জয় নিতাই জয় গৌর
জয় রাধেশ্যাম
হরে কৃষ্ণ হরে রাম
ভজ অবিরাম।
শ্রীকৃষ্ণকে পেতে হলে পাঁচটি ভাব আশ্রয় করতে হবে।শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর।
সখ্য অর্থাৎ বন্ধুর ভাব। এস কাছে এসো বসো।
সখারা কৃষ্ণকে এঁটো ফল খাওয়াচ্ছে, কখনো ঘাড়ে চড়ছে। এ হলো সখ্য ভাব।
বাৎসল্য- মা যশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াচ্ছেন।
মধুর - শ্রীমতীর ভাব। এ ভাবের ভিতর সকল ভাব।
মধুর হরেকৃষ্ণ নাম
"হরেরনাম হরেরনাম হরেরনামৈব কেবলম কলৌ নাস্তেব নাস্তেব নাস্তেব গতিরন্যথা।।"
অর্থাৎ কলির মানুষের একমাত্র হরিরাম ব্যতীত আর কোন গতি নাই।শ্রী মহাপ্রভু কলি জীবের উদ্ধারের জন্য অবতীর্ণ হয়ে ষোল নাম বএিশ অক্ষর এই মহামন্ত্র প্রচার করে গেছেন -
" হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।"
এই মহামন্ত্র সর্বদা যপ করবে। এই মহামন্ত্রের প্রভাবে মানুষ অবশ্যই মুক্তি লাভ করবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই।
মহাপ্রভু বলেছেন-
"একবার কৃষ্ণ নামে যত পাপ হরে পাপীর সাধ্য নাই তত পাপ করে।"
অতএব হে কলির জীব ! এক মাএ হরি কথা শ্রবন ব্যতীত আর কিছু কানে নিও না। হরি ভক্তি যাতে উদয় হয়, সেই সব গ্রন্থ পাঠ, হরি- সংকীর্তন প্রভৃতিই হল শ্রেষ্ঠ কাজ। এই পথ গ্রহণ করতে পারলে অভক্তিরূপ আবর্জনা দূর হয়ে, ভক্তিরূপ অমূল্য রত্ন লাভ করতে পারবে। বিশ্বাস আসবে, নিষ্ঠা আসবে মনে, নামে রুচি আসবে।
তাই বলি হে মায়াবদ্ধ জীব! এই অনিত্য সংসারে সারবস্তু হল - কৃষ্ণ নাম -কৃষ্ণ নাম - শুধু কৃষ্ণ নাম।।
ভারতীয় পুরাণ তথা ঋক বেদে বলা হয়েছে ওঁ আহস্য জানন্তো নাম চিদ্বিবক্তন্ মহন্তে বিষ্ণো সুমতিং ভজামহে ওঁ তৎ সৎ।হে বিষ্ণো, চিন্ময় নাম স্বপ্রকাশ রূপ।সেই নাম উচ্চারণ মহাত্ম্য না জেনেও কেবল নামাক্ষর অভ্যাস করি,তবুও নাম প্রভাবে দিব্যজ্ঞান পেতে পারবো।আপনিই স্বয়ং নামরূপে প্রকাশিত।
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে, কলিযুগের মানুষ অল্প বুদ্ধি হবে,তবে বুদ্ধিমান মানুষ কে হবে?
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে-
কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গোস্ত্রপার্ষদম্ ।
যজ্ঞৈঃ সংকীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ ।।
অর্থাৎ "কলিযুগে তাঁরাই সুবুদ্ধিমান মানুষ হবেন, যাঁরা সংকীর্তন যজ্ঞের দ্বারা পার্ষদ পিরবৃত ভগবান শ্রীগৌরহরির আরাধনা করবেন।" (শ্রীমদ্ভাগবত ১১/৫/৩২)
তাহলে এখন জানার বিষয় হল- হরি নাম করে কি লাভ?
হরি নাম করে নামের কৃপা লাভ হবে।কলির কলুষিত প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সর্বপাপ বিনাষ হবে।শুদ্ধনামে ভগবদ্ ধামে গতি হবে।আনন্দময় জীবন লাভ হবে।
শুধু তাই নয় শ্রীহরির নাম স্মরণ করলে অনায়াসে দুখঃময় পাপ বন্ধন ছিন্ন হয়ে থাকে। তাছাড়া হরিনাম উচ্চারণ করলে,নিজের তো মঙ্গল হয়,পরন্তু যারা হরিনাম বলতে পারে না তারাও হরিনাম শুনে উদ্ধার পায়। মনে মনে হরি নাম করাকে স্মরণ বলা হয়, উচ্চরণ করে হরিনাম করাকে কীর্তন বলা হয়।
পরমবৈষ্ণব শিব ঠাকুর বলেছেন,হরিনাম স্মরণ অপেক্ষা কীর্তনই শ্রেষ্ঠ।
পদ্ম পুরাণে বৈশাখ মহাত্ম্যে বলা হয়েছে - "শ্রীহরি হচ্ছেন পবিত্রকারী, তাই সদা সর্বদা সর্বত্র তাঁর দিব্য নাম কীর্তন করা কর্তব্য।"
English transalation:
If you want to get Krishna, you have to take shelter of five senses. Calmness, servitude, friendship, kindness, sweetness.
Friendship means feeling of friend. Come and sit down.
Sakhara is feeding Krishna sticky fruit, sometimes riding on his neck. This is the feeling of friendship.
Anniversary - Mother Yashoda Krishna is eating a little hand as she will eat.
Honey - Mistress. All the thoughts inside this feeling.
"Harernam Harernam Harernamaib Kebalam Kalau Nasteb Nasteb Nasteb Gatiranyatha."
That is to say, the people of Kali have no other movement except Hariram.
"Hare Krishna Hare Krishna Krishna Krishna Hare Hare.
Hare Ram Hare Ram Ram Ram Hare Hare.
This Mahamantra will always chant. There is no doubt that people will be liberated under the influence of this great mantra.
Mahaprabhu says-
"Once in the name of Krishna, the sinner commits as many sins as he can.
Therefore, O creature of Kali! Don't listen to anything other than listening to the words of only Hari. In order for Hari Bhakti to arise, reading those books, chanting Hari etc. is the best work. If you can take this path, you will be able to get rid of the non-devotional garbage and gain invaluable gems in the form of devotion. Faith will come, devotion will come to mind, taste will come in name.
So I say, O enchanted creature! The essence of this impermanent world is - Krishna name - Krishna name - only Krishna name.
In Indian mythology or Rik Veda, it is said that the name of Ahasya is known as Chidvibaktan Mahante Vishnu Sumating Bhajamahe.
O Vishnu, the name of Chinmoy is the form of self-expression.
It has been said in Srimad-Bhagavatam, the people of Kali Yuga will be less intelligent, but who will be the intelligent man?
It is said in Srimad-Bhagavatam:
Krishnavarnam Tvisakrishnam Sangopangostraparsadam.
Yajnaih sankirtanaprayairyajanti hi sumedhasah.
That is, "In the age of Kali, they will be the wise people, who will worship Lord Sri Gaurahari, who is surrounded by the council by chanting hymns." (Srimadbhagavata 11/5/32)
So now the thing to know is- what is the benefit of naming Hari?
By the name of Hari, the grace of the name will be gained. The polluted effect of Kali will be saved. All sins will be destroyed. In the pure name there will be speed in Bhagavad-gita. There will be blissful life.
Not only that, remembering Srihari's name effortlessly breaks the bond of miserable sin. Moreover, if Harinam is uttered, it is good for oneself, but those who cannot say Harinam are also saved by hearing Harinam. In the mind, naming Hari is called Smarana, chanting Harinama is called Kirtan.
Paramavaishnava Shiva Thakur says, kirtan is better than remembering Harinam.
In the Padma Purana, it is said in the Baishakh Mahatmya - "Srihari is the purifier, so it is always obligatory to chant his divine name everywhere."
Thank You,
# HARE KRISHNS#
জয় রাধেশ্যাম
হরে কৃষ্ণ হরে রাম
ভজ অবিরাম।
God is true in the rest of the world |
সখ্য অর্থাৎ বন্ধুর ভাব। এস কাছে এসো বসো।
সখারা কৃষ্ণকে এঁটো ফল খাওয়াচ্ছে, কখনো ঘাড়ে চড়ছে। এ হলো সখ্য ভাব।
বাৎসল্য- মা যশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াচ্ছেন।
মধুর - শ্রীমতীর ভাব। এ ভাবের ভিতর সকল ভাব।
"হরেরনাম হরেরনাম হরেরনামৈব কেবলম কলৌ নাস্তেব নাস্তেব নাস্তেব গতিরন্যথা।।"
অর্থাৎ কলির মানুষের একমাত্র হরিরাম ব্যতীত আর কোন গতি নাই।শ্রী মহাপ্রভু কলি জীবের উদ্ধারের জন্য অবতীর্ণ হয়ে ষোল নাম বএিশ অক্ষর এই মহামন্ত্র প্রচার করে গেছেন -
" হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।"
এই মহামন্ত্র সর্বদা যপ করবে। এই মহামন্ত্রের প্রভাবে মানুষ অবশ্যই মুক্তি লাভ করবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই।
মহাপ্রভু বলেছেন-
"একবার কৃষ্ণ নামে যত পাপ হরে পাপীর সাধ্য নাই তত পাপ করে।"
অতএব হে কলির জীব ! এক মাএ হরি কথা শ্রবন ব্যতীত আর কিছু কানে নিও না। হরি ভক্তি যাতে উদয় হয়, সেই সব গ্রন্থ পাঠ, হরি- সংকীর্তন প্রভৃতিই হল শ্রেষ্ঠ কাজ। এই পথ গ্রহণ করতে পারলে অভক্তিরূপ আবর্জনা দূর হয়ে, ভক্তিরূপ অমূল্য রত্ন লাভ করতে পারবে। বিশ্বাস আসবে, নিষ্ঠা আসবে মনে, নামে রুচি আসবে।
তাই বলি হে মায়াবদ্ধ জীব! এই অনিত্য সংসারে সারবস্তু হল - কৃষ্ণ নাম -কৃষ্ণ নাম - শুধু কৃষ্ণ নাম।।
ভারতীয় পুরাণ তথা ঋক বেদে বলা হয়েছে ওঁ আহস্য জানন্তো নাম চিদ্বিবক্তন্ মহন্তে বিষ্ণো সুমতিং ভজামহে ওঁ তৎ সৎ।হে বিষ্ণো, চিন্ময় নাম স্বপ্রকাশ রূপ।সেই নাম উচ্চারণ মহাত্ম্য না জেনেও কেবল নামাক্ষর অভ্যাস করি,তবুও নাম প্রভাবে দিব্যজ্ঞান পেতে পারবো।আপনিই স্বয়ং নামরূপে প্রকাশিত।
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে, কলিযুগের মানুষ অল্প বুদ্ধি হবে,তবে বুদ্ধিমান মানুষ কে হবে?
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে-
কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গোস্ত্রপার্ষদম্ ।
যজ্ঞৈঃ সংকীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ ।।
অর্থাৎ "কলিযুগে তাঁরাই সুবুদ্ধিমান মানুষ হবেন, যাঁরা সংকীর্তন যজ্ঞের দ্বারা পার্ষদ পিরবৃত ভগবান শ্রীগৌরহরির আরাধনা করবেন।" (শ্রীমদ্ভাগবত ১১/৫/৩২)
তাহলে এখন জানার বিষয় হল- হরি নাম করে কি লাভ?
হরি নাম করে নামের কৃপা লাভ হবে।কলির কলুষিত প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সর্বপাপ বিনাষ হবে।শুদ্ধনামে ভগবদ্ ধামে গতি হবে।আনন্দময় জীবন লাভ হবে।
শুধু তাই নয় শ্রীহরির নাম স্মরণ করলে অনায়াসে দুখঃময় পাপ বন্ধন ছিন্ন হয়ে থাকে। তাছাড়া হরিনাম উচ্চারণ করলে,নিজের তো মঙ্গল হয়,পরন্তু যারা হরিনাম বলতে পারে না তারাও হরিনাম শুনে উদ্ধার পায়। মনে মনে হরি নাম করাকে স্মরণ বলা হয়, উচ্চরণ করে হরিনাম করাকে কীর্তন বলা হয়।
পরমবৈষ্ণব শিব ঠাকুর বলেছেন,হরিনাম স্মরণ অপেক্ষা কীর্তনই শ্রেষ্ঠ।
পদ্ম পুরাণে বৈশাখ মহাত্ম্যে বলা হয়েছে - "শ্রীহরি হচ্ছেন পবিত্রকারী, তাই সদা সর্বদা সর্বত্র তাঁর দিব্য নাম কীর্তন করা কর্তব্য।"
English transalation:
If you want to get Krishna, you have to take shelter of five senses. Calmness, servitude, friendship, kindness, sweetness.
Friendship means feeling of friend. Come and sit down.
Sakhara is feeding Krishna sticky fruit, sometimes riding on his neck. This is the feeling of friendship.
Anniversary - Mother Yashoda Krishna is eating a little hand as she will eat.
Honey - Mistress. All the thoughts inside this feeling.
"Harernam Harernam Harernamaib Kebalam Kalau Nasteb Nasteb Nasteb Gatiranyatha."
That is to say, the people of Kali have no other movement except Hariram.
"Hare Krishna Hare Krishna Krishna Krishna Hare Hare.
Hare Ram Hare Ram Ram Ram Hare Hare.
This Mahamantra will always chant. There is no doubt that people will be liberated under the influence of this great mantra.
Mahaprabhu says-
"Once in the name of Krishna, the sinner commits as many sins as he can.
Therefore, O creature of Kali! Don't listen to anything other than listening to the words of only Hari. In order for Hari Bhakti to arise, reading those books, chanting Hari etc. is the best work. If you can take this path, you will be able to get rid of the non-devotional garbage and gain invaluable gems in the form of devotion. Faith will come, devotion will come to mind, taste will come in name.
So I say, O enchanted creature! The essence of this impermanent world is - Krishna name - Krishna name - only Krishna name.
In Indian mythology or Rik Veda, it is said that the name of Ahasya is known as Chidvibaktan Mahante Vishnu Sumating Bhajamahe.
O Vishnu, the name of Chinmoy is the form of self-expression.
It has been said in Srimad-Bhagavatam, the people of Kali Yuga will be less intelligent, but who will be the intelligent man?
It is said in Srimad-Bhagavatam:
Krishnavarnam Tvisakrishnam Sangopangostraparsadam.
Yajnaih sankirtanaprayairyajanti hi sumedhasah.
That is, "In the age of Kali, they will be the wise people, who will worship Lord Sri Gaurahari, who is surrounded by the council by chanting hymns." (Srimadbhagavata 11/5/32)
So now the thing to know is- what is the benefit of naming Hari?
By the name of Hari, the grace of the name will be gained. The polluted effect of Kali will be saved. All sins will be destroyed. In the pure name there will be speed in Bhagavad-gita. There will be blissful life.
Not only that, remembering Srihari's name effortlessly breaks the bond of miserable sin. Moreover, if Harinam is uttered, it is good for oneself, but those who cannot say Harinam are also saved by hearing Harinam. In the mind, naming Hari is called Smarana, chanting Harinama is called Kirtan.
Paramavaishnava Shiva Thakur says, kirtan is better than remembering Harinam.
In the Padma Purana, it is said in the Baishakh Mahatmya - "Srihari is the purifier, so it is always obligatory to chant his divine name everywhere."
Thank You,
# HARE KRISHNS#
0 মন্তব্যসমূহ