অঙ্গ হল- ১) শ্রবণ ২) কীর্তন ৩) অর্চ্চন ৪) বন্দন ৫) স্মরণ ৬) পাদসেবন ৭) দাস্য ৮) সখ্য ও ৯) আত্ম নিবেদন
ভক্তির এই নয়টি অঙ্গ যাজন করে ভগবদ্ধাম প্রাপ্ত হয়েছিলেন যারা-
১) ভগবানের দিব্যনাম শ্রবণ করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন -শ্রীল শুকদেব গোস্বামী
২) ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন-পরীক্ষিৎ মহারাজ
৩) ভগবানের অর্চ্চন করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন - পৃথু মহারাজ
৪) ভগবানের বন্দনা করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন- অক্রুর
৫) ভগবানের স্মরণ করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন - প্রহ্লাদ মহারাজ
৬) ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের সেবা করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন - শ্রী লক্ষ্মীদেবী
৭) ভগবানের দাসত্ব করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন - হনুমান
৮) ভগবানের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন - অর্জুন
৯) ভগবানের শ্রীপাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন- বলি মহারাজ।
ভক্তি কি তা জানলাম কিন্তু যার ভক্তি হল অর্থাৎ যিনি ভক্ত হলেন, তাকে চিনব কেমন করে যে তিনি একজন প্রকৃত ভক্ত? সোজা কথায় বললে বোঝায় --
ভক্তের লক্ষণ কি?
শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণনা আছে যে পরম ভক্ত শ্রীউদ্ধব যখন ভগবদ্ভক্তি সমন্ধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করেন, তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই কথা বলেছিলেন --
আদরঃ পরিচর্যায়াং সর্বাঙ্গৈরভিবন্দনম্ ।
মদ্ভক্তপূজাভ্যধিকা সর্বভূতেষু মন্মতিঃ ।।
মদর্থেষ্বঙ্গচেষ্টা চ বচসা মদগুণেরণম্ ।
ময্যর্পণঞ্চ মনসঃ সর্বকামবিবর্জনম্ ।।
অর্থাৎ, ১। আদরের সঙ্গে আমার পরিচর্যা করা।
২। সর্বাঙ্গের দ্বারা আমার অভিনন্দন করা।
৩। বিশেষভাবে আমার ভক্তের পূজা করা।
৪। সমস্ত জীবকে আমার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা।
৫। দেহের সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে আমাকের সেবা করা।
৬। বাক্যের দ্বারা আমার মহিমা কীর্তন করা।
৭। মনকে আমাতে অর্পণ করা।
৮। সব রকম জড় ভোগবাসনা পরিত্যাগ করা।
এইগুলি হল ভগবদ্ভক্তের লক্ষণ।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, = তিনে মিলে এক ঈশ্বর একথার অর্থ কি?
অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব তিন জনের মিলিত শক্তিই হচ্ছে ঈশ্বর বা ভগবান। আর ঈশ্বর হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব রুপে সমগ্র জগৎকে পরিচালনা করেন। শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মা রুপে সৃষ্টি করেন, বিষ্ণু রুপে পালন করেন এবং শিব রুপে ধ্বংস করেন।
বিষ্ণু পুরাণে( ১/২/৬২) বলা হয়েছে, " একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় করিবার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব এইরুপ সংজ্ঞা প্রাপ্ত হন।"
মূল কথা,পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণই একমাত্র মূলাধার।
সৃষ্টি স্থিতি অন্তকরণীং ব্রহ্মাবিষ্ণুশিবাত্মিকাম্।
স সংজ্ঞাং যাতি ভগবান এক এব জনার্দনঃ।।
বিষ্ণুপুরাণ ১/২/৬৬
অর্থাৎ একই ভগবান জনার্দন শ্রীকৃষ্ণ, জগতের সৃষ্টি স্থিতি এবং প্রলয়ের জন্য, ব্রহ্মা,বিষ্ণু,শিব এই তিন নাম ধারন করেন।অর্থাৎ তিনিই ব্রহ্মা হয়ে সৃষ্টি করেন, তিনিই বিষ্ণু হয়ে জগত পালন করেন, তিনিই আবার শিব হয়ে প্রলয়কালে জগত ধ্বংস করেন এবং নিজেও বিলীন হয়ে যান।
বৈদিক ধর্মের বৈশিষ্ট কি কি?
১। বৈদিক ধর্ম বিশ্বাস করে যে জীবদেহের বিনাশ আছে কিন্ত আত্বার বিনাশ নেই।আত্বা অক্ষয় অব্যয় অবিনশ্বর। আগুন,জল,বায়ু কোন ক্ষতি করতে পারেনা। লোকে জীর্ন বস্ত্র ত্যাগ করে যেমন নতুন বস্ত্র ধারন করে ঠিক তেমনি। (গীতা-২/২২)
আত্মার এরুপ দেহ পরিবর্তন করাই হলো জন্মান্তরবাদ। এই জন্মান্তরবাদ হল -
সনাতন ধর্মের স্তম্ভ। কর্মফল ভোগের জন্যই আত্মার বার বার জন্ম হয়।
২. হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করে যে। আত্মারূপে ঈশ্বর জীবদেহে বাস করেন।
শাস্ত্রে আছে "যত্র জীব তত্র শিব" যেখানে জীব সেখানেই শিব।সুতরাং জীব সেবাতেই ঈশ্বের সেবা করা হয়।
৩. হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করে দেবতারা ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির সাকার রুপ কিন্ত দেবতা বহু হলেও ঈশ্বর এক এবং অদ্ধিতীয়।
৪। হিন্দু ধর্মে পূজা পার্বন যাগযজ্ঞ, ঈশ্বরের নাম কির্তন, তীর্থ ভ্রমন প্রভৃতি এ ছাড়া জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে করনীয় সংস্কার সম্পর্কেও বেদাদি সকল ধর্মশাস্ত্রে বিধি বিধান রয়েছে।
৫। বৈদিক ধর্ম সার্বজনীন ধর্ম। এ ধর্ম শুধু নিজেরেই কল্যান কামনা করে না হিন্দুরা বিশ্বের সকল মানুষের, উদ্ভিদসহ জীবজগতের কল্যান কামনা করে। বৈদিক ধর্মে পবিত্র জীবন যাপন করতে উদ্ধুত করে। মনুষত্ব অর্জন মোক্ষলাভ ও জগতের কল্যান সাধনের শিক্ষাই বৈদিক ।
ধন্যবাদ-
English Transalation:
Discussion of Krishna and Bhagavata -
We are all Krishna devotees. Krishna exists in the minds of all of us. We believe in him and not in him. Some words of Lord Krishna can change our life. So today we will discuss in the context of that Krishnakatha and Bhagavata.
Those precious words of Lord Krishna are--
Krishnakatha and Bhagavatkatha Discussion -
1. Pride, arrogance and arrogance are the three things we often think of as the same. But this is our biggest mistake. Because the meaning of these three is completely different. The beginning of these three things is that hard work from love for oneself gives birth to pride in our minds, and success gives birth to pride. And when it turns into arrogance, then the problem arises. And know that arrogance can never elevate a person. Rather, arrogance leads us to destruction.
2. Do you know the biggest enemy of man? That is the mystery. Your mystery can destroy you no matter how old you are. So never tell your secret to anyone else. That is your private matter.
3. Our human body is made up of five senses. Which helps us to perceive all things. As we see with our eyes, we breathe through our nose. But have you ever wondered why nature gave us two noses, two eyes, two nostrils, but only one tongue? Because nature wants us to talk less. Because too much talk is often the cause of destruction.
4. People are all sorts of weird people who are always trying to humiliate someone younger than them financially. And instead of showing them the way to how to improve, they always tell them that you can't do anything in life, always try to make them inferior to others. But we forget that there is someone on earth who is stronger than we are, and that is time. And this time everything responds at the right time. So one should never make fun of anyone in life. Instead, one should try to find out how to make that ridiculous person reach the top of the society.
Krishna talk ---- Krishnakatha discussion
The prophecy of Lord Krishna was made five thousand years ago.
Religion, honesty, cleanliness, tolerance, forgiveness, longevity, physical ability and memory - all will diminish over time in the Kali Yuga.
1. In Kali Yuga, money will be considered as the only power of man. The possibility of getting law and justice will be linked to financial power.
2. Money and sexuality will predominate in building relationships between men and women. Femininity and masculinity mean only sexual energy. One will be known as a Brahmin by hanging a white thread around his neck.
3. Religion will decrease among the people. Instead, the outward rites of religion will grow. People's education income will be considered. The one who will earn a lot of money by cheating will also be seen as a high quality person in the society.
4. This world will be full of corrupt people. People at any level of society can gain political prestige by showing power through deception.
5. Ordinary people will be plagued by droughts and epidemics. Sometimes very hot, sometimes too much rain endangers human life.
6. In Kali Yuga, the son will deny the responsibility of his old parents.
. People will not hesitate to take people's lives for very little money or for any small reason. If there is a slight loss, people forgetting all the old relationships will be ready to do extreme damage to their relatives.
We have four eras namely Satya Yuga, Treta Yuga, Dvapara Yuga and Kali Yuga. The present time belongs to Kali Yuga. In every age, rituals were performed separately to satisfy God. In this regard, Shukadev Goswami of Srimad-Bhagavatam (verse 12/3/52) said to Parikshit Maharaj:
“Krte yaddhayato visnung tretayang ghajato makhaih
Dvapare paricharyayang kalau taddharikirtanat. ”
That is to say, in the Satyayuga, the results are obtained by meditating on Vishnu, in the Tretayuga by Yajna, and in the Dwapar Yuga by performing Archana, in the Kaliyuga only by chanting "Harekrishna Mahamantra".
That is, in Satya Yuga, Yuga Dharma was to meditate on Lord Vishnu. Meditation was an attempt to satisfy God. In the Vedic scriptures, there are four pillars of religion, namely, truth, kindness, penance and defecation.
All these four pillars were present in Satya Yuga. At that time there were four religions and the life span of human beings was 1 (one) lakh years. Meditation (austerities) was practiced for thousands of years to please God. It was very difficult to gain God.
In Tretayuga, Yugadharma was to provide satisfaction to God through Yajna. God was invoked by offering various elements in the fire of Yajna. Different types of Vedic mantras were recited in the yajna. In this age there were three parts religion and one part unrighteousness. Human lifespan was 10 (ten) thousand years.
In the Dwapar era, Yugadharma was worshiped. In this age there were two parts religion and two parts unrighteousness. The lifespan of man was 1 (one) thousand years. People tried to please God through worship.
The zeitgeist of Kali Yuga is to chant the name. In Kali Yuga, three parts are iniquity and one part is religion. People live short lives, have little talent, love quarrels, and are ungodly. But the greatest blessing in the age of Kali is that one can attain God by chanting Harinam in a very short time. As described in Chaitanyacharitramrita -
“In Kalikal, Krishna incarnates by name.
The name is the salvation of the universe. ”
In this Kali Yuga, the divine name of God "Hare Krishna Mahamantra" is the incarnation of Lord Krishna. Only by accepting this divine name, any human being can directly attain the company of God. He who does so must be saved from the inanimate world. Only by the influence of this name can the whole world be saved.
What was not gained as a result of many years of pursuit in other eras, is easily gained in Kali Yuga only through continuous Harinam.
But the devotees have to name that Hari with utmost devotion and devotion.
Now we need to know -
What is devotion? What is devotion? What kind of devotion?
It has been said in Srinarada Pancharat ---
Another name of devotion is liberation.
And the living is released in the name of deer.
Being a devotee of Krishna, the creature is lying on the ground.
Not to mention,
Krishna must be called from the heart.
The Lord must respond.
Can we call that way?
But I can try.
Sarvopadhibinimuktang tatparatben nirmalam.
Hrishikesh Hrishikeshsevanang bhaktiruchyate ..
Devotion is to serve Lord Krishna, the controller of the senses, only for the sake of Kপ্রপ্রপ্রa, by rejecting all kinds of self-conscious pleasures of this life and the hereafter, except for all the pleasures of Krishna.
There are nine parts of devotion ----
These nine parts of devotion are- 1) hearing 2) kirtan 3) worship 4) worship 5) remembrance 6) foot worship 6) slavery 6) friendship and 9) self-sacrifice
Bhagavad-gita was obtained by performing these nine parts of devotion.
1) He got Bhagavad-gita by hearing the divine name of God
2) By chanting the divine name of God, he got Bhagavad-gita - Parikshit Maharaj
3) By worshiping God, he got Bhagavad-gita - Prithu Maharaj
4) By worshiping God, he got Bhagavad-gita - Akrur
5) Bhagavaddham was obtained by remembering God - Prahlad Maharaj
6) Bhagavad-gita was obtained by serving Lord Sripadapadma - Sri Lakshmidevi
6) By enslaving God, he got Bhagavad-gita - Hanuman
6) By establishing friendship with God, he got Bhagavad-gita - Arjuna
9) By surrendering to Lord Sripadapadma, he attained Bhagavad-gita.
I know what devotion is, but how can I know the one who has devotion, that is, the one who has become a devotee, that he is a true devotee? Simply put -
0 মন্তব্যসমূহ