মানব জীবনের লক্ষ্য কি?
এই ক্ষণিক অথচ দুর্লভ মনুষ্যজন্মে জন্ম -জরা- ব্যাধি-মৃত্যু তথা নানা দুঃখ ও উদ্বেগপূর্ণ জগতে এসে এই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ভগবানের নিত্য সেবায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া যাতে আর কখনো ভবচক্রে ফিরে আসতে না হয়।
মানব জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হল-
যে জীবনে জানা হল না যে,আমি পরমেশ্বরের নিত্য দাস,সেই জীবনে এই দুঃখময় জগতে সুখের অনুসন্ধান করা মূর্খামি মাএ। যে প্রকৃত অনুসন্ধান না করে কেবল এই নশ্বর জীবনটারই সব কিছু ভোগ করার জন্যই উদগ্রীব, তার জীবন অনর্থ ও কৃমিকীট।
একটা কথা আমরা সবাই জানি যে " মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর।" যদিওবা স্বর্গ ও নরক পৃথক পৃথক গ্রহলোক রয়েছে এবং সুর বা দেবতা এবং অসুর বা দৈত্যরা বিশেষ বিশেষ গ্রহলোকের অধিবাসী তবুও পৃথিবীতে মানব সমাজে স্বর্গ ও নরকের দৃশ্য সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় এবং সুর ও অসুর প্রকৃতির মানুষও দেখা যায়।এখনকার মানুষের সর্জীবের প্রতি ভালোবাসা,সহানুভূতি ও স্নেহযত্ন,এখানকার আলো,উদার আকাশ,মুক্ত বাতাস,সুনীল সমুদ্র,সবুজ ক্ষেত,পাখীর কুজন,ফুলের সৌরভ,ফলের বাগান ইত্যাদি স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।আবার জীবহিংসা,কসাইখানা,মাতালের উওেজনা,কলহ বিবাদ,জোরজুলুম,খুনখারাবি,অবৈধ যৌনতা,রোগ ব্যাধি,দুর্ভিক্ষ,লুটপাট,ইত্যাদি নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।
সুরপ্রকৃতির লোকেরা হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত হন না।আমিষ ভক্ষণ করে না।কিন্তু অসুর প্রকৃতির লোকেরা সর্বদা নাস্তিক এবং আমিষভোজী,হত্যা,নেশাভাঙ ইত্যাদি করে।
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণ নির্দেশ দিয়েছেন -
সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ ।।
জড় জগতের বিচিত্র রকমের কর্তব্য বা ধর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র আমার শরণাগত যদি হও তবে সমস্ত রকমের পাপ থেকে আমি তোমাকে রক্ষা করব,সেই জন্য তোমার কোন দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
এই রকম দৃঢ় প্রতিশ্রুতি একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া ব্রহ্মান্ডের অন্য কেউ কোথাও প্রদান করেননি।অতএব শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করাই শ্রেয়। শ্রীকৃষ্ণই হলেন সমস্ত জীবের বীজপ্রদ পিতা। তিনিই পরম গুরু।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন -
যে-ই কৃষ্ণতও্ববেত্তা সে-ই 'গুরু' হয়।
(চৈতন্যচরিতামৃত মধ্য ৮/১২৭)
কৃষ্ণতত্ত্ববিদ ছাড়া কেউ 'গুরু'হতে পারে না।
চক্ষু দিল যেই জন্মে জন্মে প্রভু সেই
দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।
প্রতি জন্ম মাতা পিতা সহজেই লাভ হয়।কিন্তু সব জন্মে পারমার্থিক গুরুকে পাওয়া যায় না।
সকল জন্মে পিতা মাতা সবে পায়
কৃষ্ণ গুরু নাহি মিলে,ভজহ হিয়ায় ।।
( চৈতন্যমঙ্গল)
চৈতন্যমঙ্গলে আরো বলা হয়েছে -
সেই সে পরম বন্ধু,সেই পিতা মাতা
শ্রীকৃষ্ণচরণে যেই পেমভক্তিদাতা।।
আমাদের জীবনের চরম লক্ষ হল- মুক্তি
জীবনের মেয়াদ অতি অল্প। সকাল বিকাল অকাল নিয়ে কথা নয়,যে কোন কালেই যে কোন মুহূর্তই আমাদের ইহ জীবনের অন্তিমকাল হতেই পারে।সেই জন্য নারদ মুনি বললেন 'মনুষ্য-জীবনের সেই আয়ুষ্কাল ধন্য যে আয়ুষ্কালে সে কৃষ্ণভক্তিতেকৃষ্ণসেবাতে নিযুক্ত আছে। কিছু সাধন ভজন করতে হবে যাতে অন্তিম কালে ভগবানের নাম গুনগান করতে করতে মরতে পারি।
মানব জীবনে আধ্যাত্মবিদ্যার কি প্রয়োজন আছে?
অন্যান্য পশুপাখী কীটপতঙ্গের জীবনের চেয়ে মানব জীবনই শ্রেষ্ঠ বা উন্নত,যেহেতু মানুষ জানতে চেষ্টা করে,আমি কে?কেন আমি জন্মেছি?কেন আমাকে মরতে হবে?কেন চিরকাল এই শরীরে সুখী হতে পারব না?জগৎ কি?কে বানিয়েছেন?জগতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি?জগতের সৃষ্টিকর্তার পরিচয় কি?তার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ কি?জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি আমি চায় না,তবুও এগুলি কেন আমাকে গ্রহণ করতে হচ্ছে?এইগুলিই হল আধ্যাত্মবিজ্ঞানের বিষয়। বেদে বলা হয়েছে - অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা।আসল বিষয় জানবার চেষ্টা করা।এইগুলি যদি জানবার কারো প্রয়োজন না থাকে তবে তাকে নিছক পশু মাত্র বলেই শ্রীমদ্ভাগবত ব্যাখ্যা করেন।একটা কথা আমরা সবাই জানি যে " মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর।" যদিওবা স্বর্গ ও নরক পৃথক পৃথক গ্রহলোক রয়েছে এবং সুর বা দেবতা এবং অসুর বা দৈত্যরা বিশেষ বিশেষ গ্রহলোকের অধিবাসী তবুও পৃথিবীতে মানব সমাজে স্বর্গ ও নরকের দৃশ্য সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় এবং সুর ও অসুর প্রকৃতির মানুষও দেখা যায়।এখনকার মানুষের সর্জীবের প্রতি ভালোবাসা,সহানুভূতি ও স্নেহযত্ন,এখানকার আলো,উদার আকাশ,মুক্ত বাতাস,সুনীল সমুদ্র,সবুজ ক্ষেত,পাখীর কুজন,ফুলের সৌরভ,ফলের বাগান ইত্যাদি স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।আবার জীবহিংসা,কসাইখানা,মাতালের উওেজনা,কলহ বিবাদ,জোরজুলুম,খুনখারাবি,অবৈধ যৌনতা,রোগ ব্যাধি,দুর্ভিক্ষ,লুটপাট,ইত্যাদি নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।
সুরপ্রকৃতির লোকেরা হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত হন না।আমিষ ভক্ষণ করে না।কিন্তু অসুর প্রকৃতির লোকেরা সর্বদা নাস্তিক এবং আমিষভোজী,হত্যা,নেশাভাঙ ইত্যাদি করে।
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণ নির্দেশ দিয়েছেন -
সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ ।।
জড় জগতের বিচিত্র রকমের কর্তব্য বা ধর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র আমার শরণাগত যদি হও তবে সমস্ত রকমের পাপ থেকে আমি তোমাকে রক্ষা করব,সেই জন্য তোমার কোন দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
এই রকম দৃঢ় প্রতিশ্রুতি একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া ব্রহ্মান্ডের অন্য কেউ কোথাও প্রদান করেননি।অতএব শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করাই শ্রেয়। শ্রীকৃষ্ণই হলেন সমস্ত জীবের বীজপ্রদ পিতা। তিনিই পরম গুরু।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন -
যে-ই কৃষ্ণতও্ববেত্তা সে-ই 'গুরু' হয়।
(চৈতন্যচরিতামৃত মধ্য ৮/১২৭)
কৃষ্ণতত্ত্ববিদ ছাড়া কেউ 'গুরু'হতে পারে না।
চক্ষু দিল যেই জন্মে জন্মে প্রভু সেই
দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।
প্রতি জন্ম মাতা পিতা সহজেই লাভ হয়।কিন্তু সব জন্মে পারমার্থিক গুরুকে পাওয়া যায় না।
সকল জন্মে পিতা মাতা সবে পায়
কৃষ্ণ গুরু নাহি মিলে,ভজহ হিয়ায় ।।
( চৈতন্যমঙ্গল)
চৈতন্যমঙ্গলে আরো বলা হয়েছে -
সেই সে পরম বন্ধু,সেই পিতা মাতা
শ্রীকৃষ্ণচরণে যেই পেমভক্তিদাতা।।
আমাদের জীবনের চরম লক্ষ হল- মুক্তি
জীবনের মেয়াদ অতি অল্প। সকাল বিকাল অকাল নিয়ে কথা নয়,যে কোন কালেই যে কোন মুহূর্তই আমাদের ইহ জীবনের অন্তিমকাল হতেই পারে।সেই জন্য নারদ মুনি বললেন 'মনুষ্য-জীবনের সেই আয়ুষ্কাল ধন্য যে আয়ুষ্কালে সে কৃষ্ণভক্তিতেকৃষ্ণসেবাতে নিযুক্ত আছে। কিছু সাধন ভজন করতে হবে যাতে অন্তিম কালে ভগবানের নাম গুনগান করতে করতে মরতে পারি।
What is the purpose and meaning of human life?
In this momentary, rare human birth, the only purpose of this life is to be ready to be entrusted with the service of God so that he will never return to life.
It is foolish to search for happiness in this miserable world in a life where it is not known that I am the eternal servant of God. The one who is anxious to enjoy all of this mortal life without making a real search, his life is worthless and worthless.
What is the need for spirituality in human life?
Human life is better or better than the life of other animals and insects, because people try to know who I am, why I was born, why I have to die, why I can't be happy in this body forever. What is the world? Who made it? What is my relationship with the world? What is the identity of the creator of the world? What is my relationship with him? Birth and death The topic. It is said in the Vedas - that is, Brahmajijnasa. Trying to know the real thing.
If one does not need to know these, then Srimad-Bhagavatam explains that he is just an animal.
One thing we all know is that "heaven and hell are among the people." Although heaven and hell are separate planets and tunes or gods and demons or demons are inhabitants of special planets, the scenes of heaven and hell are common in human society on earth and people of tune and demon nature are also seen. Love, sympathy and affection , The light here, the generous sky, the open air, the blue sea, the green fields, the chirping of birds, the fragrance of flowers, the orchards etc. Adi jibahinsa kareabara heavenly atmosphere, butchery, drunk uoejana, strive, oppress, khunakharabi, illicit sex, diseases, famine, looting, etc. creates a hellish environment.
People of melodious nature do not get involved in violent incidents.
They do not eat meat. But people with demonic nature are always atheists and eat non-vegetarian food, killing, intoxication etc.
In the Srimad-Bhagavatam Gita, Lord Krishna instructs -
All religions abandoned mamekong sharanang braj.
Ahang tbang sarvapapevyo moksayisyami ma shuchah ..
There is no need for you to worry, for I will save you from all kinds of sin, if you are my only refuge by abandoning the various duties or religions of the inanimate world.
No one else in the universe has made such a firm promise except Lord Krishna, the only Supreme Lord. Therefore, it is better to worship Lord Krishna. Lord Krishna is the seed-bearing father of all living beings. He is the Absolute Guru.
Sri Krishna Chaitanya Mahaprabhu has instructed -
Whoever is a Krishnatobbetta is a 'Guru'.
(Chaitanyacharitamrita Madhya 7/127)
No one can be a 'guru' except a black theorist.
The Lord is the one who gives birth to the eye
Divine knowledge is revealed in the heart.
Parents are easily gained in every birth. But not all births have a spiritual guru.
In all births, parents barely get it
Krishna guru nahi mile, bhajah hiya ..
(Chaitanyamangal)
It is further stated in Chaitanyamangal -
He is the best friend, the father and mother
The devotee who pays homage to Lord Krishna.
The ultimate goal of our life is liberation
Life span is very short. It is not a matter of premature morning and afternoon, any moment can be the end of our life. That is why Narad Muni said, 'Blessed is the life span of human life in which he is engaged in Krishna devotion. We have to do some sadhana bhajan so that we can die while chanting the name of God in the end.
0 মন্তব্যসমূহ