Indian Culture, philosophy,religion,and Spiritual Consciousness (ভারতীয় সংস্কৃতি,দর্শন,ধর্ম ও আধ্যাত্মিক চেতনা )

ভারতীয় সংস্কৃতি,দর্শন,ধর্ম ও আধ্যাত্মিক চেতনা -

ভারতীয় দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা -

Indian philosophy and culture
Indian philosophy and culture

ভারতীয় সমাজ গড়ে উঠেছে মূলত আধ্যাত্মিক চেতনার উপর।ভারতীয় সমাজের মূল গ্রন্থ হল বেদ।বেদই বিশ্ব শান্তি,বিশ্ব মৈএী,বিশ্ব ভাতৃত্ব এবং বিশ্ব কল্যানের প্রথম প্রকাশ ও অগ্রদূত।

যো ব্রহ্মাণং বিদধাতি পূর্বং

বেদের উৎপত্তি  কোথা থেকে?

বেদ কথাটির অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। সৃষ্টির আদিতে প্রজাপতি ব্রহ্মা সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হন শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে।
অথর্ব বেদে সেই কথা বলা হয়েছে -

যো বৈ বেদাংশ্চ গাপয়তি স্ম কৃষ্ণঃ।
যো ব্রহ্মাণং বিদধাতি পূর্বং।

অর্থাৎ "ব্রহ্মা, যিনি পূর্বকালে জগতে বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেন। মহর্ষি ব্যাসদেব শ্রীমদ্ভগবত্গীতায় পুরুষোওম যোগ অধ্যায়ে (১৫/১৫) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উক্তি বিবৃত করেছেন -


                  বেদৈশ্চ সবৈঃ অহমেব বেদ্যো
                  বেদান্তকৃদ্ বেদবিদেব চাহম্  ।।

' আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য বিষয়, আমি সমস্ত বেদান্ত কর্তা ও বেদবেত্তা।"

হিন্দু ধর্মের আদি গ্রন্থ গুলি হল বেদ ,উপনিষদ বেদা বেদান্ত ,পুরাণ যার মূল বাণী বিশ্বসভায় প্রথম তুলে ধরেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্ম সভায়।ভারতীয় দর্শন কত উচ্চমার্গের সেদিন স্বীকার করে নিয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। তিনি বলেছিলেন হাজার হাজার বছর আগে যে জাতি বেদ, উপনিষদ,পুরাণ,বেদান্তের মত পুস্তক রচনা করেছে, সেই জাতি অন্য কোন ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃণা,ঈষা,দ্বেষ প্রকাশ করতে পারে না। কারণ উপরিউক্ত পুস্তকগুলী যে জাতি নিজেদের ধর্মগ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে তারাই হিন্দু।এই পুস্তকগুলী রচনার বহু সহস্র বছর পর এই বিশ্বের সমস্ত ধর্মগ্রন্থ রচনাহয়েছে,যেমনবাইবেল,কোরাণ,এিপিটক,গ্রন্থসাহেবপ্রভৃতি।আুনিক পাশ্চাত্য পন্ডিতদের মতে এই সকল গ্রন্থের মধ্যে বেদই প্রাচীনতম। তাদের মতে বেদ অনাদি -অনন্ত। ইহাই ঈশ্বরের বাণী। বেদই ঈশ্বরের ঞ্জানরাশি। ভারতবর্ষের যুগ যুগান্তের বাণী যদি উপলব্ধি করা যায় তাহলে এটাই প্রমানিত হয় ভারতবর্ষ আধ্যাত্মিক ভাবের অনন্ত উৎসের উপর ভিত্তি করেই যুগ যুগান্তের ইতিহাস তৈরী করেছে।

স্বামীজী বলেছিলেন - যার প্রেমপ্রীতি ভালোবাসা আছে তিনিই ধার্মিক।

শ্রীমদ ভাগবত গীতায় এয়োদশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে সমগ্র দৃশ্যমান বিশ্বই হল ক্ষেএ, যার মধ্যে আমাদের দেহ, মন,ইন্দ্রিয়গুলী এবং অন্যান্য সবকিছু পড়ে।এসবের বাইরে যে বস্তুটি তাহল বিশুদ্ধ চৈতন্য বা শুদ্ধ বুদ্ধি, যার উপর এই বিশ্ব অধিষ্ঠিত। প্রকৃত জ্ঞান লাভ করলে নিখিল বিশ্বকে জানা যায়।
আজ যারা ধর্মের নামে বিভাজন চাইছে তারা আদৌ ধর্ম কি তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। জ্ঞান মানে কিছু বই পড়া বিদ্যা নয়। অনেক গুণের অধিকারী হতে হয়।
গীতায় শ্রীকৃষ্ণের উক্তিতে বলা হয়েছে -

" ইন্দ্রিয়ার্থেষু বৈরাগ্য মনহঙ্কার এব চ
জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি দুঃখ দোষানুদর্শনা।"

অর্থাৎ জ্ঞানী যে হবে তাকে ইন্দ্রিয়ভোগ্য বিষয় গুলীর প্রতি অতি আসক্তি ত্যাগ করতে হবে।এবং সেই সঙ্গে নিরহংকারিতা এবং জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি ও দুঃখের অশুভ দিক গুলীর কথা বারংবার চিন্তা করা।
স্বামীজী উপরিউক্ত বিষয়কে সহজ ও সরল ভাষায় বলেছেন -

" জীবে প্রেম করে যেই জন
   সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"



অর্থাৎ ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রতিটি মানুষের মধ্যে।

আধ্যাত্মিক পথের দিশারী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, সাধক শ্রীরামকৃষ্ণ, কবীর প্রমুখ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের উদার মানসিকতা ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির পথ নির্দেশ করেছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় মননের অন্তর্নিহিত বাণীকে প্রকাশ করেছিলেন। তার কবিতায় যেখানে তিনি বলেছেন  -

" নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান
  বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।"

অর্থাৎ ভারতীয় সভ্যতা যে চেতনার উপর প্রতিষ্ঠিত  তা হল -  আধ্যাত্মিকতা

মত ও পথের পার্থক্য থাকলেও লক্ষ কিন্তু একই- তা হল - আত্মার মুক্তি এবং অন্তরে নিহিত দেবত্বের পূর্ণ বিকাশ।
কিন্তু বর্তমান সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী। তারা না হিন্দু না মুসলমান না খ্রীষ্টান। তারা ভারতের বৈচিএের মধ্যে ঐক্যের বীজকে ধ্বংস করতে চাইছে।কিন্তু ভারতের মানুষের মনে যে দৃঢ় ধর্মীয় ভিত্তি রয়েছে তাকে কিছু বিপদগামী মৌলবাদী ধ্বংস করতে কিছুতেই পারবে না

বুদ্ধ, শ্রীচৈতন্য,রামকৃষ্ণ,রবীন্দ্রনাথ,কবীর,নানকের মত মুক্ত মনের মানুষ যে দেশে জন্মায় সেই দেশের হাজার হাজার বছরে গড়ে উঠা সম্প্রীতি ও বিশ্বাসকে কেউ কোনদিন ধ্বংস করতে পারবে না।
ত্যাগ, সহনশীলতা ও সেবার আদর্শই প্রতিষ্ঠিত হবে।
কোরাণ শরিফে হজরত মহম্মদ বলেছেন যার ধর্ম সে পালন করবে।

শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন -  "যত মত তত পথ।"

ভারতবর্ষই বিশ্বের মানুষকে শিখিয়েছে - ধর্মের প্রকৃত তও্ব।
বিবেকানন্দ বেদান্তের সুপ্রাচীন সত্যগুলীকে নবরূপে প্রচার করেন। বেদান্তের মূল কথা হল প্রতিটি মানুষই প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর বা ব্রহ্ম। মায়া বা অঞ্জান অন্ধকার দূর করে এই সত্যটি উপলব্ধি করতে হবে।
অতীতে সমাজ সংসার ত্যাগ অতীন্দ্রিয় তও্ব বিচারের (Metaphsical Abstraction) মাধ্যমে এইসত্যকে উপলব্ধি করার কথা বলা হত। কিন্তু বিবেকানন্দ বললেন - ঈশ্বর লাভের জন্য পার্থিব জীবনকে অস্বীকার করে অরণ্যে বা পর্বতে বাস করার কোন প্রয়োজন নেই।ঈশ্বরলাভ করতে হবে জীবনের স্বাভাবিক অঙ্গগুলীকে, প্রাত্যহিক কর্মগুলীকে আগে আধ্যাত্মিকতামন্ডিত করে।আমরা যেন আমাদের চারপাশের মানুষজনের মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতি অনুভব করতে চেষ্টা করি।কারন তারাই ঈশ্বরের জীবন্ত প্রতিমূর্তি এবং বেদান্তও প্রকৃতপক্ষে এই শিক্ষা দিয়ে থাকে।

এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন যে স্বামিজী পাশ্চাত্য দুনিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন - যদি তারা আধ্যাত্মিকতাকে উপেক্ষা করে শুধুমাএ বৈঞ্জানিক প্রগতিকেই সর্বস্ব করে তোলে তবে তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
স্বামীজী মনে করতেন - বর্তমান ভারতের সম্মুখে ব্রত হল- পাশ্চাত্যকে আধ্যাত্মিকতা দান।
আমেরিকাতে তিনি এই কাজের ভিওি রচনা করেছিলেন।ভারতের আধ্যাত্মিক চেতনার বিচিত্র প্রকাশের এক অপূর্ব সমন্ময় তিনি রামকৃষ্ণের জীবনে লক্ষ্য করেছিলেন।


স্বামীজী বলেছেন প্রত্যেক ধর্মেই তিনটি ত্যাগ আছে তা হল - দার্শনিক, পৌরাণিক,ও আনুষ্ঠানিক।

ধর্মের লক্ষ্যে পৌঁছনোর উপায়কে যোগ বলে। বিভিন্ন যোগ শিক্ষা দেওয়া হয় মানুষের বিভিন্ন স্বভাব ও রূচি অনুযায়ী। সেই যোগগুলীকে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করি -
১. কর্ম যোগ- যে পদ্ধতিতে মানুষ কর্ম করে এবং কর্তব্য পালনের মাধ্যমে নিজের দেবত্বকে উপলব্ধি করে।

২. ভক্তি যোগ - ব্যক্তি ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা এবং তার দ্বারা দেবত্বের উপলব্ধি করে।

৩. রাজযোগ - মন সংযমের দ্বারা দেবত্বের উপলব্ধি।

৪. জ্ঞান যোগ - ঞ্জানের দ্বারা দেবত্বের উপলব্ধি।
এই পথগুলী কিন্তু একই কেন্দ্রের দিকে চলেছে।
সেই কেন্দ্র - 'ভগবান।'
আসুন আজ থেকে আমরা সেই ব্রত ধারণ করি যা আমাদের মন প্রাণ শুদ্ধ করবে এবং শুদ্ধ ভক্তির উদয় হবে। এবং যা ভগবৎ প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে।

কি সেই ব্রত?

সেই ব্রত হল - কলিযুগের মহামন্ত্র নাম।
সকলে মিলে বলি-

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।"

                      # হরে কৃষ্ণ #

English Transalation:

Indian  Culture,philosophy,religion and Spiritual Consciousness -



Indian philosophyand spirituality.


 Indian society is built on spiritual consciousness. The main text of Indian society is Veda. Veda is the first manifestation and pioneer of world peace, world peace, world brotherhood and world welfare.

 Where is the origin of the Vedas?

 The word Veda means knowledge.  At the beginning of creation, the butterfly Brahma received that knowledge from Lord Krishna.

 The Atharva Veda says -

 Yo Brahmanang Biddhati Purbang Yo Bai Bedansch Gapayati Sm Krishna.

 That is, "Brahma, who imparted Vedic knowledge to the world in the past."

 Bedaishcha sabaih ahameb bedyo
 Vedantakrid Vedavideva Chaham.

 "I am the knower of all Vedas, I am the master of all Vedanta and the Vedas."

 The original texts of Hinduism are the Vedas, the Upanishads, the Vedanta, the Puranas, the main message of which was first presented by Swami Vivekananda at the Chicago Religious Assembly.  He said that the nation which has written books like Vedas, Upanishads, Puranas, Vedanta thousands of years ago, cannot express hatred, envy, envy towards people of any other religion.  Because the people who believe in the above books as their own scriptures are Hindus. Many thousands of years after the writing of these books, all the scriptures of this world have been written, such as the Bible, Koran, Epitaph, Granthasaheb, etc. According to modern western scholars,  According to them, the Vedas are eternal.  This is the word of God.  The Vedas are the source of knowledge of God.  If the message of Yuga Juganta of India can be understood, then it is proved that India has made the history of Yuga Juganta based on the eternal source of spirituality.

 Swamiji said - He who has love is righteous.

 In the eleventh chapter of the Srimad Bhagavatam Gita it is said that the whole visible world is the field, in which our body, mind, senses and everything else fall.  The whole world can be known by gaining real knowledge.

 Today, those who seek division in the name of religion are completely ignorant of what religion is at all.  Knowledge does not mean reading some books.  There are many qualities to be possessed.

 In the Gita, it is said in the words of Lord Krishna -

 "Indriyartheshu vairagya manhankar ab ch

 Birth, death, old age, grief, guilt. "


 That is to say, he who is to be ignorant must give up his excessive attachment to the sensual things. And at the same time to think again and again about the evil aspects of birth, death, decay, disease and sorrow.

 Swamiji said the above in simple and straightforward language -


 "Anyone who loves life

 That man is serving God. "

 That is, the existence of God in every human being.


 Sri Chaitanya Mahaprabhu, the pioneer of the spiritual path, the devotee Sri Ramakrishna, the poet, etc. - the liberal mentality of religious personalities has paved the way for liberation from religious superstition.

 Poet Rabindranath Tagore revealed the underlying message of Indian thinking.  In his poem where he says -


 "Different languages, different costumes

 The union between the various is great. "


 That is to say, the consciousness on which Indian civilization is based is spirituality.


 Although there are differences of opinion and path, the goal is the same - that is - the liberation of the soul and the full development of the divinity inherent in the heart.

 But in today's society there are some people who are bigoted and fundamentalist.  They are neither Hindus nor Muslims nor Christians.  They want to destroy the seeds of unity in the Indian subcontinent. But the endangered fundamentalists will not be able to destroy the strong religious foundations in the minds of the people of India.

 No one will ever be able to destroy the harmony and faith that has developed over thousands of years in a country where free-minded people like Buddha, Sri Chaitanya, Ramakrishna, Rabindranath, Kabir, Nanak are born.

 The ideals of sacrifice, tolerance and service will be established.

 In the Qur'an, Hazrat Muhammad says that he will follow his religion.

 Sri Ramakrishna says - "As many paths as you like."

 India has taught the people of the world - the true repentance of religion.

 Vivekananda preached the ancient truths of Vedanta in a new form.  The essence of Vedanta is that every human being is actually God or Brahman.  This truth must be realized by removing the darkness of Maya or Anjaan.

 In the past, it was said to realize this truth through metaphsical abstraction.  But Vivekananda said - there is no need to live in the forest or in the mountains by denying worldly life in order to gain God. God must be gained by first spiritualizing the normal parts of life, daily activities.  Idolatry and Vedanta are also actually taught by this  আকে।

 One thing needs to be said here that Swamiji has warned the Western world - if they ignore spirituality and make only scientific progress everything, then their destruction is inevitable.

 Swamiji thought that the vow towards present day India was to give spirituality to the West.

 In America, he wrote a VOI of this work. He noticed in Ramakrishna's life a wonderful combination of various manifestations of spiritual consciousness in India.

 Swamiji says that in every religion there are three renunciation - philosophical, mythological, and formal.

 Yoga is the way to reach the goal of religion.  Different yoga lessons are given according to different temperaments and tastes of people.  We divide those additions into four parts -

 1.  Karma Yoga - The way in which man acts and realizes his divinity by performing his duties.


 2.  Bhakti Yoga - The person loves God and realizes divinity through him.


 3.  Raj Yoga - Realization of divinity by mind restraint.


 4.  Knowledge Yoga - The realization of divinity by knowledge.

 These paths, however, continue towards the same center.

 That center is 'God.'

 Let us from today onwards take the vows that will purify our minds and souls and will lead to pure devotion.  And which will help in attaining Bhagavat.


 What is that vow?

 That vow is the name of the great mantra of Kali Yuga.

 Let's all agree-

 "Hare Krishna Hare Krishna Krishna Krishna Hare Hare

 Hare Ram Hare Ram Ram Ram Hare Hare. "



                      #Hare krishna #

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ